মূলধারার শ্রমবাজারে নারীর অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে শিক্ষা ও দক্ষতা দুটোই গুরুত্বপূর্ণ

ছবি : বণিক বার্তা

ড. সায়মা হক বিদিশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) গবেষণা পরিচালক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। শ্রম অর্থনীতিতে পিএইচডি করেছেন যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি শ্রমবাজার, দারিদ্র্য, খাদ্যনিরাপত্তা, জেন্ডার ও নারীর ক্ষমতায়ন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড ও তরুণ জনগোষ্ঠী, অভিবাসন ও রেমিট্যান্স আয়, শিক্ষা ও দক্ষতা ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা করে আসছেন। সম্প্রতি আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে জেন্ডার বৈষম্য ও শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বিষয়ে কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাবরিনা স্বর্ণা 

সম্প্রতি ‘বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে জেন্ডার বৈষম্য’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন আপনারা। বর্তমানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে জেন্ডার বৈষম্যের স্বরূপ কেমন দাঁড়িয়েছে—গবেষণার আলোকে যদি বলতেন।

বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে জেন্ডার বৈষম্য শীর্ষক গবেষণাটি আড়াই বছরের একটি কাজ। এতে যাচাই করা হয়েছে পরিমাণগত ও গুণগত দুই দিক থেকে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কেমন। এই রিসার্চ টিমে ছিলেন উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আয়েশা বানু, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক লীলা রশিদ এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিআরডি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মোখলেসুর রহমান।

গবেষণা ফলাফলে গুণগত অংশে দেখা গেছে, সার্বিকভাবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণে জেন্ডার গ্যাপ ৬ দশমিক ৯ শতাংশ পয়েন্ট। কিন্তু ব্যাংক এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) ক্ষেত্রে পুরুষরা নারীদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। ব্যাংকের ক্ষেত্রে ১৭ দশমিক ২৮ শতাংশ পয়েন্ট গ্যাপ রয়েছে এবং এমএফএসের ক্ষেত্রে ৩৫ দশমিক ৪২ শতাংশ পয়েন্ট জেন্ডার গ্যাপ পাওয়া গেছে। তবে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের তুলনায় এগিয়ে আছেন। এতে মনে হতে পারে, আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে মেয়েরা খুব বেশি পিছিয়ে নেই। কিন্তু সত্যিকার অর্থে, ব্যাংক ও এমএফএসের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ব্যাংক একটি আনুষ্ঠানিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। সেখানে নারী ও পুরুষের মধ্যে পার্থক্যটা অনেক বেশি। এছাড়া ক্ষুদ্রঋণ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে নারীরা ঋণ বেশি নিচ্ছে ঠিকই তবে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে নারীদের (৬৬ শতাংশের ক্ষেত্রে) গৃহীত ঋণ স্বামী বা পুরুষ সদস্যরা খরচ করে থাকেন।

আবার অনেক নারীকে ব্যাংকে যেতে হলে পুরুষের অনুমতি নিতে হয়, তারা এমএফএসের পিন সেট করতে পারেন না। এক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও সম্পদের ওপর তাদের মালিকানার একটা বিষয় থাকে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি কোনো বাইনারি বিষয় নয়। এটির সঙ্গে গুণগত মানের বিষয়টিও সম্পৃক্ত। কাজেই নারীদের কোন ধরনের সেবা দেয়া হচ্ছে সেটিও দেখে নেয়া দরকার। তারা সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছেন, রেমিট্যান্স গ্রহণ করছেন। অন্যদিকে পুরুষরা ঋণ গ্রহণ, কেনাবেচার কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছেন। অর্থাৎ গুণগত মান বিচারেও পার্থক্য রয়েছে।

বিচার-বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে যে জেন্ডার গ্যাপ রয়েছে, তার অনেকাংশই নারী ও পুরুষের শিক্ষা ও শ্রমবাজারে অংশগ্রহণে পার্থক্যের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায়। যদি আমরা এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করি, তাহলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে এর প্রতিফলন পাব। কিন্তু এর পরও কিছু বিষয় ব্যাখ্যা করা যায় না। এখানে বিভিন্ন বিষয় কাজ করে। এর মধ্যে একটি হলো রেস্ট্রিক্টিভ জেন্ডার নর্মস। সামাজিক বিভিন্ন নেতিবাচক পরিস্থিতি বা নারীর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব জেন্ডার গ্যাপ তৈরিতে কাজ করতে পারে।

আমাদের শ্রমবাজারে ৫৭ শতাংশ নারীর উপস্থিতি নেই। যারা রয়েছেন তাদের কাজের ক্ষেত্রগুলোও সীমাবদ্ধ। যেমন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নারীর উপস্থিতি ২০ শতাংশেরও নিচে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? 

শ্রমশক্তির ২০১৬-১৭ থেকে ২০২২-এর জরিপ অনুযায়ী, নারীর শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হার বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৪২ দশমিক ৬৮ শতাংশ। তবে শহরে নারীর অংশগ্রহণ কমেছে, গ্রামে বেড়েছে। অনানুষ্ঠানিক, কম দক্ষতা ও স্বল্প মজুরির কাজ, যেমন কৃষিকাজ, পারিবারিক শ্রমিক এ ধরনের কাজে তারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। শহরের ক্ষেত্রে নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের হার অনেক কম। উচ্চ দক্ষতার কাজের ক্ষেত্রেও আমরা যদি দেখি, নারীদের অংশগ্রহণ অনেক কম। 

ম্যানেজার পজিশনে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ নারী। প্রফেশনে ৩০ শতাংশের মধ্যে টেকনিক্যাল প্রফেশনে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। ১০০ জন যদি কর্মচারী থাকেন ১০ জনেরও কম ম্যানেজার পদে নারী। অর্থাৎ সংখ্যাগত বড় একটা ফারাক রয়েছে। উচ্চ মানসম্পন্ন কাজ, মূলধারার শ্রমবাজার, উচ্চ মজুরির কাজ ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের ফারাকটা আরো অনেক বেশি। এর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। জেন্ডার নর্মস তার মধ্যে একটি। সব ক্ষেত্রে মেয়েদের অংশগ্রহণটাকে উৎসাহ দেয়া হয় না। এছাড়া স্বল্প দক্ষতার কাজে অটোমেশনের কারণে গার্মেন্টসে নারীদের প্রাধান্য কমে গেছে। 

গার্মেন্টসে নারীরা কম মজুরিতে কাজ করলেও ২০১৩ সালে রানা প্লাজার ঘটনার পর শ্রম আইন ও শ্রম আইনে কাজের নিয়ম-কানুন ও মজুরি পরিবর্তনের ফলে নারী শ্রমিকের হার কমেছে। অন্যদিকে উচ্চ পদে নারীদের না থাকার পেছনে সামাজিক বিষয়গুলোও প্রভাব রাখে। পারিবারিক গৃহস্থালির কাজও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ বলা যায়। সন্তান কিংবা পরিবারের বয়স্কদের দায়িত্ব নারীর ওপরই বর্তায় যা তার উচ্চ পর্যায়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এছাড়া শ্রমবাজারে আসার ক্ষেত্রে বাধা এবং শ্রমবাজারে অংশ নেয়া নারীর উচ্চ পর্যায়ে ট্রেনিং নিতে না পারা, ঘরের বাইরে কর্মক্ষেত্র সময় দিতে না পারা ও ঘরের দায়িত্বের কারণে কাজে মনোযোগী হতে পারছে না।

এর সমাধান কী হতে পারে? 

উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের দেশে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র, মাতৃকালীন ছুটি, নমনীয় কর্মঘণ্টা এবং অন্যান্য কাজের পরিধি বাড়ানো প্রভৃতি অতি জরুরি। পরিবারের উচিত নারীর গৃহস্থালি কাজকে একমাত্র নারীর কাজ মনে না করে ঘরের সবার মাঝে কাজ ভাগ করে নেয়া। গৃহস্থালি কাজের দায়িত্বের সঠিক বণ্টন নিশ্চিত করা গেলে নারীর ওপর চাপ কমবে। শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা ও সেগুলোকে সার্টিফায়েড করাও আবশ্যক। দিবাযত্ন কেন্দ্র যেমন সরকারিভাবে হতে পারে, তেমনি এটি প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যক্তি খাত এগিয়ে এলে কর প্রণোদনা দেয়া যেতে পারে। পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক এটি তৈরি করতে হবে নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য। এছাড়া স্কুলে যাতায়াতের পরিবহন, নারী বাস সার্ভিস উৎসাহিত করা জরুরি। মূল কথা, নারীবান্ধব পরিবেশ এ সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। 

সাক্ষরতার হার বাড়লেও কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ কম। বিষয়টি কি অর্থনৈতিক অপচয় হিসেবে বিবেচিত হবে? 

প্রাথমিক পর্যায় হোক বা উচ্চ পর্যায়, শিক্ষা কখনই অপচয় নয়। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণেও নারীদের বিভিন্ন বৃত্তি, কোটা সুবিধা, যাতায়াতের ব্যবস্থা ইত্যাদির মাধ্যমে উৎসাহিত করা দরকার। অনেকেই হয়তো স্বেচ্ছায় শ্রমবাজারে যেতে অনিচ্ছুক। আবার অনেকেই মূলধারার শ্রমবাজারে যেতে ইচ্ছুক হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবন্ধকতা থাকায় আসতে পারছে না। এক্ষেত্রে তাদের আসার পথটাকে সুগম করা দরকার। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ে তাদের ওপর সরকারের একটা বিনিয়োগ আছে। হয়তো শ্রমবাজারে না যাওয়ায় সমাজ বা দেশ তার কাছ থেকে ওই রিটার্নটা পাচ্ছে না। কিন্তু এটির অন্য অনেক সুফল আছে। তবে সবচেয়ে জরুরি হলো, শিক্ষা ও শ্রমবাজারে নারীদের প্রতি যে নেতিবাচক মনোভব রয়েছে, তা দূর করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সরকার, ব্যক্তি খাতে এবং মিডিয়াকে নারীবান্ধব সমাজ ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিতে হবে।

অটোমেশন ও ভবিষ্যতে দক্ষতার অভাবে যেসব নারী কর্মচ্যুত হয়ে পড়বেন, তাদের জন্য করণীয় কী? 

আমরা অনেক বেশি গার্মেন্টস-নির্ভর। আমাদের এর বাইরে কাজের ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে। হতে পারে সেটা কেয়ার সেক্টর। কেয়ার সেক্টরকে পেশাগতভাবে মাঝারি মানের দক্ষ কাজের ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুললে তারা মাইগ্রেটও করতে পারে। জাপান, জার্মান বা অন্যান্য দেশে। তাদের মাইক্রোক্রেডিটের জন্য ট্রেড লাইসেন্স সহজ করা যেতে পারে এক্ষেত্রে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ছাড় দেয়া যেতে পারে, যেখানে মেয়েরা স্বাধীন কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবে। হ্যান্ডিক্রাফটসহ বিভিন্ন জিনিসের বিশ্ববাজারে চাহিদা রয়েছে। জয়িতার মতো উদ্যোগগুলো বাড়ানো জরুরি। এক্ষেত্রে মূল মার্কেট কাঠামোর সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। মূল ধারার নারী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে নতুন নারী উদ্যোক্তাদের যোগাযোগ করিয়ে দিতে হবে। একই সঙ্গে দক্ষতা বৃদ্ধির ট্রেনিং প্রোগামগুলো বাড়ানো এবং অংশগ্রহণের পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি।

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বিদ্যমান প্রণোদনার অনেক কিছুই আর নারীরা পাবেন না। যেহেতু অনেক সুযোগ থাকবে না, সেক্ষেত্রে আগামী বাজেটে বরাদ্দ কেমন হওয়া উচিত?

জেন্ডার বাজেট বিষয়টা শুধু নারীদের জন্য নয়। মন্ত্রণালয়গুলোয় সরাসরি জেন্ডার টার্গেটেড প্রোগ্রামগুলো শুরু করতে হবে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে আরো বেশি শক্তিশালী ও প্রাচুর্যপূর্ণ করতে হবে। স্কিল ট্রেনিং প্রোগ্রামটা এক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আত্মক্ষমতায়নের সুযোগগুলোকে বাড়ানোর জন্যও পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংকেও উৎসাহিত করা ও সহজ করার বিষয়ে কাজ করতে হবে। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর অসংখ্য বিষয় আছে। সেগুলোর মধ্যে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএসএস) গুরুত্বপূর্ণ; অনেকগুলো প্রোগ্রামের মধ্যে কয়েকটি প্রোগ্রাম থাকবে কমপ্রিহেনসিভ। নারীদের পেছনে মাথাপিছু বরাদ্দ বাড়ানো দরকার এবং বরাদ্দের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া গ্রামে পিছিয়ে পড়া নারীদের মধ্যে ট্রেনিং কম্পোনেন্টগুলোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। মূলত জীবন চক্র অনুযায়ী সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত যারা তাদের জন্য এটা জরুরি। আর শ্রমবাজারে নারীর অন্তর্ভুক্তির কথা বলতে গেলে তাদের মূলধারার শ্রমবাজারে কাজ করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষা ও দক্ষতা এ দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। আর নেতিবাচক জেন্ডার নর্মস দূর করার জন্য, এগুলোকে পরিবর্তন করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা আছে। পাশাপাশি ব্যক্তি খাতকেও এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়াকে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন