শ্রদ্ধাঞ্জলি

বিদায় আইনের বাতিঘর

ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ

দেশবরেণ্য বর্ষীয়ান আইনজীবী, ন্যায্য ও ন্যায়-নীতিনির্ভর আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জাতির বিবেক, কঠিন সময়েও দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও আইনি বিষয়ে বলিষ্ঠ ব্যাখ্যাদাতা ও অবস্থান গ্রহণকারী, বিরল সমাজসেবক ব্যারিস্টার রফিক-উল হক গত ২৪ অক্টোবর ৮৫ বছর বয়সে গতায়ু হয়েছেন। 

শুধু বাংলাদেশেরই নয়, ব্রিটিশ-ভারত, ভারত, পাকিস্তান ও ব্রিটেনের নাগরিক হওয়ার অভিজ্ঞতা অর্জনকারী ব্যারিস্টার রফিক উল হক ছিলেন সমসাময়িককালের একজন অত্যন্ত উঁচু মানের আইনজীবী, যিনি বিচারক, আইনজীবীসহ সর্বজনের বিনম্র শ্রদ্ধা ও সম্মান অর্জন করেছিলেন। অত্যন্ত মেধাবী আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার রফিক-উল হক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়ার সময় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে ক্রিমিনাল ল-তে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। বিলেতে হিন্দু ল নিয়ে ব্যারিস্টারি পড়েছেন। সেখানেও দ্বিতীয় হননি। স্বাভাবিক গতিতে তিন বছরের ব্যারিস্টারি কোর্স দেড় বছরের মধ্যে সাফল্যের সঙ্গে শেষ করে ব্যতিক্রমী ‘অনার্স’ অর্জন করেন। তাকে দিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু ল পড়ানো শুরু হয়। তিনি এ দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা কোনো না কোনোভাবে পরিচালনা করেছেন। পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে এ কে ব্রোহী সাহেবের দৃষ্টিতে তিনি ছিলেন অন্যতম দক্ষ আইনজ্ঞ। বাংলাদেশে শতাধিক মামলায় এমিকাস কিউরির দায়িত্ব পালন করেছেন। ওইসব মামলায় বিভিন্ন আইনের ইন্টারপ্রিটেশন (বিশদ ব্যাখ্যা) দেয়া হয়েছে এবং আইনের ভূমিকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ  দেশে ডেভেলপমেন্ট অব ল-তে আইনজীবী হিসেবে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার নিষ্পত্তি করেছেন সাহসের সঙ্গে। মোকাবেলা করেছেন দৃঢ়চিত্তে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় বরাবরই সোচ্চার ছিলেন। দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও আইনি বিষয় নিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করেছেন বর্ষীয়ান এ আইনজীবী। ১৯৭২ সালে তিনিই ব্যাংকস এবং অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণ আইনের মুসাবিদা করেন, আবার আশির দশকের গোড়ায় ডিন্যাশনালাইজেশনের মুসাবিদাকারকও ছিলেন তিনি। 

ব্যক্তি হিসেবেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত সদয় ও স্নেহপরায়ণ। একেবারেই বিরল ও  ব্যতিক্রম। যদিও শরীরে নানা জটিল রোগ বাসা বেঁধেছিল অনেক আগেই। ১৯৮৪ সালে তার পাকস্থলীতে ক্যান্সারের মেজর অপারেশনের পর গত ৩৬ বছর তিনি কিন্তু দমে যাননি। মনের জোরে তিনি ছিলেন বরাবরই সচল, সবাক, দাপুটে এক মানুষ। দেশের এক কঠিন পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রের পথে ফিরতে কাজ করেছেন নীরবে। সরব ছিলেন অন্যায় যেকেনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে। টকশোয় কথা বলতেন নিজের বিবেক সমঝে। তাঁর মধ্যে আপসকামিতা দেখা যায়নি কখনো। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ ও সংকটজনক মুহূর্তেও দেশবাসী তাঁকে দেখেছে অটল থাকতে। নির্ভয়ে কথা বলতে। 

ভীষণ মেধাবী-মেজাজী, সাহসী ও রসবোধসম্পন্ন ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির কাউন্সিলে, আহছানিয়া মিশনের কাউন্সিল ও হজ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে এবং আদ দ্বীন ট্রাস্টে তার সঙ্গে সরাসরি কাজ করেছি। আমি তখন এনবিআরের চেয়ারম্যান। টেলিভিশনে আমার একটি বক্তব্য শুনে খুশি হয়ে বলে উঠলেন, ‘ছেলেটি ভালোই বলেছে।’ সঙ্গে সঙ্গে তাঁর স্ত্রী বললেন, ‘এনবিআরের চেয়ারম্যানকে তুমি এভাবে (ছেলেটি) বললে? এটা কি ঠিক?’ সকালে এক অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে আমার দেখা। বললেন, ‘তোমাকে ওইভাবে বলায় তোমার ভাবীর কাছে বকা খেয়েছি।’ কতটা সরলমনা এবং কতটা স্নেহপরায়ণ হলে একথা তিনি আমার সঙ্গে এভাবে শেয়ার করলেন! কোনো মজলিশে আমাকে দেখলেই সেই প্রিয় চুটকি ছাড়তেন, “একটা অনুষ্ঠানে লেবুর রস নিংড়ানোর প্রতিযোগিতা চলছে, কেউ যখন আর পারছে না, তখন হ্যাংলা-পাতলা একটা লোক এসে বেশ কৌশলে নিংড়িয়ে রস বের করল। সবাই হতবাক। মুখ চাওয়া-চাওয়ি চলছে। কে যেন ফিস ফিসিয়ে জিজ্ঞেস করল ‘লোকটা কে গো?’ উত্তর এল, ‘এনবিআরের চেয়ারম্যান’।” আমার স্ত্রীর বাংলাদেশ ব্যাংকে ডিজিএম- অ্যান্টি মানি লন্ডারিং ডিপার্টমেন্টে পোস্টিং। দেখা হলেই রসিকতা করতেন, এবার যদি দেশের টাকা ঘরে-বাইরে নিরাপদ থাকে। একান্ত সান্নিধ্যে থেকে তাঁর কাছ থেকে জেনেছি কত কিছু। তিনি ছিলেন আইনকানুনের বিশ্বকোষ। কেস স্টাডি আকারে রসমিশ্রিত কাহিনীসহকারে দিতেন ব্যাখ্যা। ফেরারি বামপন্থী নেতা জ্যোতি বসু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বিধান রায়ের সরকারি বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন, পুলিশ এসে বললে, ‘স্যার এটা কেমন হলো।’ বিধান বাবু বললেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন সবার জন্য খোলা, আমি কি জানি জ্যোতি কখন  এসেছে! আর সে আমার বাসায় আসবে না বা থাকবে না কেন, তোমরা তোমাদের দায়িত্ব পালন করো।’

রফিক-উল হকের বাবা মুমিন-উল হক পেশায় ডাক্তার হলেও চব্বিশ পরগনা মিউনিসিপালিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ছিলেন চব্বিশ পরগনা জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি। ডাক্তারি, জমিদারি ছেড়ে গণমানুষের জন্য রাজনীতি করতে গিয়ে নিঃস্ব হতে হয়েছিল তাঁকে। রফিক-উল হক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন দু-দুবার। তখন রাস্তার পলিটিকসে জড়িত হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। তিনি যুব কংগ্রেস করতেন। ছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল যুব কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাঁর নেত্রী ছিলেন সেন্ট্রাল যুব কংগ্রেসের সভাপতি ইন্দিরা গান্ধী। তাঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। একটা খুব বড় মিটিং করেছিলেন সল্টলেকে; ইন্দিরা গান্ধী, নেহরু, বিধান রায় ছিলেন। কলকাতায় পড়ার সময় তাঁর বন্ধু ও সহপাঠী ছিলেন ভারতের (সাবেক এবং প্রয়াত) রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ঢাকায় ফিরে পেশাগত জীবনে তিনি কখনো কোনো রাজনৈতিক দল করেননি। তবে নানা সময়ে রাজনীতিবিদরা সবসময় তাঁকে পাশে পেয়েছেন। রাজনীতিবিদদের সম্মান সবসময়ই অর্জন করেছেন। রাজনীতিবিদরা সবাই তাঁকে কাছে টেনে নিয়েছেন। জাতীয় নেতাদের কাছে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। ইন্দিরা গান্ধী, নেহরু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, এইচএম এরশাদ—সবার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। এক/এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদের পক্ষেও আইনি লড়াই করেছেন তিনি। আবার তাঁদের অপকর্মের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি। সবসময় উচিত কথা বলেছেন। কখনো কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পাননি।

আইনজীবী হয়েও পারিবারিক কারণে চিকিৎসা পেশার সঙ্গে গভীর সংযোগ ছিল ব্যারিস্টার রফিক-উলের। তাঁর বাবা, চাচা, ভাইবোনদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন ডাক্তার, তাছাড়া স্ত্রী ফরিদা হকও ছিলেন মাইক্রোবায়োলজি বিশেষজ্ঞ। বিশ্ব থেকে গুটি বসন্ত রোগ নির্মূলে বিশেষ অবদান ছিল ডা. ফরিদা হকের। এজন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বর্ণপদক দিয়ে তাকে সম্মানিত করেছিল। কাউ পক্স নির্মূলের জন্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে।

নিজের ও স্ত্রীর উপার্জিত প্রায় সব টাকা মানবসেবায় দান করে দিয়েছেন। সম্পদ বলতে যে বাড়িটিতে (৪৭/১ পুরানা পল্টনের ‘সুবর্ণা’) তিনি থাকতেন, তা তাঁর শাশুড়ি মেয়েকে দিয়েছিলেন। এছাড়া ঢাকায় আর দুটি ফ্ল্যাট তাঁর নামে আছে। এখান থেকে পাওয়া ভাড়ার টাকায় শেষ জীবনের খরচ চালিয়েছেন তিনি। ঢাকার ফার্মগেটে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের দাদা ও চাচার স্মৃতিতে প্রতিষ্ঠিত। ঢাকা শিশু হাসপাতাল গড়ে তোলায় অগ্রণী ভূমিকা ছিল রফিক-উল হকের। এ হাসপাতালের জমি বরাদ্দ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। লটারির টিকিট বিক্রি করে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার খরচের বড় একটা অংশ সংগ্রহ করেন তিনি। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছে কোনো ফি নিতেন না বলে এই হাসপাতালের জন্য আশির দশকে ৫০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে রফিক-উল হক চন্দ্রায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সুবর্ণ ক্লিনিক। পরবর্তীকালে এটি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও ডা. ফরিদা হকের নামে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত ও রূপান্তরিত হয়। জাতীয় অধ্যাপক ইব্রাহিমের অত্যন্ত স্নেহধন্য ছিলেন ব্যারিস্টার রফিকুল হক ও তাঁর স্ত্রী ডা. ফরিদা হক, যিনি অধ্যাপক ইব্রাহিমের স্বনামধন্য দুই কন্যার ঘনিষ্ঠ বান্ধবীও ছিলেন। সে সুবাদে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অন্যতম পৃষ্ঠপোষকে পরিণত হয়েছিলেন তাঁরা। সমিতির বারডেম, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক  ও এনএইচএন প্রতিষ্ঠানে তিনি বেশ কয়েকটি স্মারক ইউনিট ও স্থাপনা, আইসিইউ, সিসিইউ, মাইক্রোবায়োলজি ল্যাব, বহু বেডের হাসপাতাল ইত্যাদি গড়ে দিয়েছেন। তিনি ডায়াবেটিক সমিতির সহসভাপতি ছিলেন এক যুগেরও বেশি, ছিলেন বারডেম বোর্ড অব ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান। তিনি ছিলেন আদ দ্বীন ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। আদ দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ২৫টিরও বেশি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অর্থায়ন সূত্রে তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন। সুদীর্ঘ ১৫ বছর ঢাকা আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী কাউন্সিলের প্রভাবশালী পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তিনি ছিলেন আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় অন্যতম দাতা এবং পরিচালনা পর্ষদে আমৃত্যু চেয়ারম্যান। 

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেক গুরুত্বপূর্ণ আইনি বিষয় নিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করেছেন প্রবীণ এই আইনজীবী। কিন্তু কখনো কোনো পারিশ্রমিক নেননি। এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রফিক-উল হক। বিরল ঘটনা হচ্ছে এ দায়িত্ব পালনকালে তিনি কোনো সম্মানী নেননি। প্রতীকী সম্মানী এক টাকা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও এক টাকা তুলতে দুই টাকার স্ট্যাম্প লাগাতে হবে, সে কারণে তাও নেননি। নিজের স্বাধীনতাকে জিম্মি করে কাজ করেননি কখনো। রফিক-উল হক সবসময় বলেন, ‘জীবনে যখন যেটাকে ঠিক মনে করেছি, ভালো মনে করেছি, তা-ই করেছি। নিজের বিবেককে প্রশ্নবিদ্ধ করে কাজ করিনি কখনো।’

আইনের এই বাতিঘরের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে। তাঁর বাল্যকাল কেটেছে কলকাতার চেতলায়। পরিবারের সবাই চেতলাতেই থাকতেন। পড়াশোনা করেছেন চেতলা স্কুলে। স্মৃতিবিজড়িত চেতলা স্কুলের কথা মনে করে তিনি নিজেও যেন সেই স্কুলেই ফিরে যান। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেই ১৯৪১ সালে একজন ব্যারিস্টার ১০০ টাকা দিয়েছিলেন স্কুলের পিকনিক করার জন্য। যেদিন পিকনিক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, সেদিন মারা যান এক কবি। এ কারণে পিকনিক বন্ধ হয়ে যায়।’ তিনিসহ অন্য সহপাঠীরা ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা বলতে থাকেন, ‘কোন এক কবি মারা গেছেন, এতে পিকনিক বন্ধ হয়ে গেল! পরে জানতে পারলেন, তিনি ছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।’


ড মোহাম্মদ আবদুল মজিদ: সরকারের সাবেক সচিব 

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন