বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন
(বাফুফে) সভাপতি পদে নির্বাচন
করবেন না তরফদার রুহুল আমীন—রোববার এমন ঘোষণা
দেন। চট্টগ্রাম আবাহনীর এ ফুটবল কর্মকর্তা গতকাল জানালেন, নির্বাচনী লড়াই থেকে
পুরোপুরি সরে যাবেন না।
সভাপতি পদে নির্বাচন করার জন্য কয়েক বছর ধরে নানা কার্যক্রম চালিয়ে
আসছেন তরফদার । গতকাল বললেন, ‘ফুটবলের বৃহত্তর
স্বার্থেই আমি সভাপতি পদে নির্বাচন করছি না। তবে আমি নির্বাচনী মাঠেই থাকছি।’
তার এ ঘোষণার পর নানা গুঞ্জন ডালপালা মেলছে। কেউ বলছেন, ফুটবল সংগঠক হিসেবে
রুহুল আমীন কোনো ঘনিষ্ঠ সহচরকে জায়গা করে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন। আবার কেউ
বলছেন, দেশের শীর্ষস্থানীয়
কোনো শিল্প গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তারা দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ পদে আসীন হতে
আগ্রহী। সে ইঙ্গিত পেয়েই শীর্ষ পদ ছেড়ে বিকল্প ভাবছেন তরফদার রুহুল আমীন। সরকারের
শীর্ষ মহল থেকে সবুজ সংকেত না পাওয়ার গুঞ্জনও বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। এসব বিষয়ে
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বারবার ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থের কথাই বলেছেন সাইফ
পাওয়ারটেকের শীর্ষ এ কর্মকর্তা।
‘বিগত নির্বাচনে কাজী
মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ঘোষণা দিয়েছিলেন—এটাই আমার শেষ
নির্বাচন। কিন্তু ২০২০ সালের নির্বাচনের আগে দেখা যাচ্ছে তিনি সভাপতি পদে চতুর্থ
মেয়াদে নির্বাচন করতে চান। এ নিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চলছে কাদা
ছোড়াছুড়ি। ফুটবলকে এ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিতেই আমার সরে দাঁড়ানোর
সিদ্ধান্ত’—জানান তরফদার।
নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও
বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাবস অ্যাসোসিয়েশন গড়া হয়। দুটি সংগঠনের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে
আছেন রুহুল আমীন। নিকট অতীতে এ দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকেই নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা
হয়। অনুষ্ঠানগুলোয় স্থানীয় ফুটবল সংস্থার শীর্ষ পদে রুহুল আমীনের নির্বাচন করার
ঘোষণার পাশাপাশি নানা প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তরফদার বলেন,
‘শীর্ষ পদে
নির্বাচন না করলেও আমি নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে যাচ্ছি না। সংগঠনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে
আলোচনা করে শক্তিশালী একটি পরিষদ গড়া হবে। ওই পরিষদের নেতারাই ঠিক করবেন কে কোন
পদে নির্বাচন করবেন। পরিষদের কর্মকর্তারা চাইলে আমি অন্য পদেও নির্বাচন করতে পারি।’
চট্টগ্রাম রাজনীতির পটপরিবর্তন হওয়ায় আ জ ম নাছির উদ্দিনকে নিয়ে যে
গুঞ্জন চলছে, সে সম্পর্কে দৃষ্টি
আকর্ষণ করা হলে তরফদার বলেন,
‘সেটা
রাজনৈতিক ইস্যু। আমারটা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে রাজনীতির কোনো
সম্পর্ক নেই।’ পরিবর্তিত
প্রেক্ষাপট সম্পর্কে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,
‘নির্বাচনে
যতক্ষণ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই বলা যায় না। এখানে
সালাউদ্দিন ভাই যদি কোনো পরিষদ গঠন করেন,
সেখানে
আমি থাকব না।’