‘‌শিল্পকর্ম ব্যক্তির চিন্তা ও ধারণার উন্মেষ’

তানভীর পারভেজ

মার্সেল ডুচ্যাম্পের মতে, ‘সবকিছুই শিল্প হতে পারে। শিল্প একটি প্রতিষ্ঠান, যা সম্পূর্ণরূপে সামাজিক নির্মাণ দ্বারা সংজ্ঞায়িত।’ তার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণভাবে একমত। প্রাথমিকভাবে আমাদের আইডিয়া, ইমোশন ও মেসেজকে প্রকাশ করার জন্য আমরা দৃশ্যশিল্পের আশ্রয় নিই। শিল্প ইতিহাসের প্রথম দিকে শিল্পের বাস্তববাদী হয়ে ওঠার প্রচেষ্টা ছিল। তারপর বিমূর্ততা পর্যন্ত বিস্তৃত হলো। ষাটের দশকের পরবর্তী সময়ে আমরা দেখি দৃশ্যশিল্প অনেক বেশি দর্শননির্ভর হয়ে উঠেছে। বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা, দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লব ও বিজ্ঞানচর্চার বদৌলতে এমন অনেক শিল্পধারার আবির্ভাব হয়েছে, যেগুলোর সঙ্গে মানবসমাজের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার কোনো সম্পর্ক নেই। একই সময়ে আমাদের নন্দনতত্ত্বচর্চার পূর্ববর্তী ধারণার ভিতটা ভেঙে গেছে।

আমি মনে করি, শিল্পকর্ম একটি জ্ঞানতাত্ত্বিক বিষয়। এটি কোনো ব্যক্তির দক্ষতার ফলাফল নয়; বরং ব্যক্তির চিন্তা ও ধারণার উন্মেষ। তাই আমি শিল্পকর্মকে কগনিটিভ অ্যাস্থেটিকস মূল্যে বিচার করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

যেসব ঘটনা কিংবা পরিপ্রেক্ষিত আমাকে আন্দোলিত করে, সেসব বিষয় নিয়ে কাজ করতে তেমন কোনো ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন হয় না। আবার কখনো কখনো অনেক গুছিয়ে পরিকল্পনা করেও কাজ করি। তবে সেক্ষেত্রে মাধ্যমের নতুনত্ব ও উপস্থাপনের চ্যালেঞ্জ সেই কাজের মধ্যেও নতুন ভাবনার অনুপ্রবেশ ঘটায়। ফলে আগের অবস্থানে স্থির থাকা যায় না। আমার ধারণা, যারা ক্রিয়েটিভ কাজ করেন, তারা সবাই জানেন যে ‘লাইফ ইজ নট পারফেক্ট’। ফলে সব শেষেও তারা নতুন একটি অপশন খোঁজেন। আর এসবের মধ্য দিয়েই শিল্পকর্মের জন্ম হয়। 


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন