আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শেখ হাসিনার
বিকল্প শেখ হাসিনাই। ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা সমস্ত রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশে
ফিরে এসে যেমন আওয়ামী লীগকে পুনরায় সংগঠিত করেছেন, তেমনি দেশকে বিস্ময়করভাবে এগিয়ে
নিয়ে বিশ্বের দরবারে অনন্য মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে রাজধানীর
তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে '১৭ মে ১৯৮১ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
দিবস উদযাপন' আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, 'শেখ হাসিনাকে প্রায়
১৯ বার হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসেও
তিনি বিচলিত হননি। তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন, জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে
পথ চলেছেন কিন্তু জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের কাফেলা থেকে কখনো বিচ্যুত হননি।'
ইতিহাসের দিকে দৃকপাত করে ২১ আগস্টের
গ্রেনেড হামলায় আহত হাছান মাহমুদ বলেন, 'চট্টগ্রামে পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার
করে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে, সেদিন সেই
মিছিলের সম্মুখভাগে আমি ছিলাম। কোটালীপাড়ায় ৮১ কেজি বোমা পুঁতে রেখে, ২০০৪ সালের ২১
আগস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুঁড়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা
হয়েছে। কিন্তু মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুকন্যা কখনো বিচলিত হননি।'
এ সময় বিএনপির রাজনীতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাছান বলেন, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া অঞ্চলের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফরের পর বিএনপির নেতারাদের মাথা আরো খারাপ হয়ে
গেছে। তারা অনেক চেষ্টাও করেছিল দেখা-সাক্ষাৎ করার। কিন্তু
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিয়ে গেছে তারা সম্পর্ককে আরো গভীর করতে চায় এগিয়ে
নিয়ে যেতে চায়। এ জন্য মাথা খারাপ বিএনপি এখন খেই হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, 'আগে দেখতাম দুই একজন নেতা
খেই হারিয়ে ফেলে আবোল-তাবোল কথা বলেন। এখন সিনিয়র নেতারাও খেই হারিয়ে ফেলছেন। তাদের
দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করে লাভ হযনি বরং তারা ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন থেকে বাইরে থাকার
যে পথ অনুসরণ করছেন এতে বিএনপির জন্যই আকাশটা হয়ে আসছে। তার যদি সেই পথেই থাকে এক
সময় হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে।'
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক
সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব
হুমায়ুন কবির মিজি'র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির
সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা
সংসদের সাবেক মহাসচিব সফিকুল বাহার মজুমদার, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত
হোসেন টয়েল প্রমুখ।