ছবি : সংগৃহীত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আইন কারো হাতে নেয়ার অধিকার নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনিতে দুজনের মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে গতকাল সকালে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
‘মব জাস্টিসে’র বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আইন নিজেদের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার কারো নেই। কেউ অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করুন, অন্যথায় নয়।’
মামলায় ঢালাও আসামি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে ঢালাও আসামি করে মামলা হচ্ছে।’ মামলার বাদীদের প্রকৃত দোষীকে আসামি করার অনুরোধ করেন তিনি। উপদেষ্টা জানান, এভাবে ঢালাও মামলার বিষয়ে একজন বাদীকে তিনি প্রশ্ন করেছিলেন। জবাবে ওই বাদী তাকে জানিয়েছেন, ‘যিনি মামলা ড্রাফট করেছেন, তিনি এভাবে সাজিয়ে দিয়েছেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢালাও আসামি করলে তদন্তে সময় বেশি লাগছে এবং নির্দোষ ব্যক্তি হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। এজন্য পত্রপত্রিকায় এর আগেও বক্তব্য দেয়া হয়েছে। পুলিশকে বলা হয়েছে ক্রিমিন্যাল (দোষী) ধরতে, সাধারণ মানুষকে নয়।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশের মন উজ্জীবিত করে তাদের পুরনো গৌরব ফিরে পেতে হবে। শুধু কাগজে-কলমে নয়, পুলিশকে বাস্তবে জনবান্ধব হতে হবে। থানায় গিয়ে লোকজন যেন সেবা পায়, সে বিষয়ে পুলিশকে তৎপর থাকতে হবে।’
রাজধানীর ট্রাফিক–ব্যবস্থার উন্নতির জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।’
ঘুস-দুর্নীতি সমাজকে গ্রাস করে নিয়েছে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এগুলো বন্ধ করার বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।’
এর আগে সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী রাজধানীর শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এভিনিউয়ে অবস্থিত ডিএমপি সদর দপ্তরে যান। এ সময় তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন। এতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম, ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান, ডিএমপি সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
