বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে গলফ আয়োজন

সমৃদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশ ওপেন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রাইজমানির রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কাপ ওপেন গলফ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে এবারের এশিয়ান ট্যুরের প্রাইজমানি লাখ মার্কিন ডলার; টাকায় অংকটা দাঁড়ায় প্রায় কোটি ৪০ লাখ।

২০১৫ সাল থেকে এশিয়ান ট্যুরের প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছে বাংলাদেশ। এতদিন আসরে পুরস্কার ছিল লাখ মার্কিন ডলার। ২৫ থেকে ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ষষ্ঠ আয়োজনে দেয়া হবে দেশে আয়োজিত কোনো গলফ প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ অর্থ প্রাইজমানি।

২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে বাংলাদেশ। এজন্য গোটা জাতি মুখিয়ে আছে। জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা জানাতে বাংলাদেশ গলফ ফেডারেশন বঙ্গবন্ধু কাপ গলফ ওপেন আয়োজন করবে’—এশিয়ান ট্যুর ডটকমকে বলছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশ গলফ ফেডারেশন সভাপতি জেনারেল আজিজ আহমেদ।

গত পাঁচ আসরের চারটি শিরোপা জিতেছেন এশিয়ান গলফাররা, অপরটি জিতেছেন এক সুইডিশ গলফার। এশিয়ান চারজনের তিনজনই থাইল্যান্ডের। ২০১৫ সালে অভিষেক আসরের শিরোপা জিতেছেন সিঙ্গাপুরের মারদান মামাত। ২০১৬ সালে থাইল্যান্ডের থিতিফুন চুয়ায়প্রাকং, ২০১৭ সালে একই দেশের জাজ জান্নেওয়াত্তানান্দ, ২০১৮ সালে সুইডেনের ম্যালকম কোকোসিনস্কি সর্বশেষ আসরের শিরোপা জয় করেন থাইল্যান্ডের স্যাদম কায়েওকানজানা।

ঘরের কোর্স কুর্মিটোলায় এশিয়ান ট্যুর মুকুট মাথায় তোলাটা এখনো স্বপ্নের পর্যায়ে বাংলাদেশী গলফ আইকন সিদ্দিকুর রহমানের কাছে। ২০১০ সালে ব্রুনাই ওপেন দিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় আসা ৩৫ বছর বয়সী গলফার ২০১৩ সালে হিরো ইন্ডিয়ান ওপেন জয় করেন। বাংলাদেশ ওপেনে সিদ্দিকুর রহমানের সেরা সাফল্য হয়ে আছে ২০১৭ সালে। জাজ জান্নেওয়াত্তার চেয়ে চার স্ট্রোক বেশি খেলে রানার্সআপ হন তিনি।

নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে যাওয়া বঙ্গবন্ধু কাপ গলফ ওপেন বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে প্রথম বাংলাদেশী ক্রীড়াবিদ হিসেবে সরাসরি অলিম্পিক খেলার যোগ্যতা অর্জন করা সিদ্দিকুর রহমানের জন্য। সিদ্দিকুর ছাড়াও একঝাঁক উদীয়মান গলফার আয়োজনে অংশগ্রহণ করবেন। এশিয়ান ট্যুর কমিশনার প্রধান নির্বাহী চো মিন থান্ত আশাবাদী, আয়োজন অনেক প্রতিভা বিকশিত করবে।

আমি নিশ্চিত, বঙ্গবন্ধু কাপ গলফ ওপেন অনেক লুক্কায়িত প্রতিভা খুঁজে বের করতে সহায়তা করবে, যা বাংলাদেশের গলফকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে’—বলছিলেন চো মিন থান্ত। তিনি যোগ করেন, বাংলাদেশে এশিয়ান ট্যুর আত্মপ্রকাশ করার পর থেকে আয়োজন আমাদের সদস্যদের বিকশিত করে চলেছে। ২০১৭ সালে শিরোপা জয় করা জাজ জান্নেওয়াত্তানান্দ ২০১৯ সালের এশিয়ান ট্যুর অর্ডার অব মেরিট চ্যাম্পিয়ন হন। গলফারকে বিশ্বের শীর্ষ ৫০ জনের তালিকায় আসতে বাংলাদেশ ওপেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কায়েওকানজানার দ্রুত উত্তরনেও আসর ভূমিকা রেখেছে।

অর্থ পুরস্কারে নতুন উচ্চতা পেতে যাওয়া আসরটি বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত গলফারদের আকৃষ্ট করবে। কিন্তু স্বাগতিক গলফাররা আয়োজনে ভালো করতে না পারলে খেলাটির প্রতি বাংলাদেশীরা কতটুকু আগ্রহী হবেনসেটা সময়ই বলবে। দেশের গলফকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে সিদ্দিকুর রহমান, জামাল হোসেন মোল্লা, সাখাওয়াত হোসেন সোহেলদের মতো গলফাররা কী করেন, সেটাই দেখার বিষয়!

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন