আজ রোববার শুরু হয়েছে ফ্রেঞ্চ ওপেন টেনিস।
প্রথম দিনের লড়াইয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের রেশও থাকল। রাশিয়ার মিত্র হিসেবে
পরিচিত বেলারুশ তাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে হামলা চালানোর
অনুমতি দিয়েছে। তাই বেলারুশকেও শত্রু রাষ্ট্র ভাবে ইউক্রেনিয়ানরা। আজ বেলারুশের
আরিনা সাবালেঙ্কা সরাসরি ৬-৩, ৬-২ গেমে হারান ইউক্রেনের মার্তা কস্তিউককে। প্রথা
অনুসারে ম্যাচ শেষে হাত মেলান দুই খেলোয়াড়। যদিও আজ পরাজিত মার্তা কস্তিউক বিজয়ী
সাবালেঙ্কার সঙ্গে হাত না মিলিয়ে সোজ গিয়ে চেয়ারে বসেন। দুজন ম্যাচ শুরুর আগের
ফটোসেশনেও অংশ নেননি।
ম্যাচ শেষে আম্পায়ারের সঙ্গে হাত মেলানোর
পর সাবালেঙ্কাকে পাশ কাটিয়ে চলে যান কস্তিউক। এরপর তিনি সোজা কোর্টের বাইরে চলে
যান। এ ঘটনায় কস্তিউককে উদ্দেশ করে দুয়োধ্বনি দিয়েছেন রোলাঁ গারোঁর দর্শকরা।
উল্লেখ্য, গত বছর ইউএস ওপেনেও আরেক বেলারুশিয়ান তারকা ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কার সঙ্গে
হাত মেলাননি ২০ বছর বয়সী কস্তিউক।
জয় শেষে সাবালেঙ্কা বলেন, ‘এটা খুবই শক্ত
ম্যাচ ছিল, আবেগেরও। প্রথমে তো ভেবেছিলাম, দুয়ো আমাকেই দেয়া হচ্ছে, তাই খানিকটা
বিস্মিতই হয়েছিলাম। কিন্তু এরপর দেখলাম, উল্টো আমাকে সমর্থনই দেয়া হচ্ছে।’
সাবালেঙ্কা আগে বলছিলেন, আসলে কেউই যুদ্ধকে
সমর্থন করে না। আর তিনি বুঝতে পারছেন যে তাকে ঘৃণা করছেন কস্তিউক।
এ বছর জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয় করেন
সাবালেঙ্কা। সেই সাফল্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই জয়টি আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
ছিল। আমার জীবনের বড় লক্ষ্য ছিল গ্র্যান্ড স্লাম জেতা। তবে আমার আশা ছিল, জীবনের
প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম হবে ফ্রেঞ্চ ওপেন, যদিও আমি ক্লে কোর্টে খেলিনি।’
উল্লেখ্য, এবার ফ্রেঞ্চ ওপেন খেলছেন না
রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রাফায়েল নাদাল। তিনি চোটের কারণে এবার অংশ নিচ্ছেন না।
তার অনুপস্থিতিতে এবার ফেভারিট নোভাক জোকোভিচ। নারী এককে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইগা
সিয়ানতেক শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামছেন।