চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৯ হাজার ৩০০টির বেশি দোকান বন্ধের পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে ৩০টির মতো খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। গত বছরের তুলনায় যা ৫০ শতাংশের চেয়ে বেশি। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৫ হাজার ৮৪৪টি এবং ২০১৭ সালে ৮ হাজার ৬৯ দোকান বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে দেউলিয়াত্বের। যার মধ্যে সিয়ার্স, ফরএভার টোয়েন্টি ওয়ান, সুর্সোস ও ডেসটিনেশন মেটারনিটির মতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দোকান বন্ধ ঘোষণার তালিকায় গ্যাপের মতো বহু পোশাক চেইন রয়েছে। ক্রেতাদের অ্যামাজনের মতো ই-কমার্স সাইটগুলোতে অনলাইন কেনাকাটায় বেশি আগ্রহ ব্যবসাগুলোর জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকই চলতি বছরটি খুচরা খাতের জন্য সবচেয়ে বিপর্যয়কারী বছর বলে মনে করছেন। এছাড়া শিল্পের খারাপ সময় পার হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করলেও সবাই এমনটা আশা করছে না।
চলতি বছর যেসব খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান দোকান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে, সেগুলো হলো সিয়ার্স অ্যান্ড কেমার্ট, ওয়ালগ্রিনস, ড্রেসবার্ন, চার্মিং চার্লি, পেলেস সুসোর্স, গেমস্টপ, এসি মুর, লাইভওয়ে ক্রিস্টিয়ান রিসোর্সেস, জিএনসি, বার্নিস নিউইয়র্ক, শার্লট রাস, ফরএভার টোয়েন্টি ওয়ান, জিমবুরি, ফ্রেড’স, জি গ্যালারি, পিয়ার ওয়ান ইমপোর্টস, আ’গাসি,
জেসি পেনি, ভিক্টোরিয়াস সিক্রেট, গ্যাপ, চিকো’স,
পার্টি সিটি, সিভিএস, বেড বাথ অ্যান্ড বিয়ন্ড, ডেসটিনেশন মেটারনিটি ও শপকো।
সিয়ার্স অ্যান্ড কেমার্ট
চলতি বছরের শুরুতে দেউলিয়া আদালত থেকে ৫২০ কোটি ডলারে কোম্পানিটি কিনে নেয় সিয়ার্সের সাবেক সিইও এডি ল্যাম্পার্টের হেজ ফান্ড। সে সময় দোকান খোলা রাখা ও কর্মসংস্থান বাঁচানোর এটাই সবচেয়ে ভালো উপায় বলে যুক্তি দেয়া হলেও দোকান বন্ধের ধারা অব্যাহত রয়েছে। নভেম্বরে ব্র্যান্ডটির অভিভাবক কোম্পানি ট্রান্সফর্মকো আরো ৯৬ স্থানে কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে, যা আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। এ নিয়ে মোট ১৮২টি স্থানে কার্যক্রম বন্ধ হলো। গত অক্টোবরে দেউলিয়া ঘোষণার সময় সাতশর বেশি দোকান ছিল সিয়ার্স অ্যান্ড কেমার্টের।
ফরএভার টোয়েন্টি ওয়ান
সেপ্টেম্বরে চ্যাপ্টার ১১-এর অধীনে দেউলিয়াত্বের আবেদন করার সময় সারা বিশ্বে ৮০০টির বেশি দোকান ছিল খুচরা পোশাক বিক্রেতা ফরএভার টোয়েন্টি ওয়ানের। দেউলিয়া প্রক্রিয়া চলাকালীন এশিয়া ও ইউরোপের সিংহভাগ ব্যবসা থেকে সরে আসার পরিকল্পনা জানায়