প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরছেন আজ

বাসস

ফাইল ছবি

ছয়দিনের সরকারি সফর শেষে আজ থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, আজ সকালে সরকারপ্রধানের ব্যাংকক ত্যাগের কথা রয়েছে।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার থাইল্যান্ডে যান শেখ হাসিনা। ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেয়া হয়। 

শেখ হাসিনা এ সফরকে ‘প্রতিবেশী’ নীতির ওপর বৃহত্তর ফোকাসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ এটি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গতি আরো নবায়নের চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘এ সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরো গভীর করার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

থাই প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ সভায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অনুপ্রেরণা জোগাবে।’

সরকারপ্রধান আরো বলেন, ‘সরকারি এ সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আগামীতেও সম্পর্কের নবায়নের এ গতিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে।’

২৬ এপ্রিল স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউজে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন শেখ হাসিনা। সেখানে উভয় নেতার উপস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে পাঁচটি নথি সই হয়। এসব নথির মধ্যে রয়েছে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি অভিপ্রায়পত্র।

গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছলে শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে লালগালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়। 

প্রধানমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার যোগ দেন জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে। সেখানে তিনি সব বিশ্বনেতাকে যুদ্ধ, আক্রমণ ও আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত হচ্ছে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা।’ তিনি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিরসনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘সংলাপ শান্তি আনতে পারে।’

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও এসক্যাপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা ও ইউএনএসক্যাপ সম্মেলনস্থলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া ও রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষ্মণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন