কভিড-১৯-এর টিকা গ্রহণকারী যাত্রীদের জন্য স্পেন ও ফ্রান্স কর্তৃক বিমান ভ্রমণ উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থা (আইএটিএ)। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহে স্পেন ও ফ্রান্সের সীমান্তে সাশ্রয়ী মূল্যে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানিয়েছে তারা।
খবর এএনআই।
৭ জুন থেকে স্পেন বিশ্বজুড়ে যেকোনো দেশ থেকে কভিড-১৯-এর টিকা গ্রহণকারী ভ্রমণকারীদের জন্য তার সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয়।
পাশাপাশি দেশটি ইউরোপীয় ভ্রমণকারীদের জন্য অ্যান্টিজেন টেস্টের নেগেটিভ ফলাফল প্রদর্শনপূর্বক ভ্রমণের সুযোগ তৈরি করে দেয়।
কভিড সংক্রমণের নিম্নগতিতে থাকা দেশগুলোর ভ্রমণকারীরা স্পেন ভ্রমণ করতে পারবেন কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই।
৯ জুন থেকে ফ্রান্সও তাদের সীমান্ত ভ্রমণকারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।
তবে এক্ষেত্রে কভিড সংক্রমণের উচ্চগতিতে থাকা দেশগুলোর ভ্রমণকারীরা এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন না।
সংক্রমণের মাঝামাঝি গতিতে থাকা দেশগুলোর ভ্রমণকারীরা কভিড নেগেটিভ সনদ প্রদর্শনপূর্বক ফ্রান্সে প্রবেশের অনুমতি পাবেন বলে জানায় দেশটির কর্তৃপক্ষ, তবে এসব দেশ থেকে আগত যেসব ভ্রমণকারী টিকা গ্রহণ করেননি তাদের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে সাতদিন আইসোলেশনে থাকতে হবে।
আইএটিএর মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ বলেন, ফ্রান্স ও স্পেনের এমন পদক্ষেপ ইউরোপের অন্যান্য দেশকেও তাদের সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিতে আগ্রহী করে তুলবে।
তারা টিকা গ্রহণকারীদের জন্য ভ্রমণের সুযোগ তৈরি করাসহ অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে ভ্রমণকে আরো সাশ্রয়ী করে তুলছে।
ওয়ালশ বলেন, সমগ্র ইউরোপে একতাবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে ব্যবসা খাত ও অর্থনীতি আরো বেশি উপকৃত হবে।
কভিড-সংক্রান্ত নীতিমালা শিথিল করার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ভ্রমণের স্বাধীনতা আবারো ফিরে আসবে।
তিনি আরো জানান, তবে সমগ্র ইউরোপে সীমান্তের এ শিথিলতা এখনো কার্যকর হয়নি।
অনেক ইউরোপীয় দেশ তাদের সীমান্ত পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।
সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয়ার ব্যাপারে গৃহীত এমন বিচ্ছিন্ন সিদ্ধান্ত সম্মিলিতভাবে শিথিল করতে হবে।
আর এ সীমান্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো জোট থেকে আসা উচিত।
