হরিণাকুণ্ডে এক গ্রামে পাশাপাশি চার ইটভাটা

গাছ পুড়িয়ে ইট তৈরি, কালো ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে ফসল

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০ ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩- বলা হয়েছে, বসতি এলাকা, পাহাড়, বন জলাভূমির এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কৃষিজমিতেও ইটভাটা অবৈধ। আইনে আরো বলা হয়েছে, ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে কোনো কাঠ ব্যবহার করা যাবে না। অথচ এসব আইন মানছে না ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চারটি ইটভাটা।

গ্রামীণ সড়কের পাশে কৃষি জমিতে স্থাপন করা হয়েছে মিলন ব্রিকস, আনিসা তানিসা, সাবিরন ইসমাইল ব্রিকস। এসব ইটভাটার অনুমোদন থাকলেও লাইসেন্সের মেয়াদ নেই। প্রতিটি ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। এতে একদিকে ধ্বংস হচ্ছে বনায়ন, অন্যদিকে ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় ক্ষতির মুখে পড়ছে ফসল।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ঝিনাইদহ-হরিণাকুণ্ডু সড়কের চাঁদপুর গ্রামে স্থাপন করা হয়েছে পাশাপাশি চারটি ইটভাটা। একসময় এখানে আবাদ হতো ধান, কলা, পাট, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি। সবুজ সে মাঠে এখন পোড়ানো হচ্ছে ইট। দিনের পর দিন আবাদি জমিতে ভাটার পরিধি বাড়াচ্ছেন মালিকরা।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘ঘনবসিতপূর্ণ গ্রামে আইন ভেঙে কৃষিজমিতে গড়ে উঠেছে চারটি ইটভাটা। জমির উর্বর মাটি কেটে ইট তৈরি করা হচ্ছে। জ্বালানি হিসেবে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এতে কৃষিজমির পরিমাণ কমে যাওয়ার পাশাপাশি ভাটার আশপাশের ফসল হুমকিতে পড়েছে।

রাসেল নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘জমির ফসল তো নষ্ট হচ্ছেই, পাশাপাশি স্কুলে যাওয়ার মতো কোনো পরিবেশ নেই। স্কুলের বেঞ্চে সবসময় ধুলা লেগে থাকে। ধুলার কারণে অনেকের শ্বাসকষ্টও হয়। গ্রামে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ বসবাস করে। এখানে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একটি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।

বিষয়ে ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুন্তাছির রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ বিষয় নিয়ে কথা বলা নিষেধ আছে। আমি কিছু বলতে পারব না। তবে তথ্য চাইলে আমি সেটা দিতে পারব।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন