‘ডলার সংকটের জন্য দায়ী ক্ষমতাসীনদের চুরি ও দুর্নীতি’ —বদরুদ্দীন উমর

ছবি: ফাইল/নিজস্ব আলোকচিত্রী

বর্ষীয়ান রাষ্ট্রচিন্তাবিদ, তাত্ত্বিক ও রাজনীতিবিদ বদরুদ্দীন উমর। পারিবারিকভাবে রাজনৈতিক উত্তরাধিকার বহনকারী বদরুদ্দীন উমর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত রয়েছেন ৫৩ বছর ধরে। দেশের রাজনীতি, সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়ে শতাধিক বই রয়েছে তার। দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতির বর্তমান-ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন বণিক বার্তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাবিদিন ইব্রাহিমআনিকা মাহজাবিন

বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ কী দেখছেন?

অর্থনীতির উন্নয়ন কাকে বলে? উন্নয়ন এক জিনিস। আর অর্থনৈতিক কল্যাণ আরেক জিনিস। বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে ধার করে। উন্নয়ন হচ্ছে গরিব শ্রমিকদের পয়সায়। কৃষিতে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা হয়েছে স্রেফ কৃষকদের চেষ্টায়। আইএমএফ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার লোন নেয়ার জন্য কত রকম শর্ত মানতে হচ্ছে! আর বাংলাদেশের শ্রমিকরা এর চেয়ে কতগুণ বেশি টাকা পাঠাচ্ছে? কিন্তু যে শ্রমিকরা এ টাকা পাঠাচ্ছে, তাদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব কারো নেই। দূতাবাসগুলো শ্রমিকদের কোনো পাত্তা দেয় না। না খেয়ে এক কামরায় চৌদ্দজন গাদাগাদি করে থেকে বহু কষ্ট করে তারা এ টাকা পাঠাচ্ছে। অনেকে মরে যাচ্ছে। তাদের মরদেহ দেশে আসছে। এই যে অর্থনীতি—এর কীভাবে উন্নয়ন হচ্ছে? এর সারপ্লাসটা কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে?

বর্তমান ক্ষমতাসীনরা মেগা প্রজেক্টের কথা বলছে। এসব মেগা প্রজেক্ট কোনো রকম উন্নয়নের তাগিদে হচ্ছে না। এগুলো করা হচ্ছে যেখানে মেগা চুরির জায়গা রয়েছে। মেগা প্রজেক্ট মানে মেগা চুরির সুযোগ। পৃথিবীর যেকোনো দেশে সড়ক-রেল বা মেট্রো তৈরিতে প্রতি কিলোমিটারের খরচের সঙ্গে তুলনা করলেই এর প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থেকে শুরু করে নানা সংস্থার প্রতিবেদনে এসেছে, এখানে একটি মেগা প্রজেক্ট আরম্ভ হয়ে শেষ হওয়া পর্যন্ত ব্যয় সংশোধন হয়ে দ্বিগুণ-তিন গুণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে চার গুণ পর্যন্ত হয়। এর সবটা হচ্ছে অদক্ষতা ও চুরি-দুর্নীতির কারণে। এমনকি দেশে ডলার সংকটের জন্যও দায়ী ক্ষমতাসীনদের চুরি ও দুর্নীতি। 

মেগা প্রকল্পগুলো করতে গিয়ে যে অভ্যন্তরীণ সম্পদ কাজে লাগাতে হচ্ছে, সে পয়সা জোগাড়ে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা থেকে টাকা কাটতে হচ্ছে। যেটা এবারের বাজেটেও হতে যাচ্ছে। অথচ স্বাস্থ্য খাতে এমনিই লোক মারা যাচ্ছে। আবার সরকারি কর্মচারীসহ অন্যদের বেতন বাড়িয়ে দেয়াসহ কতভাবে যে অপচয়মূলক ব্যয় হচ্ছে, তার ঠিক নেই। 

ঢাকায় মেট্রোরেল হয়ে ঢাকার লোকদের সুবিধা হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে। একেকটায় হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। একদিকে দেখা যাবে হয়তো এ রকম কিছু উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু এ উন্নতির ফলে লাভবান হচ্ছে খুবই সামান্য কিছু লোক। হয়তো এ লাভবানের হার ১০ শতাংশ। বাকিরা লাভবান হচ্ছে না। অর্থনৈতিক উন্নয়ন বলতে এ ধরনের উন্নয়নকে বোঝায় না। এখানে জিনিসটাকে সামগ্রিকভাবে বুঝতে হবে। এই যে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে এটিও তো অর্থনীতি। মেগা প্রজেক্ট হচ্ছে, কিন্তু জিনিসপত্রের দামে যে মেগা বৃদ্ধি হচ্ছে, সেখানে কোনো ধরনের নিয়ন্ত্রণ নেই। 

এখন এখানে লুটপাট হচ্ছে। আমি তো লিখেছিই যেভাবে লুটপাট হচ্ছে, তা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লুটপাটের মতো। তফাৎটা হচ্ছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিদেশে লুটপাট করে নিজের দেশে টাকা পাঠাত। আর এখন হলো দেশে লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাঠানো হচ্ছে। কাজেই এ লুটপাট যারা করছে তাদের চরিত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চেয়েও আরো জঘন্য। খবরে বেরিয়েছে, দুবাই শহরে ৫৬০ জন বাঙালির বাড়ি আছে। এছাড়া দুনিয়ার কত জায়গায় যেমন টরেন্টোর বেগম পাড়ায়, মালয়েশিয়া, ব্যাংকক, সৌদি আরব, আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ডসহ নানা জায়গায় সম্পত্তি আছে। সব চুরি করে নিয়ে চলে গেছে। 

তার মানে আপনার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী উন্নয়ন সামগ্রিক হয়নি? 

সামগ্রিকভাবে দেখলে অর্থনীতিতে কয়েক লাখ লোক অনেক ধনী হয়েছে। শত শত কোটি, হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে। ঢাকার দিকে তাকালে দেখি দুনিয়ার মধ্যে এক মেগা সিটি। এই যে কিছু লোকের উন্নতি হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘‌সমস্ত রক্ত মুখে আসিয়া জমা হইলে তাহাকে স্বাস্থ্য বলা যায় না।’ তেমনি বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা হচ্ছে, সমস্ত রক্ত মুখে এসে জমা হয়েছে। তাহলে এটাকে তো অর্থনীতির স্বাস্থ্য বলা যাবে না। সাধারণ লোক তাদের প্রয়োজনমতো খেতে পায় না। এখানে দুর্ভিক্ষ হয়নি, তা ঠিক। কিন্তু যেটা হচ্ছে; সেটা হলো পুষ্টিহীনতা সাংঘাতিক রকমের বেড়েছে। জিনিসপত্রের যে দাম বেড়েছে, খাবে কী করে? কাঁচা পেঁপে কেজি ২-৩ টাকায় পাওয়া যেত, এখন তা ১০০ টাকা। প্রতি কেজি কাঁচা লঙ্কার দাম ২০০ টাকা। মাছ-মাংস তো দূরের কথা! আগে ডিম মোটামুটি সস্তা প্রোটিন ছিল। এখন তো তারও দাম বেশি। পুষ্টিহীনতার কারণেও এখন অনেকের নানা ধরনের রোগ হচ্ছে। 

অর্থনীতি তো সবকিছু মিলেই। অর্থনীতি মানে এই নয় যে, কার ব্যাংকে কত টাকা জমা হচ্ছে, কয়টা ব্রিজ আর রাস্তা হচ্ছে। তাহলে ভবিষ্যৎ কী? চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের আশু কোনো উপায় তো দেখতে পাচ্ছি না। 

এ পরিস্থিতি কতদিন চলবে বলে আপনার মনে হয়?

অদূর ভবিষ্যতে এ পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে বলে আমার মনে হয় না। বরং এখন তো ওরা আরো অনেক বেশি সুসংহত হয়েছে। একচ্ছত্র রাজত্ব কায়েম করেছে। রাজনীতিতেও যে অবস্থা হয়েছে, তাতে দেখি আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কিছু নেই। বিএনপি তো কার্যত শেষ হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের যে অবস্থা, এমনিতে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু কথা হচ্ছে, ‘বজ্র আঁটুনি, ফসকা গেরো’। দেশের অর্থনীতির যে অবস্থা, রিজার্ভ কমে যাচ্ছে, দেশের লোকের নানা রকম সংকট। হয়তো হঠাৎ করে একটা ঘটনা ঘটতে পারে। কী হবে সেটা তো বলা যাবে না। আমরা তো গণক ঠাকুর না। যদি হঠাৎ কিছু না হয়, তাহলে চলবে। অন্তত আরো পাঁচ বছর তো চলবেই। তার পরও আরো চলতে পারে, বলা যায় না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের অবশ্য বেশি আসন পাওয়ার কথা না। কিন্তু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কীভাবে হবে? নির্বাচনই তো উঠে গেছে। এগুলো কোনো নির্বাচন নয়। এদিক দিয়ে দেশের খুব খারাপ অবস্থা হয়ে যাচ্ছে। 

এরশাদের সময় আন্দোলন করতে করতে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। কিন্তু এখনকার সঙ্গে তখনকার তফাৎ হলো ওই সময় কিছু রাজনৈতিক দল ছিল; যারা ছিল সংগঠিত ও শক্তিশালী। এখন সেটার অভাব হয়ে গেছে। বিএনপি যে শক্তি মোবিলাইজ করেছিল, সেটা নেতৃত্বের দুর্বলতায় তারা তা কাজে লাগাতে পারেনি। শক্তিশালী কোনো রাজনৈতিক দল ছাড়া গণঅভ্যুত্থান তো এমনিই হতে পারে না। সে রকম রাজনৈতিক দলের অভাব দেখা যাচ্ছে। এখানে সংগঠিত দল না থাকাটা গণঅভ্যুত্থানের জন্য সমস্যা। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দলেরই এখন আগের মতো শক্তি নেই। 

ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার উৎস কি তবে রাজনৈতিক দল নয়?

বর্তমানে ক্ষমতাসীনরা তাদের ক্ষমতাকে সুসংহত করছে রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর বা একে মোবিলাইজ করে নয়। বরং পার্টিকে অবহেলা করে আমলা-পুলিশ এসবের ওপরে নির্ভর করেই করেছে। তারা নিজ দলের শৃঙ্খলা ও নিয়ম-কানুনকেও অবজ্ঞা করেছে। উপজেলা নির্বাচনে তারা আর প্রার্থীই দিল না। যে অবস্থা হয়েছে, দেশ আওয়ামী লীগ দ্বারা শাসিত হচ্ছে বলা যাবে না। এ দেশ ‘স্টেট মেশিনারি’ দ্বারা শাসিত হচ্ছে। বিএনপির সংগঠন তো এমনিই দুর্বল। আমার ধারণা ২০২৪ সালের পর থেকে তারা আরো দুর্বল হতে থাকবে এবং দলটি আস্তে আস্তে রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে। দেশটা আমলা-পুলিশ দ্বারা শাসিত হচ্ছে। এভাবে তো চলতে পারে না। 

বাংলাদেশের অর্থনীতি ও রাজনীতিতে ভারত-চীন-যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার ভূমিকাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে সবাই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত ও রাশিয়াসহ সবাই প্রতিযোগিতা করছে। এজন্যই নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের তোড়জোড় দেখে সবাই মনে করেছিল যে তারা হয়তো কঠিন কিছু করবে। কিন্তু এটা তো সম্ভব না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে যে প্রতিযোগিতা, তাতে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে একেবারে শত্রুভাবাপন্ন করে ফেললে সংকট আরো বাড়বে। কাজেই যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গেও তাদের সম্পর্ক ভালো রেখেছে। মানুষজন যে শত্রুতা হবে বলে মনে করেছিল, তা হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো বর্তমান ক্ষমতাসীনদের প্রতি পুরোপুরি মিত্রভাবাপন্নও নয়। কিন্তু যেহেতু আর কোনো উপায়ও নেই, সেহেতু যুক্তরাষ্ট্র-ইংল্যান্ড এখানে এখনো আছে।

এখানে চীন ও রাশিয়ার প্রভাব আগে এত বেশি ছিল না। এখন তারা সেটা এখানে প্রতিষ্ঠা করছে। বাংলাদেশ এমন এক এলাকা, যেখানে সবাই চায় নিজেকে তার বন্ধু বলে দাবি করতে। কেউ বাংলাদেশকে শত্রুভাবাপন্ন করতে চায় না। 

বাংলাদেশের যে পরিবর্তনের সূচনা, সেটা বাইরের কোনো দেশ তৈরি করবে না। সেটা ভেতর থেকেই হতে হবে। যে ক্লাসের যে দুর্বলতা! ব্যবসায়ী শ্রেণী যেখানে রাজত্ব করে, সেটা টেকসই না। মার্ক্স তার ক্যাপিটালে বলেছিলেন, মার্কেন্টাইল অর্থাৎ ব্যবসায়ী শ্রেণী ক্ষমতায় এলে সমাজে নৈরাজ্য হয়। দেশের মধ্যে খুন, ধর্ষণ, লুটপাট—এসব চলে। বাংলাদেশেও তাই হচ্ছে। 

ব্যবসায়ী শ্রেণীটা বাংলাদেশকে যেভাবে খেয়ে ফেলছে, সেটা আসলেই খেয়ে ফেলার মতো অবস্থা। এতদিন পর্যন্ত তারা উদ্বৃত্তটা খাচ্ছিল। এখন আসল খেয়ে ফেলছে। কাজেই ভবিষ্যতে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণভাবেই পরিবর্তনের সূচনাকারী সংকট তৈরি হওয়ার একটা সম্ভাবনা আছে। কোনো কোনো দেশ এর সুযোগ নিতে পারে। কিন্তু তা হলে ভেতর থেকেই হবে। 

বলা হয় আমাদের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মূল্যবোধে প্রতিবেশী ভারতের প্রভাব আছে। এটাকে কীভাবে দেখেন?

আমাদের সংস্কৃতিতে ইউরোপের প্রভাব আছে। এখন ভারতের প্রভাব যদি ভালো হয়, তাহলে ভালো। কিন্তু এখানে যেটা দেখা যাচ্ছে, সেটা তো একেবারে ‘বিদ্বেষ’। হিন্দুত্ববাদের যে কালচার দেখা যাচ্ছে, সেটা তো একেবারে জঘন্য। সেদেশের ক্ষমতাসীনরা যেগুলো বলছে তা কি ঠিক? সেখানে ১৫ শতাংশ মুসলমান। তারা তো সেখানে হাজার বছর ধরে আছে। যদিও তাদের ভারতে অনুপ্রবেশকারী বলা হচ্ছে। 

এখানে কিছু লোক আছে যারা বলছে, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা আছে। কিন্তু বিষয় হলো যারা সুযোগসন্ধানী, তারাই কিন্তু সম্পত্তির জন্য লুটপাট করছে; মন্দির ভাংচুর করছে। উপমহাদেশের মধ্যে সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক দেশ বাংলাদেশ। পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানের হার বাংলাদেশে হিন্দুর হারের চেয়ে বেশি। কিন্তু বাংলাদেশে চাকরির বাজারে হিন্দুদের অংশগ্রহণ পশ্চিমবঙ্গের চাকরির বাজারে মুসলমানদের অংশগ্রহণের চেয়ে বেশি। অথচ কিছু লোক সব সময়ই বলে আসছে এখানে সাম্প্রদায়িকতা আছে। 

একটি বিষয় হলো সমাজতন্ত্র হলেও তো সাম্প্রদায়িকতা থাকবে। সাম্প্রদায়িকতা একটি পলিটিক্যাল ক্যাটাগরি। এটা তো এখানে নেই। তবে তা ভারতে আছে। এখানে কোনো সাম্প্রদায়িক দল নেই। কিন্তু ভারতে ক্ষমতাসীনরাসহ অনেক সাম্প্রদায়িক দল আছে। বাংলাদেশের কোনো ইসলামিক দলেরই হিন্দু বা অন্য ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রোগ্রাম নেই। যেটি ভারতের ক্ষমতাসীনদের মধ্যে দেখা যায়। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন