ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ

অগ্রগতির চেয়ে মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীনদের ব্যবসা বাণিজ্যই বেশি হয়েছে

আরফিন শরিয়ত

ছবি : বণিক বার্তা

বিপুল অংকের অর্থ ব্যয়ে গত দেড় দশকে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতে অনেক প্রকল্প নেয়া হয়েছে। শুরুতে ডিজিটাল ও পরে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প সামনে রেখে এসব প্রকল্প নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। আইসিটি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, এসব প্রকল্পের কাজে মূলত ক্ষমতাঘনিষ্ঠদেরই আধিপত্য ছিল সবচেয়ে বেশি। 

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে; এ সময় আইসিটি খাতে যারা সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছেন, তাদের মধ্যে বড় একটি অংশে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ঘনিষ্ঠজন। এমনকি জুনাইদ আহমেদ পলক নিজেও সব সময় সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে চলেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্যে দেশের আইসিটি খাতের ‘অগ্রগতির’ কৃতিত্ব দিয়েছেন ‘জয় ভাইকেই’। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ বণ্টনের বিষয়টিতে এ দুজনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতরা অগ্রাধিকার পেয়েছেন সব সময়। এর আগে মোস্তাফা জব্বার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার সময়ও তার ঘনিষ্ঠরা মন্ত্রণালয়ের কাজ পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া এ তালিকায় আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্য, যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের নামও রয়েছে। 

আইসিটি খাতে দেশী উদ্যোক্তাদের মধ্যে গত দেড় দশকে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি কাজ পাওয়াদের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খানের ভাই এবং সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ খান। এ তালিকায় অন্যদের মধ্যে রয়েছেন ফাইবার অ্যাট হোমের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকী, র‍্যাডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ফারুক, ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেডের ওয়াহেদ শরীফ, ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, জাতীয় ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক বরকতউল্লাহ, গিগাটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামিরা জুবেরী হিমিকা, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য মাশরুল আলম মিলন, ফ্লোরা সিস্টেম লিমিটেডের মোস্তফা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। 

এছাড়া সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর ছেলে জারেফ হামিদ, সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের ভাগনে তারেক একরামুল হক, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে তমালের নামও এ তালিকায় রয়েছেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও বিডিজবসের প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর বণিক বার্তাকে বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। এর কোনো সুফল ইন্ডাস্ট্রি পায়নি, এমনকি এর প্রভাব সামাজিকভাবেও খুব একটা দেখা যায় না। কেবল৷ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিই এর সুবিধা ভোগ করেছেন।’

দেশের সফটওয়্যার খাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তাফা জব্বার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব নেয়ার পর তার স্থলাভিষিক্ত হন দেলোয়ার হোসেন ফারুক। তিনি র‍্যাডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মোস্তাফা জব্বার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসার পর মন্ত্রণালয়ে র‍্যাডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেডের আধিপত্য তৈরি হয়। প্রতিষ্ঠানটি যেসব কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল ইকুইপমেন্ট সরবরাহ, সরকারি টেলিকম অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ডাটা ওয়্যার হাউজিং ও বিজনেস ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম তৈরি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) স্থাপন, নিম্নতম মজুরি বোর্ড ব্যবস্থাপনাসহ সরকারি অফিসে টেলিযোগাযোগ সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, মোবাইলসহ সব ধরনের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা ইত্যাদি। 

এছাড়া বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটি, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সি পাওয়ার প্রজেক্ট, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ডিজিটাল ডিভাইস সরবরাহের সব কাজ করত র‍্যাডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেড।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রযুক্তি খাতের শক্তিশালী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড ও ফাইবার অ্যাট হোম। দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসার মধ্যে আইআইজি, আইজিডব্লিউ, এনটিটিএন, আইএসপিসহ প্রত্যেকটি ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার করে এ দুই কোম্পানি। সম্প্রতি আরো ১৫ বছরের জন্য এনটিটিএন লাইসেন্স পেয়েছে ফাইবার অ্যাট হোম।

দেশের ব্যাংক খাতে প্রযুক্তিসেবা প্রতিষ্ঠান মোস্তফা রফিকুল ইসলামের ফ্লোরা সিস্টেম লিমিটেড। তিনি ব্যাংক খাতে মোস্তফা ডিউক নামেও পরিচিত। কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার তৈরিতে ফ্লোরা সিস্টেম কাজ করলেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অটোমেশনের কাজও করতে তার কোম্পানি। অভিযোগ আছে ফ্লোরা লিমিটেডকে কাজ পাইয়ে দিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি লঙ্ঘন করা হতো। 

দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানের যেকোনো প্রোগ্রাম লাইভ করার প্রবণতা শুরু হয় ২০১৬ সালে। এ সময় আইসিটি বিভাগ, এশিয়াটিক ও যেকোনো সরকারি লাইভ ব্রডকাস্টের কাজ বাধ্যতামূলকভাবে ঢাকা লাইভ নামের ভিডিও স্ট্রিমিং কোম্পানিকে দিতে হতো। 

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শুরু থেকেই প্রযুক্তি খাতের সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রেখেছেন তারেক বরকতউল্লাহ। জাতীয় ডাটা সেন্টারের সাবেক এ পরিচালক ২০৭ কোটি টাকার একটি কাজ দিয়েছিলেন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওরাকলকে। এ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে তিন বছরের জন্য ক্লাউড সেবা নেয়ার কথা। দেশে জাতীয় ডাটা সেন্টার স্থাপনের পরও সিঙ্গাপুরভিত্তিক ওরাকলের কাছ থেকে বড় অংকের অর্থ ব্যয়ে ক্লাউডভিত্তিক সেবা গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন প্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্টরা। 

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পটি বাংলা প্রজেক্ট নামে পরিচিত। প্রায় ১৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটিতে কাজ পেয়েছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপের একাধিক প্রতিষ্ঠান। ১৬টি কম্পোনেন্টের জন্য টেন্ডার ব্যয়ের প্রায় ৩৩ শতাংশ বা এক-তৃতীয়াংশ মূল্যের কাজ পেয়েছে বেক্সিমকো ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।

বেক্সিমকো কম্পিউটার্স এবং গিগাটেক বেক্সিমকো গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। গিগাটেকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের ছেলে সায়ান এফ রহমান। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সামিরা জুবেরী হিমিকা। তিনি ‘টিম ইঞ্জিন’ নামে একটি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। এ টিম ইঞ্জিন থেকে ২০১৪ সালে ৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে আইসিটি বিভাগ অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন বা ওসিআর সফটওয়্যার কিনেছিল আইসিটি বিভাগ। তবে সে সফটওয়্যার পরবর্তী সময়ে কার্যকর ছিল না। 

ই-কমার্স মাস্টারক্লাস, এলআইসিটির আউটসোর্সিং ট্রেনিং, হাই-টেক পার্কের উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ, হার পাওয়ার, আইডিয়া প্রকল্পের আওতায় অনেক উদ্যোক্তা ও তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা ছিল। তবে এসব প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের বড়সংখ্যকেরই কোনো হদিস পাওয়া যায় না। এসব প্রশিক্ষণের কাজগুলো পেয়েছেন মূলত ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক ও উইমেন ইন ই-কমার্সের (উই) স্বত্বাধিকারী নাসিমা আক্তার নিশা, ই-ক্যাব সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সার।

সরকারের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে ৬০০ অ্যাপস প্রকল্প নেয়া হয়। এ প্রকল্পের দায়িত্ব পান এথিক্স অ্যাডভান্সড টেকনোলজি লিমিটেডের এমএ মুবিন খান। যদিও এসব অ্যাপের কোনোটিই টেকসই হয়নি।

ডিজিকন টেকনোলজিস লিমিটেডের মাধ্যমে পরিচালনা করা হতো পরিচয় নামের সেবা। এ সেবা থেকে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে গ্রাহক ফরম পূরণের জন্য বারবার চিঠি দেয়া হয় মোবাইল অপারেটরদের। অপারেটরদের আগ্রহ না থাকলেও ডিজিকনকে ব্যবসা পাইয়ে দিতেই তথ্যভাণ্ডার তৈরির চাপ দেয়া হচ্ছে। মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য দিতে মোবাইল অপারেটরদের কাছে জনপ্রতি প্রায় ১০ টাকা দাবি করে পরিচয়। আর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ থেকে অপারেটররা যাচাই সেবা পায় জনপ্রতি ৫ টাকায়।

দেশজুড়ে টেলিযোগাযোগ সেবা খাতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। সংস্থাটির কর্মকর্তাদের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন দরপত্রের নিয়ন্ত্রণ করত বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে সুবিধাভোগী ঠিকাদারদের একটি সিন্ডিকেট। যেসব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিটিসিএলের কাজে আধিপত্য বিস্তার করেছিল, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে নিঝুম এন্টারপ্রাইজ, হামিদা ট্রেডার্স, স্কাই লিমিট এন্টারপ্রাইজ, কে কে এন্টারপ্রাইজ ও রিলায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং।

ক্ষমতায় আসার পর দলীয় নেতাকর্মীদের সুযোগ-সুবিধা দিতে টেলিযোগাযোগ খাতের লাইসেন্স প্রদান শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার। এসব লাইসেন্সের একটি আন্তর্জাতিক গেটওয়ে বা আইজিডব্লিউ লাইসেন্স। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানকের মেয়ে সৈয়দা আমরিন আঁখি ও স্ত্রী সৈয়দা আরজুমান্দ বানুর নামে রাতুল টেলিকম, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর ছেলে ও পাবনার বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র এসএম আসিফ শামসের প্রতিষ্ঠান ভিশন টেল, শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান ও পুত্র ইমতিনান ওসমানের নামে কে কে টেলিকমের লাইসেন্স প্রদান করা হয়। 

বিটিআরসি ও আইজিডব্লিউ খাতের সূত্র বলছে, এ ছয় প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যই ছিল অল্প সময়ে বড় অংকের অর্থ আয় করে চলে যাওয়া। দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসা করা তাদের লক্ষ্য ছিল না। এ কারণে তখন কম খরচে কল এনে তারা বিপুল অর্থ আয় করে। সেখান থেকে বিটিআরসির পাওনা ও লাইসেন্স ফি না দিয়ে তারা চলে যায়। ছয় আইজিডব্লিউ প্রতিষ্ঠানের কাছে বিটিআরসির পাওনা ৯২১ কোটি টাকা।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়ে যত ধরনের প্রকল্প নেয়া হয়েছে, সবগুলো মূল্যায়নের উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। প্রচুর অর্থের খরচে নেয়া এসব প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন এবং সাধারণ জনগণের কী উপকার হয়েছে, সেগুলোই যাচাই করা হচ্ছে। প্রকল্প মূল্যায়নে কমিটিও গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডে (বিডিসিসিএল) অনিয়ম তদন্তে পৃথক একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। শুধু গড়পড়তা অভিযোগ নয়, সঠিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেব। এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও জনগণের অর্থ লোপাটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে খুব শিগগির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন