দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বেড়েছে দশমিক ৮ শতাংশ

বণিক বার্তা ডেস্ক

সর্বশেষ জিডিটি নিলামে মোট ৩৮ হাজার ৮১৪ টন দুগ্ধজাত পণ্য কেনাবেচা হয়েছে ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী দুগ্ধজাত পণ্যের দাম চলতি সপ্তাহে আগের তুলনায় দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। গ্লোবাল ডেইরি ট্রেডের (জিডিটি) আন্তর্জাতিক নিলামে দামের এ ঊর্ধ্বমুখিতা পরিলক্ষিত হয়। এর আগের সপ্তাহে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম দশমিক ৪ শতাংশ কমে গিয়েছিল। খবর এনজেড হেরাল্ড, অ্যাগ্রিল্যান্ড।

ফন্টেরার (নিউজিল্যান্ডের কৃষকদের মালিকানাধীন একটি বহুজাতিক ডেইরি প্রতিষ্ঠান) ফার্মগেট দুধের মূল্যে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে ননিযুক্ত গুঁড়া দুধ। জিডিটিতে চলতি সপ্তাহে পণ্যটির দাম বেড়েছে আগের তুলনায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ। টনপ্রতি গড়মূল্য পৌঁছেছে ৩ হাজার ৪৪৮ ডলারে। এর আগের নিলামে পণ্যটির দাম ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমে গিয়েছিল। অন্যদিকে ফন্টেরার দ্বিতীয় বৃহত্তম রেফারেন্স পণ্য ননিছাড়া গুঁড়া দুধের মূল্য ২ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। গড় মূল্য পৌঁছেছে টনপ্রতি ২ হাজার ৮০৯ ডলারে।

এদিকে এর আগের নিলামে ল্যাক্টোজের উল্লেখযোগ্য দরপতন হলেও এবারের নিলামে এটির দাম ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টনের গড়মূল্য পৌঁছেছে ৮৯৬ ডলারে। এ নিলামে চেডার পনিরের দামও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে টনপ্রতি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৪১ ডলারে। চলতি সপ্তাহের নিলামে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে মোজারেলা পনিরের। এটির দাম ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে টনপ্রতি গড়ে ৫ হাজার ৩৫১ ডলারে পৌঁছেছে। 

তবে কিছু দুগ্ধজাত পণ্যের দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। মাখনের দাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ কমে টনপ্রতি গড় মূল্য নেমেছে ৬ হাজার ৫৪৬ ডলারে। এর আগের নিলামে এটি দশমিক ৯ শতাংশ কমেছিল। অ্যানহাইড্রাস মিল্ক ফ্যাটের দামও ১ দশমিক ২ শতাংশ কমে গড়ে টনপ্রতি ৭ হাজার ২২০ ডলারে নেমেছে। তবে এ জিডিটি নিলামে বাটার মিল্ক পাউডার বেচাকেনা হয়নি। আগের নিলামে এটির দাম বেড়েছিল ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। 

আন্তর্জাতিক নিলামটিতে চলতি সপ্তাহে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম বাড়ার পাশাপাশি বিক্রিও বেড়েছে। এবারের নিলামে মোট ৩৮ হাজার ৮১৪ টন দুগ্ধজাত পণ্য কেনাবেচা হয়েছে, যার গড় মূল্য দাঁড়ায় টনপ্রতি ৩ হাজার ৮৮৩ ডলারে। এর আগের নিলামে ৩৮ হাজার ৩৪৬ টন দুগ্ধজাত পণ্য বেচাকেনা হয়েছিল। সে সময় গড় মূল্য ছিল টনপ্রতি ৩ হাজার ৮৩৩ ডলার। 

দুগ্ধপণ্য উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে নিউজিল্যান্ড। দুগ্ধপণ্যের দাম কমে গেলে দেশটির অর্থনীতিতে উদ্বেগ বাড়ে। কারণ দেশটির জিডিপির বড় একটি অংশ আসে দুগ্ধজাত পণ্য থেকে।

প্রসঙ্গত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিভাগের (এফএও) মাসভিত্তিক মূল্যসূচক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী দুগ্ধজাত পণ্যের দাম জুলাইয়ে স্থিতিশীল ছিল। এফএও গত মাসের দুগ্ধজাত পণ্যের মূল্যসূচক ১২৭ দশমিক ৭ পয়েন্ট নির্ধারণ করে। জুনেও একই মূল্যসূচক নির্ধারণ করেছিল সংস্থাটি। তবে জুলাইয়ের মূল্যসূচক গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৬ পয়েন্ট (৭ দশমিক ২ শতাংশ) বেশি। এ সময় বিশ্বব্যাপী গুঁড়া দুধের দাম কমলেও ঊর্ধ্বমুখী ছিল মাখন ও পনিরের বাজার, যা দুগ্ধজাত পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন