লক্ষ্মীপুরে ৫ ইউপি নির্বাচনে তিনটিতেই নতুন চেয়ারম্যান

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর

কোলাজ: বণিক বার্তা

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান পদে তিন ইউপিতেই পরিবর্তন এসেছে। আর দুই ইউপিতে পুরাতনেই আস্থা রেখেছেন সাধারণ ভোটাররা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইউনিয়নগুলোতে ভোট গ্রহণ শেষে রাতে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে পৃথকভাবে ফলাফল ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার এবং তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের রির্টানিং অফিসার ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা স্বপন কুমার ভৌমিক ও বাঙ্গাখাঁ এবং লাহারকান্দি ইউনিয়নের রির্টানিং অফিসার ও সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম চৌধুরী।

ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী নতুন মুখ হলেন দালাল বাজার ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম, লাহারকান্দিতে আশরাফুল আলম ও বাঙ্গাখাঁতে মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। অপর দুই ইউপির মধ্যে তেওয়ারীগঞ্জে বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু ও দক্ষিণ হামছাদীতে মীর শাহ আলম ফের নির্বাচিত হয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানা যায়, দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে মীর শাহ আলম (ঘোড়া) ৬ হাজার ২৪৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল উদ্দিন চৌধুরী (চশমা) পেয়েছেন ২ হাজার ৬৯৮ ভোট। শাহ আলম দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।

দালাল বাজার ইউনিয়নে নজরুল ইসলাম (চশমা) ৬ হাজার ৩৫৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুর নবী চৌধুরী (অটোরিকশা) পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৬০ ভোট। নজরুল লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের আইনজীবী।

বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে মিজানুর রহমান (চশমা) ৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ জামাল রিপন (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯০ ভোট। মিজান জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব।

লাহারকান্দি ইউনিয়নে আশরাফুল আলম (টেলিফোন) ৫ হাজার ৫৮৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খোরশেদ আলম শাহীন (অটোরিকশা) পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৭৩ ভোট। আশরাফুল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

এছাড়াও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলু (আনারস) ৭ হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বোরহান চৌধুরী (অটোরিকশা) পেয়েছেন ৬ হাজার ২৩৯ ভোট। ভুলু জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি।

প্রসঙ্গত, সীমানা জটিলতা থাকায় গত ১৩ বছরেও এ ৫টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ না হওয়ায় এবার ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ দেখা গেছে। এই ৫টি ইউপি নির্বাচনে ২৮ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ২২৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ইউনিয়নগুলোতে ভোটার রয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯২৮ জন। এর মধ্যে ৭১ হাজার ৮৩৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। গ্রহণকৃত ভোটের মধ্যে ৬৯ হাজার ১৪৯ ভোট বৈধ এবং বাকি ২ হাজার ৬৮৮ ভোট বাতিল বলে জানায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন