জলবায়ু অভিযোজনে বছরে ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: বণিক বার্তা

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, জাতীয় পর্যায়ে জলবায়ু অভিযোজনের জন্য বছরে ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে ৪৮০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে প্রায় ৮ শতাধিক প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেছে। বর্তমানে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৩০০ নতুন প্রজেক্ট অনুমোদিত হয়েছে। এ অর্থ আমাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত ‘অ্যাপ্লিকেশন অব কার্বন ফাইন্যান্সিং: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড পলিসি অপশনস ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে ৬ মিলিয়নের বেশি সোলার হোম সিস্টেম রয়েছে। আমি যদি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাই যে এই ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের কতগুলো কার্যকর আছে, তারা হয়ত বলতে পারবে না। এগুলো এখন অনেকটাই কার্যকর নেই।

তিনি আরো বলেন, তেলের জন্য আমরা যেভাবে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভর করি সেভাবে যেন জ্বালানির জন্য অন্য দেশের ওপর নির্ভর করতে না হয়।

সেমিনারে বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত আ ফ ম গৌসল আজম সরকারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু বকর সিদ্দিক খান। ‘কার্বন অর্থায়নের পথ: বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্যতা’ শীর্ষক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইআইএসএসের গবেষণা পরিচালক ডা. মাহফুজ কবির।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ইউন জু অ্যালিসন ইয়ি গ্রিন গ্রোথ ফ্রেমওয়ার্কের জন্য ৯ টি  পলিসি নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, দেশের সামনে আসন্ন উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরিবেশগত শাসন ও জবাবদিহি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বাণিজ্যিক স্বাধীনতা  নিশ্চিত, সবুজ পরিবহনের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক সংযোগ ব্যবস্থা ও লজিস্টিক সিস্টেম উন্নত করতে হবে।

সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট আরিফ এম ফয়সাল, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) নির্বাহী পরিচালক ও সিইও আলমগীর মোর্শেদ, অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব  ড. মো. নজরুল ইসলাম, বিজিএমইএর ডিরেক্টর শামস মাহমুদ প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন