ছবি : সংগৃহীত ছয়দিনের সরকারি সফর শেষে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, শেখ হাসিনা গতকাল ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার পথে রওনা হন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার থাইল্যান্ড যান শেখ হাসিনা। তিনি এ সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ হিসেবে বলেছেন, এ সফর দুই দেশের সম্পর্কের গতিকে আরো নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।
গত শুক্রবার থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ সভায় অংশগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। একই দিন তিনি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউজে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। উভয় নেতার উপস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে পাঁচটি নথি সই হয়। এর মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি অভিপ্রায়পত্র রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সফরের দ্বিতীয় দিন জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি সব বিশ্বনেতাকে যুদ্ধ, আক্রমণ ও আগ্রাসন বন্ধ করে সংঘাতকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা।’ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিরসনে গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘সংলাপ শান্তি আনতে পারে।’
