আইজিসির প্রতিবেদন

বিশ্বে শস্য উৎপাদন ও চাহিদা বাড়তে পারে রেকর্ড পরিমাণে

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি: রয়টার্স

বিশ্বে ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে শস্য উৎপাদন ও চাহিদা রেকর্ড পরিমাণে বাড়তে পারে। বুধবার প্রকাশিত গ্রেইন মার্কেট রিপোর্টে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইনস কাউন্সিল (আইজিসি)। তবে এ সময় বিশ্বব্যাপী শস্যের সমাপনী মজুদ ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে যেতে পারে। খবর দ্য ওয়ার্ল্ড গ্রেইন ডট কম।

আইজিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে গম, ভুট্টা, যব, ওট, সরগম ও মটরশুটিসহ অন্যান্য শস্যের উৎপাদন ২ হাজার ৩১ কোটি ৫০ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। অন্যদিকে এ সময় শস্যের চাহিদা পৌঁছতে পারে ২ হাজার ৩২ কোটি ৫০ লাখ টনে।

আইজিসি আরো জানায়, ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে শস্যের সমাপনী মজুদ কমে ৫৮ কোটি ১০ লাখ টনে নেমে যেতে পারে। এটি ২০১৪-১৫ বিপণন বর্ষের পর সর্বনিম্ন। এ সময় গম ও ভুট্টার উৎপাদন কিছুটা কমে যেতে পারে। শস্য দুটির মোট উৎপাদন পৌঁছতে পারে যথাক্রমে ১ হাজার ২২ কোটি ৪০ লাখ ও ৭৯ কোটি ৮০ লাখ টনে।

আন্তর্জাতিক সংগঠনটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী শস্যের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে কমে যেতে পারে। গত বিপণন বর্ষের তুলনায় ৭ শতাংশ কমে পৌঁছতে পারে ৪২ কোটি ১০ লাখ টনে, যা ২০২০-২১ বিপণন বর্ষের পর সর্বনিম্ন। ইউরোপ ও এশিয়ার দেশগুলোয় আমদানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনায় এ সময় বাণিজ্যিক কার্যক্রম কমতে পারে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

আইজিসি ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে সয়াবিন ও চালের ইতিবাচক উৎপাদনের পূর্বাভাস দিয়েছে। জানিয়েছে, এ সময় সয়াবিন উৎপাদন ৭ শতাংশ বেড়ে ৪১ কোটি ৯০ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। অন্যদিকে এ সময় পণ্যটির চাহিদা পৌঁছতে পারে ৪০ কোটি ৬০ লাখ টনে, যা রেকর্ড সর্বোচ্চ। এছাড়া ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে সয়াবিনের বাণিজ্য বেড়ে ১৭ কোটি ৮০ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে, যা তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এশিয়ার দেশগুলোয় ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে চাল উৎপাদন বাড়তে পারে। এ সময় পণ্যটির মোট বৈশ্বিক উৎপাদন পৌঁছতে পারে ৫২ কোটি ৮০ লাখ টনে, যা আগের বিপণন বর্ষের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি। আইজিসি জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ বিপণন বর্ষে আফ্রিকার দেশগুলো চাল আমদানি বাড়াবে। এতে চালের মোট বাণিজ্য বেড়ে ৫ কোটি ৪০ লাখ টনে পৌঁছবে।

এদিকে চলতি মাসে আইজিসির শস্য ও তেলবীজ সূচক আগস্টের তুলনায় ৫ শতাংশ বেড়েছে। যদিও পণ্যগুলোর গড় দাম এখনো গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো বিশ্বে শস্য উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। সম্প্রতি এ দেশগুলোয় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা এ অঞ্চলের দেশগুলোর শস্য উৎপাদনে প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে ক্রপ মনিটরিং সার্ভিস এমএআরসি চলতি বছরের জন্য ইইউভুক্ত দেশগুলোর শস্য উৎপাদন পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। 

পরিষেবা সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছর ইইউভুক্ত দেশগুলোয় হেক্টরপ্রতি ভুট্টার গড় ফলন হতে পারে ৭ দশমিক শূন্য ৩ টন, যা গত বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ কম। ইইউভুক্ত দেশগুলোয় সবচেয়ে বেশি গম উৎপাদন হয়। এমএআরসি জানায়, চলতি বছর এ অঞ্চলে গম উৎপাদন হতে পারে হেক্টরপ্রতি ৫ দশমিক ৬৮ টন, যা গত বছরের তুলনায় ২ শতাংশ কম।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন