গাজার উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি : রয়টার্স

গাজার প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া উত্তরাঞ্চলের দিকে ইসরায়েলি সেনারা আবারো অগ্রসর হচ্ছে। সোমবার (১৩ মে) তারা গাজার এমন এলাকাগুলোতে পুনরায় অভিযান চালাচ্ছে যেখানে কয়েক মাস আগেই তারা হামাসকে পরাজিত করার দাবি করেছিল। উপত্যকার দক্ষিণের রাফা শহরের মহাসড়কেও ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও সেনারা অবস্থান নিয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। 

গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশে কয়েক সপ্তাহ ধরে তুমুল লড়াই চলছে। নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ায় আবারো হাজারো ফিলিস্তিনি নতুন আশ্রয়ের খোঁজে বের হয়েছেন। ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, মানবিক সংকট আরো তীব্র হয়েছে।

অক্টোবরে ইসরায়েল উত্তর গাজা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়ার পর গাজার প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা সেখানে আশ্রয় নেয়।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সহায়তা, চিকিৎসা সরবরাহ, জেনারেটর এবং অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে জ্বালানি দেয়ার অনুমতির জন্য দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশাধিকার পুনরায় চালু করতে আন্তর্জাতিক চাপের আবেদন করেছিল।

তারা জানায়, এ অঞ্চলে আহত এবং অসুস্থরা ধীরে ধীরে মৃত্যুবরণ করে। কারণ সেখানে কোনো চিকিৎসা ও সরবরাহ নেই এবং অন্য কোথাও যাওয়ার সক্ষমতা তাদের নেই। 

এদিকে সোমবার (১৩ মে) রাফায় একটি হাসপাতালে যাওয়ার সময় ইউএন-চিহ্নিত গাড়িতে হামলা করা হলে জাতিসংঘের একজন বিদেশী নিরাপত্তাকর্মী মারা যান। জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র বলেন, এ নিয়ে জাতিসংঘের কর্মীদের মোট মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ১৯০ হয়েছে। 

৭৫ বছর আগে গঠিত গাজার বৃহত্তম শরণার্থী শিবির জাবালিয়াতে ইসরাইলি সেনারা ট্যাঙ্ক নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। এখানকার বাসিন্দারা নিজেদের জিনিসপত্র নিয়ে ধ্বংসস্তূপে পূর্ণ রাস্তা দিয়ে নতুন আশ্রয়ের খোঁজে নেমেছে। শিবিরের প্রাণকেন্দ্রে ট্যাঙ্কের গোলা আঘাত হানছে। বিমান হামলায় বাড়ির পর বাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন। 

প্রসঙ্গত, ৭ অক্টোবরের হামলার জবাবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছে বলে আশঙ্কা করছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন