নবম বিপিএল শুরু ৬ জানুয়ারি

সর্বোচ্চ সম্মানী ৮০ লাখ টাকা বিদেশী ৮০ হাজার ডলার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আগামী বছর জানুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসর। বিপিএল সামনে রেখে গত সপ্তাহে ৭টি ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত করেছে বিপিএল গভর্নিং বডি। এবারের আসরে স্থানীয় খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ ক্যাটাগরির সম্মানী রাখা হয়েছে ৮০ লাখ টাকা এবং বিদেশী ক্রিকেটারের সম্মানী সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ডলার নির্ধারিত করছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।

নবম আইপিএলে খেলোয়াড়দের সম্মানী নিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির পরিচালক বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, স্থানীয় ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আমরা ৮০ লাখ টাকা রাখব। এটা ড্রাফট থেকে যাবে। আর সরাসরি সাইনিং সর্বোচ্চ বলে কিছু না। এটা খেলোয়াড় ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ঠিক করে। বিদেশীদের ক্ষেত্রেও ৮০ হাজার ডলার। ৮০ লাখ, ৫০ লাখ, ৩০ লাখ, ২০ লাখ, ১৫ লাখ, ১০ লাখ, লাখ টাকা রকম থাকবে। সাতটা গ্রেড। আইকন বলে কিছু থাকবে না। টপ গ্রেডেড বিদেশী খেলোয়াড় সরাসরি সাইনিং করা যাবে।

ডলারের বর্তমান রেট বিবেচনায় এবারের বিপিএলে শীর্ষ গ্রেডে সই করানো বিদেশী খেলোয়াড় কোটি টাকারও বেশি সম্মানী পাবেন।

তিন বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্ধারণে এবার আগ্রহ প্রকাশ করেনি বেক্সিমকো, জেমকনের মতো বড় গ্রুপ। জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট টি২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মোনার্ক মার্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি পায়নি। মূলত শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিতে সাকিবের নাম জড়িত থাকায় তার দলের আবেদন বিবেচনা করেনি বিসিবি। নিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান শেখ সোহেল বলেন, বিতর্ক রয়েছে এমন কোনো প্রতিষ্ঠানকে আমরা নেব না বলে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণেই মোনার্ক মার্টকে বিবেচনা করা হয়নি।

২০১৯-২০ বিপিএলে খেলেছে সাতটি দল। পরের মৌসুমে করোনার কারণে বিপিএল না হলেও বিসিবি আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপ, যাতে অংশ নেয় পাঁচটি দল। গত বছর বিপিএলের অষ্টম আসরে অংশ নেয় ছয়টি দল। আবারো সাত দলে ফিরছে বিপিএল।

বিপিএলে এবার থেকে প্রতি বছরের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দিতে হবে দেড় কোটি টাকা। একসঙ্গে তিন বছরের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি নেবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে।

নিয়ে মল্লিক বলেন, আমাদের বিপিএলের সময় হচ্ছে জানুয়ারি (২০২৩) থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি। একই সময় বিশ্বে আরো দুই-তিনটা টপ লেভেল টুর্নামেন্ট হচ্ছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি হতে আগ্রহ প্রকাশ করে আমাদের এখানে ৯টি কোম্পানি তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম জমা দিয়েছিল, পরে আরো দুটো আবেদন পড়ে। মোট ১১টার মতো আবেদন ছিল। তার মধ্য থেকে আমরা সাতটা সম্ভাব্য ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত করেছি। আমরা সম্ভাব্য বলছি কারণে যে আমাদের আর্থিক কিছু ব্যাপার আছে, সেগুলো মিট করতে হবে তাদের। দেড় কোটি টাকা আমরা প্রতি বছরের জন্য চাচ্ছি। কিন্তু তিন বছরের টাকা একবারে নিয়ে নিতে চাচ্ছি।

অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি টি২০ লিগ একই সময় অনুষ্ঠিত হবে। কারণে বিদেশী তারকা ক্রিকেটারের সংকট দেখা যেতে পারে বিপিএলে। বাস্তবতা মেনে নিয়ে বিদেশী খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশনে বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দিচ্ছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। ড্রাফটের আগেই স্থানীয়দের একজনকে সই করানো যাবে।

মল্লিক বলেন, স্থানীয় খেলোয়াড়দের একজন সরাসরি সাইনিং আমরা অনুমতি দেব। বাকি ড্রাফট থেকে নিতে হবে। সাউথ আফ্রিকান লিগ, ইউএইএসব লিগে ভারতীয়রা মালিক। বেশির ভাগ বিদেশী খেলোয়াড় ওইদিকে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরাও টুর্নামেন্টটা আগ-পিছ করতে পারছি না জাতীয় দলের ব্যস্ততার জন্য। বিদেশী খেলোয়াড় সর্বোচ্চ চারজন খেলতে পারবে একটা দলে, তবে মাঠে সর্বনিম্ন দুজন যেন থাকে এমন পরিকল্পনা করছি। বিদেশী খেলোয়াড়ের রেজিস্ট্রেশনেও বাধ্যবাধকতা রাখব না। কেউ তিনদিনের জন্য এসে খেলে গেলেও তার বদলি আরেকজন আসতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন