করোনা সংক্রমণ রোধে আগরতলায় ১০ দিনের কারফিউ

নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ভারতের ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় ১০ দিনের করোনা কারফিউ জারি করেছে রাজ্য সরকার। গতকাল স্থানীয় সময় ভোর ৫টা থেকে ২৬ মে পর্যন্ত শুধু আগরতলা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন এলাকা কারফিউর আওতায় থাকবে। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি রাজ্যের উপপ্রধান মুখ্যমন্ত্রী জিশনু দেবের সভাপতিত্বে এক জরুরি বৈঠকে রাজ্যের চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা এ পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদের মুখপাত্র ও রাজ্যের আইনমন্ত্রী রতন লাল। রাজ্যবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সবাই নিরাপদে থাকুন। দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো এখানকার পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি। এজন্য সবাই দয়া করে পরীক্ষা করান। নিজেদের রক্ষা করতে আমাদের তিনটি ধাপ অনুসরণ করতে হবেসচেতনতা, পরীক্ষা করানো ও টিকা দেয়া।

ত্রিপুরায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ১০২ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। রাজ্যটিতে করোনাভাইরাস শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১২ শতাংশ ও মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যের পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাজ্যের ৬৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ রোগীই পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার। বর্তমানে এ জেলায় শনাক্তের হার বেড়ে ৯ দশমিক ২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আবার এ জেলার ২ হাজার ২৬৩ করোনা রোগীর ১ হাজার ৪৮৬ জনই আগরতলার।

এদিকে কারফিউর পাশাপাশি আগরতলা পৌর নিগমের সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত ৫, ২১ ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডকে পশ্চিম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কন্টেইনমেন্ট জোনের নিয়মানুসারে এসব এলাকার মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না এবং বাইরের লোকও এসব এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। তবে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় রয়েছে। কন্টেইনমেন্ট এলাকার মানুষ এ সময় বাড়ি থেকে কাজের জন্য বের হতে পারবে না। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক অবস্থা অনুসারে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, আলু, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। আগরতলার পাশাপাশি উত্তর জেলার পানিসাগর নগর পঞ্চায়েত ও ঊনকোটি জেলার কৈলাসহর পৌর পরিষদের কিছু কিছু এলাকায় কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন