গুরুত্বারোপ

সিটি করপোরেশনের গৃহকর পুনর্নির্ধারণে নতুন আইন প্রয়োজন

ড. মইনুল ইসলাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সিটি করপোরেশনের গৃহকর বাড়ানোর জন্য ১৯৮৬ সালের দি সিটি করপোরেশন ট্যাক্সেশন রুলস অধ্যাদেশের ২১ ২২ ধারার বিধিমোতাবেক বাড়ি ভাড়ার আয়ের ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসরণের মারাত্মক ভুল সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করেছেন। ২০২১ সালে আমি তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলাম যে ভূতপূর্ব মেয়র নাসির ২০১৬ সালে একই অধ্যাদেশের ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণ করতে গিয়ে তার জনপ্রিয়তা হারিয়ে চরম বিপদে পড়েছিলেন। ওই ভুল অধ্যাদেশের ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণ করায় বর্ধিত গৃহকর বিদ্যমান করের তুলনায় ছয় গুণ-দশ গুণ বেড়ে যাওয়ায় ওই সময় ব্যাপক আন্দোলন সৃষ্টি হয়েছিল। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রয়াত জনপ্রিয় মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীও আন্দোলনে শরিক হয়েছিলেন। এর কিছুদিনের মধ্যে একই ভুল অধ্যাদেশ অনুসরণ করতে গিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তদানীন্তন মেয়র সাঈদ খোকনকেও ব্যাপক আন্দোলন মোকাবেলা করতে হয়েছিল। ঢাকা চট্টগ্রামের আন্দোলনের তীব্রতায় তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুরো ব্যাপারটা স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয়া সত্ত্বেও রেজাউল করিম চৌধুরী ভুল অধ্যাদেশটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়ার পরিবর্তে আবারো ওই অধ্যাদেশটি অনুসরণ করে গৃহকর বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। সন্দেহ করার কারণ রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিতেই পদক্ষেপটি আবার গৃহীত হয়েছে। চট্টগ্রামে পদক্ষেপটি সফল হলে ক্রমান্বয়ে অন্যান্য সিটি করপোরেশনেও হয়তো অধ্যাদেশটি প্রয়োগ করা হবে! এরই মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের করদাতাদের কাছে নতুনভাবে নির্ধারিত গৃহকরের চাহিদাপত্র পৌঁছে গেছে। নাসিরের মতে পত্রপত্রিকায় মেয়র মন্তব্য করে চলেছেন যে সংক্ষুব্ধ করদাতা সিটি করপোরেশনের কাছে আপিল করলে গৃহকর কমিয়ে দেয়া হবে। পদক্ষেপের মাধ্যমে ঘুস-দুর্নীতির ফ্লাডগেট যে খুলে দেয়া হচ্ছে সেটা কি তিনি বুঝতে পারছেন না? অযৌক্তিকভাবে গৃহকর বাড়িয়ে দিয়ে আপিলের মাধ্যমে তা কমিয়ে দিলে শুধু দুর্নীতিই বাড়বে। সরকারকেও উপলব্ধি করতে হবে যে বাড়িভাড়ার আয়ের ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণ মারাত্মক ভুল পদ্ধতি। গৃহকর যেহেতু সম্পত্তি কর (প্রোপার্টি ট্যাক্স) তাই সারা বিশ্বের সিটি গভর্নমেন্টগুলো সম্পত্তির লোকেশন, স্থাপনার মান ধরন এবং আয়তনের ভিত্তিতে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করে থাকে। করদাতার বাড়িভাড়ার আয়ের ভিত্তিতে যেহেতু এনবিআর কর্তৃক আয়কর নির্ধারিত হয় তাই আবার হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণেও যদি বাড়ি ভাড়ার আয়কেই নির্ধারক বিবেচনা করা হয় তাহলে ডবল ট্যাক্সেশন সমস্যার উদ্ভব হবে, যা করনীতির চরম লঙ্ঘন বিধায় বাতিলযোগ্য। বিশ্বের সব দেশে ডবল ট্যাক্সেশন পরিহারযোগ্য করনীতি (Principle of Taxation) হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৯৮৬ সালের যে অর্ডিন্যান্সের বরাত দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ১০ মাসের বাড়ি ভাড়ার ১৭ শতাংশ ভিত্তিতে চট্টগ্রাম নগরীতে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে সেটা পুরোটাই ভুল করনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। কারণ, কোনো ব্যক্তির প্রাপ্ত বাড়ি ভাড়া তার অর্জিত আয়। ওই অর্জিত আয়ের ওপর যেহেতু সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে নির্ধারিত নিয়মে নানা হারে ব্যক্তিগত আয়কর আদায় করে থাকে তাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মতো একটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান আবার ওই বাড়ি ভাড়ার ভিত্তিতে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করলে সেটা ডবল ট্যাক্সেশন অব ইনকাম-এর মৌলিক ভ্রান্তি হিসেবে বিবেচিত হবে।

১৩ অক্টোবর, ২০১৭ প্রথম আলোর লিড নিউজ হিসেবে যে চাঞ্চল্যকর খবরটা প্রকাশিত হয়েছিল তাহলো, দেশের ১১টি সিটি করপোরেশনে মোট ছয় ধরনের গৃহকরের হার বলবৎ রয়েছে, যেখানে ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বার্ষিক সর্বনিম্ন ১২ শতাংশ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ১২, খুলনা সিটি করপোরেশনে ১৬, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ১৭, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ১৭, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ১৯, সিলেট সিটি করপোরেশনে ২০, রংপুর সিটি করপোরেশনে ২০ এবং রাজশাহী বরিশাল সিটি করপোরেশনে ২৭ শতাংশ হারে গৃহকর আদায় করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু ছয় রকমের গৃহকরের হারের ফলে রাজশাহী বরিশাল সিটি করপোরেশনের করদাতারা অন্য নয় নগরীর করদাতাদের চেয়ে বেশি পরিমাণ গৃহকর দিচ্ছেন বলে ধারণা করলে ভুল হবে। কারণ, ১১টি সিটি করপোরেশনে বাড়ির ভ্যালুয়েশনে কোনো ইউনিফর্ম পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি। বাংলাদেশের ১১টি সিটি করপোরেশনের গৃহকর নির্ধারণ আদায়ের পদ্ধতিগুলোয় চরম নৈরাজ্য বিরাজ করছে। তাই অবিলম্বে দেশের সব সিটি করপোরেশনের গৃহকর নির্ধারণ পদ্ধতিকে ইউনিফর্ম করার জন্য একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করে কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃক অবিলম্বে সংসদে একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ এখন ফরজ হয়ে গেছে। কারণ, ১৯৮৬ সালের দি সিটি করপোরেশন ট্যাক্সেশন রুলস অনুসরণে ১১টি সিটি করপোরেশনের যেখানেই গৃহকর নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়া হবে, সেখানেই করদাতাদের তোপের মুখে পড়তে হবে কর্তৃপক্ষকে।

১১ সিটি করপোরেশনের কোনোটিতেই গৃহকরের হার নির্ধারণের ভিত্তি হিসেবে বাড়ি ভাড়ার আয়কে এখনো ব্যবহার করা হয় না। অথচ ১৯৮৬ সালের দি সিটি করপোরেশন ট্যাক্সেশন রুলস অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছিল দেশের তদানীন্তন চারটি সিটি করপোরেশনঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের জন্য। অধ্যাদেশ জারির ৩৬ বছর পার হয়ে গেলেও দেশের রাজধানী ঢাকাসহ কোনো নগরীতেই বাড়ি ভাড়ার আয়ের ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণের ব্যবস্থা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। দেখা যাচ্ছে, খোদ ঢাকা সিটি করপোরেশনে বাড়ির মেঝের আয়তন বর্গফুটের ভিত্তিতে হিসাব করে প্রতি বর্গফুট টাকা থেকে শুরু করে ১৬ টাকা ধরে সম্পত্তির ভ্যালুয়েশন নির্ধারণ করে ওই ভ্যালুয়েশনের ওপর ১২ শতাংশ হারে গৃহকর নির্ধারণের নিয়ম অনুসরণ করা হয়েছে। ১৯৮৬ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে তিনবার গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। প্রতিবারই বাড়ির মেঝের আয়তন বর্গফুটের ভিত্তিতে ভ্যালুয়েশন করে গৃহকর বর্ধিত করা হয়েছে। প্রতিবারই নবনির্ধারিত গৃহকর পুরনো গৃহকরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি নির্ধারিত হলেও এগুলো নিয়ে ওই ২৯ বছরে ব্যাপক প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আন্দোলন পরিদৃষ্ট হয়নি, কারণ ওই বর্ধিত গৃহকরের পরিমাণ কোনোবারই করদাতাদের কাছে অস্বাভাবিক অসহনীয় বিবেচিত হয়নি। কিন্তু ২০১৬ সালে মেয়র নাসির ১৯৮৬ সালের ওই অধ্যাদেশ অনুসারে বাংলাদেশের ১১টি সিটি করপোরেশনের মধ্যে প্রথম সিটি করপোরেশন হিসেবে বাড়ি ভাড়ার আয়ের ভিত্তিতে গৃহকর পুনর্মূল্যায়ন শুরু করে দেন। ওই সময় থেকে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাড়ি ভাড়ার জরিপ চালাতে গিয়ে অসংখ্য জোরজবরদস্তির ঘটনা ঘটিয়েছেন। ঘুস-বাণিজ্যের মাধ্যমে মনগড়া ভ্যালুয়েশন নির্ধারণ করেছেন। কাউকে অন্যায় সুবিধা দিয়েছেন, কাউকে আবার গলাকাটা ভাড়া দেখিয়ে শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তারপর যখন নতুন হারে গৃহকর আদায়ের তোড়জোড় শুরু হয়েছে তখন করদাতাদের ধূমায়িত ব্যাপক ক্ষোভ উত্তপ্ত বিক্ষোভ আন্দোলনে রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছিল। প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীও ওই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

অথচ ওই প্রাথমিক পর্যায়েই ২১ অক্টোবর, ২০১৬ দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত আমার কলামে আমি তদানীন্তন মেয়রকে উদ্দেশ করে জানিয়েছিলাম, বিশ্বের কোথাও হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িভাড়ার আয়ের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় না। কারণ, হোল্ডিং ট্যাক্স প্রকৃতপক্ষে যেহেতু সম্পত্তি কর বা প্রোপার্টি ট্যাক্স তাই বিশ্বের সব সিটি করপোরেশনে প্রোপার্টি ট্যাক্সের একই নিয়মে কর আদায় করা হয়। নিয়মটি হলো, বিশ্বে সম্পত্তি কর বা প্রোপার্টি ট্যাক্স আরোপ করা হয় সম্পত্তির ভ্যালুয়েশনের ভিত্তিতে। আর সম্পত্তির ভ্যালুয়েশন করা হয় ওই সম্পত্তির অবস্থান আয়তনের (বর্গফুট বা বর্গমিটার) ওপর ভিত্তি করে। নগরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় হোল্ডিং ট্যাক্সের হার প্রতি বর্গফুটে সবচেয়ে বেশি হবে, এর পরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোয় হোল্ডিং ট্যাক্সের হার প্রতি বর্গফুটে ক্রমেই কম নির্ধারণ করা হবে। এভাবে নগরীর কেন্দ্রে যে হারে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারিত হবে তা ক্রমে কমতে কমতে শহরতলিগুলোয় হোল্ডিং ট্যাক্সের হার সর্বনিম্নে চলে আসবে। বাড়ির গুণগত মানের ভিত্তিতেও ভ্যালুয়েশন বেড়ে যাবে বা কমে যাবে। যেমন মার্বেল পাথর বা টাইলসের মেঝে হলে প্রতি বর্গফুটে যে ভ্যালুয়েশন হবে, মোজাইক মেঝে হলে তার চেয়ে কম ভ্যালুয়েশন হবে। শুধু সিমেন্টের মেঝে হলে ভ্যালুয়েশন আরো কমে যাবে। টিনের ছাউনি পাকাঘর হলে ভ্যালুয়েশন একবারেই কমে যাবে। বেড়ার ঘর হলে হয়তো কোনো গৃহকরই ধার্য হবে না। মেয়র নাসির কোনোভাবেই সত্যটার মুখোমুখি হলেন না যে বাড়িভাড়ার আয়ের ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণ করলে ডবল ট্যাক্সেশন অব ইনকাম হয়ে যাবে, যেটা বিশ্বের কোথাও করা হয় না। ব্যাপারটা নিয়ে জেদাজেদি করতে গিয়ে তার জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছিল বলা চলে। ওই সময় আমি নিজের উদ্যোগে ভারতের কলকাতা নগরী থেকে ওখানকার গৃহকর নির্ধারণের পদ্ধতি সম্পর্কে খবরাখবর সংগ্রহ করে এনেছিলাম। কলকাতা সিটি করপোরেশনেও সম্পত্তির অবস্থান, বাড়ির মেঝের আয়তন, বাড়ির গুণগত মান ইত্যাদি বিবেচনা করে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করা হয়। ভারতের সব সিটি করপোরেশনে একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নিজের উদ্যোগে কলকাতা, দিল্লি মুম্বাইয়ের মতো সিটি করপোরেশনের গৃহকর পদ্ধতি সম্পর্কে খবরাখবর সংগ্রহ করে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেন। এরপর তার দায়িত্ব হবে ১৯৮৬ সালের দি সিটি করপোরেশন ট্যাক্সেশন রুলস সংশোধনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের কোনো আমলার বা মন্ত্রীর উর্বর মস্তিষ্ক থেকে বাড়ি ভাড়ার আয়ের ভিত্তিতে গৃহকর নির্ধারণের যে ধারণা বেরিয়ে এসেছে সেটাকে অপরিবর্তনীয় বিবেচনা করা ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের জন্যও বড়সড় ভুল হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারত। দেশটি আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। ওখানকার সব সিটি করপোরেশনে যে নিয়মে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করা হয় আমাদের দেশে সে নিয়ম অনুসরণ করলে অসুবিধা কোথায়? অতএব ১৯৮৬ সালের দি সিটি করপোরেশন ট্যাক্সেশন রুলস যথাযথ সংশোধন করে একটি নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। আইন প্রণীত হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আগের নিয়মে গৃহকর আদায় অব্যাহত রাখুকএটাই আমার প্রার্থনা।

 

. মইনুল ইসলাম: সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি; একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন