পদ্মা সেতুর সুরক্ষার জন্য সাড়ে ১২ কিলোমিটার পাড় বাঁধাই করা হবে জাজিরা প্রান্তে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে এক কিলোমিটার পাড় বাঁধাইয়ের কাজ শুরু করে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। পরীক্ষামূলক কাজটি শেষ করতেই দেড় বছর দেরি করে ফেলে প্রতিষ্ঠানটি। এর প্রভাব পড়েছে মূল সেতুর নির্মাণকাজে। সেতু বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হওয়ার জন্য যেসব বিষয় জড়িত, তার মধ্যে অন্যতম নদীশাসনে ধীরগতি।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে নদীশাসন কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ কাজে অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ। এরই মধ্যে পুরো প্রকল্পের ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়িয়ে নিয়েছে সেতু বিভাগ।
জানা গেছে, সব মিলিয়ে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে পদ্মা সেতু নির্মাণে। এর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে নদীশাসনে। নদীর পাড় বাঁধাই, কংক্রিটের ব্লক, পাথর ও জিও ব্যাগ ফেলা, নদী খননসহ বহুমাত্রিক কাজ করা হচ্ছে নদীশাসনের জন্য। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ১২ দশমিক ৪ কিলোমিটার পাড় বাঁধাই করছে সিনোহাইড্রো। সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দুই পাড় মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার পাড় বাঁধাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার সেতুর জাজিরা প্রান্তসংলগ্ন এলাকায় নদীর পাড়ে কংক্রিটের ব্লক স্থাপনের কাজ করছিলেন একদল বাংলাদেশী শ্রমিক। তাদের তদারকিতে ছিলেন কয়েকজন চীনা শ্রমিকও। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ প্রান্তে মোটামুটি অর্ধেক অংশের কাজ শেষ হয়েছে।
প্রকল্প কার্যালয়ের তথ্য বলছে, দুই পাড়ে প্রায় ১০ লাখ পাথরের ব্লক ফেলার কথা। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ১৪ হাজারের মতো পাথরের ব্লক ফেলার কাজ শেষ হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে আরো প্রায় সাড়ে সাত লাখ পাথরের ব্লক। নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য ৮০০ কেজি ও ১২৫ কেজি ওজনের বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হবে। এর মধ্যে ৮০০ কেজির জিও ব্যাগ ফেলা হবে ৩৯ লাখের মতো। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮০০ কেজির জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে ২০ লাখের বেশি।
একইভাবে ১২৫ কেজি ওজনের জিও ব্যাগ ফেলার কথা ১ কোটি ৭২ লাখ পিসের মতো। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফেলা হয়েছে ৪৫ লাখের মতো। নদীর পাড়ে স্থাপন ও তীরে স্থাপন করার কথা ১ কোটি ৩৩ লাখ পিস কংক্রিটের (