অপরিকল্পিত পার্ক নির্মাণে বিসিসির গচ্চা ১৫ কোটি টাকা

এম. মিরাজ হোসাইন, বরিশাল

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে নির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগম পার্ক ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

বরিশাল নগরীর ওপর দিয়ে গেছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক। নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডের অংশে মহাসড়কটি অনেকটাই প্রশস্ত ছিল। সড়ক ও জনপথ বিভাগকে পাশ কাটিয়ে ২০২২ সালে সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ মহাসড়কের মাঝখানে পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেন। নামকরণ করা হয় তার মা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা বেগমের নামে। সে সময় নগরবাসী আপত্তি জানালেও সিটি করপোরেশনের রাজস্বের টাকায় পার্কটি নির্মাণ করা হয়। ফলে নগরীর অংশে মহাসড়ক সংকুচিত হয়ে পড়ে। যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টির কারণে দেখা দেয় যানজট। অপরিকল্পিত এ স্থাপনার কারণে সিটি করপেরশেনের প্রায় ১৫ কোটি টাকা গচ্চা গেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

নগরবাসী বলছেন, অপরিকল্পপিতভাবে পার্কটি নির্মাণ করায় মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ তার মায়ের নামে পার্কটি নির্মাণ করেন। মহাসড়কের মাঝখানে যানজট সৃষ্টি করে পার্ক নির্মাণের ঘটনা সম্ভবত সারা দেশে এটাই প্রথম। জনগণের টাকায় নির্মিত পার্ক নগরবাসীর ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা গুঁড়িয়ে দেয় পার্কটি। এতে ক্ষতি হয় প্রায় ৩ কোটি টাকার। এখন স্থাপনাটি অপসারণে ব্যয় হতে পারে আরো ৬ কোটি টাকা।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বিসিসির একজন প্রকৌশলী জানান, সাহান আরা বেগম পার্কে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পার্কের মূল ভিত নড়ে গেছে। পার্কটি যদি উচ্ছেদ করা হয়, তাহলে প্রকল্পের মোট ব্যয়ের পুরোটাই ক্ষতি হবে। অর্থাৎ নির্মাণ ব্যয়, হামলা-ভাংচুর ও উচ্ছেদে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১৫ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী মোকসুমুল হাকিম রেজা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌৫ আগস্ট হামলা ও ভাংচুরে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়নি। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলে অবশ্যই তা করা হতো।’ তবে উচ্ছেদের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন