হংকং ছাড়ার কথা ভাবছে খোদ স্থানীয়রাই

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছয় মাস ধরে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভে হংকংয়ের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এশিয়ার অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে আকর্ষণ কমেছে শহরটির। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে স্থানীয়রাই শহরটি ছাড়তে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে। খবর ব্লুমবার্গ।

শহরের সামাজিক পরিস্থিতি যদি আরো খারাপ হয়, সে কথা মাথায় রেখে মার্কিন গ্রিন কার্ড পাওয়ার চেষ্টা করছেন হংকংয়ে জন্মানো এক জ্যেষ্ঠ ব্যাংকার। সাংহাইয়ে স্থানান্তরিত হতে একটি নিয়োগ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন দুই নির্বাহী। হংকংয়ের তুলনায় অন্তত সেখানে ভবিষ্যৎ আরো ভালো হবে বলে আশা করছেন।

ইউরোপের একটি শীর্ষ বিনিয়োগ ব্যাংকের হংকং শাখার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত হংকংয়ের বাসিন্দারা অন্যান্য দেশে বিকল্প খোঁজা শুরু করেছেন।

কয়েক মাস আগে যখন সরকারবিরোধী বিক্ষোভ তীব্র হয়ে উঠতে শুরু করে, তখন শহরটির আর্থিক কেন্দ্রে কর্মরত প্রবাসী মূল ভূখণ্ড চীনের বাসিন্দারা প্রথম হংকং ছাড়ার কথা বলতে শুরু করে। কিন্তু দীর্ঘায়িত বিক্ষোভ কর্ম জীবনযাপনে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় এবং শহরটির ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হওয়ায় হংকংয়ের স্থানীয়রাও বাইরে চলে যাওয়ার বিষয় ভাবতে শুরু করেছে।

এখনো সুনির্দিষ্টভাবে শহর ছাড়া শুরু হয়নি। কিন্তু সহকর্মী, নিয়োগকারী রিক্রুটারদের মধ্যে চলা ব্যক্তিগত আলাপে শহরে বসবাসকারীদের মনোভাব প্রতিফলিত হতে দেখা যাচ্ছে। আলাপগুলো থেকে বোঝা যায়, টেলিভিশনে প্রতিদিন সংঘর্ষের খবরে কিংবা কখনো কখনো বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে চলা বিক্ষোভ কীভাবে তাদের স্নায়ুতে চাপ ফেলছে। বিক্ষোভ দীর্ঘমেয়াদে শিল্পে কী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের মধ্যে, তা নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে।

মরগান ম্যাকিনলির সাংহাইভিত্তিক রিক্রুটার এরিক ঝু বলেন, নিজেদের কর্মজীবনের শীর্ষবিন্দুতে অবস্থান করা ব্যক্তিরা হংকংয়ের সামাজিক ভারসাম্যহীনতা নিয়ে হতাশ। এখন তাদের প্রশ্নই হলো, পরবর্তী পদক্ষেপ কোথায় হওয়া উচিত? ঝু আরো বলেন, হংকংয়ে এখন খুব অল্পই সুযোগ রয়েছে, অন্যদিকে সাংহাইয়ে নিয়োগ ক্রমেই বাড়ছে।

ঝু জানান, তার সঙ্গে হংকংয়ের দুজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের যোগাযোগ হয়েছে, যারা উচ্চ কর ব্যবস্থা ভিন্ন আইন ব্যবস্থার কারণে সাংহাইকে এড়াতে চাচ্ছেন। তাদের পছন্দের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুর। কিন্তু তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। অনেকেরই ধারণা, চীন হয়তো আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে সাংহাইয়ের অব্যাহত সম্প্রসারণ সমর্থন করবে। ফলে ভবিষ্যতে শহরটিতে আরো সুযোগ তৈরি হবে।

অনেক ব্যাংকার যুক্তরাষ্ট্র কানাডার পাশাপাশি মূল ভূখণ্ড চীনেও স্থানান্তরিত হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। এছাড়া বেশকিছু আইনজীবীও স্থানান্তরের কথা ভাবছেন বলে স্বীকার করেছেন।

হংকংয়ের বহু নাগরিকই তাদের শহরটির অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্য গর্ববোধ করেন। অনেকেই দশকের পর দশক ধরে মূল ভূখণ্ডের মতো সব ধরনের স্বাধীনতা না পাওয়ায় হতাশ হয়েছেন। ১৯৯৭ সালে ব্রিটেন সাবেক উপনিবেশটিকে চীনের নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে দেয়ার আগেও ধরনের উদ্বেগ বাসিন্দাদের মধ্যে শহর ছাড়ার প্রবণতা তৈরি করেছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে শহর ছাড়ার পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন হলেও বাসিন্দাদের মধ্যে যে আগ্রহ রয়েছে, তার বেশকিছু প্রমাণ

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন