মব জাস্টিস এড়াতে সরকার কঠোর অবস্থানে —আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘কোনোরকম মব জাস্টিস, আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া, গণপিটুনি দেয়ার মতো ঘটনা গ্রহণ করা হবে না। এসব ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা এসব করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।’ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে গতকাল এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিতি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আব্দুল্লাহ ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে গঠিত কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আসিফ নজরুল বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। এটি নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকেও আলোচনা করেছি। যেকোনো ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যা, গণপিটুনি, কাউকে মারধর করা বা মব জাস্টিস এড়াতে যত রকম পদক্ষেপ নেয়া দরকার নেয়া হবে। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ্য করা হবে না। এর সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় এরই মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

সংস্কার আলোচনার বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলে ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ফেরত চাওয়া হবে। যারা গণহত্যা চালিয়েছে, হাজারের ওপর মানুষকে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে আহত করেছে, যারা বিচারের ভয়ে পালিয়ে আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে না। এটা আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ছয়টি কমিশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ কমিশনগুলো হলো–নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন ও সংবিধান সংস্কার কমিশন। ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব কমিটি সংস্কার-সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান ছাড়াও প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কারে প্রাধান্য দেবে কমিটি।’

মাহফুজ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। এগুলো গুছিয়ে আনার পর আমরা আরো কিছু সংস্কার কমিশন গঠন করব। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। জনগণ ও বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আমরা এ কাজগুলো করব। কমিশনগুলো যথেষ্ট স্বাধীন। কোনো রকম রাজনৈতিক চাপ যেন তাদের ওপর না থাকে সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তাদের কার্যপরিধির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন