হিলিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সরবরাহ কম থাকায় এ অঞ্চলে মসলাপণ্যটির বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এর পরও দুদিনের ব্যবধানে বন্দরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৫-১৮ টাকা। বর্তমানে হিলিতে প্রতি কেজি আমদানীকৃত পেঁয়াজ ৯৫-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, দুদিন আগেও যা ছিল ৮০-৮২ টাকা। 

এছাড়া গতকাল হিলির বাজারে একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। বর্তমানে অঞ্চলটিতে মসলাপণ্যটি কেজিপ্রতি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর আগে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজের  দাম ছিল ১১০ টাকা।

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পিএসএসএম জুবায়ের ডেভিড বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৫ আগস্ট একদিন পেঁয়াজ আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। তবে পরদিন বিকালে আমদানি-রফতানি আবার শুরু হয়। এর পর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।  তবে আমদানির পরিমাণ আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আগে বন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২০-২৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে ১০-১৫ ট্রাক করে আমদানি হচ্ছে। ৬ আগস্ট ১৩টি ট্রাকে ৩৭৬ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে, ৭ আগস্ট সাত ট্রাকে ২০৪ ও ৮ আগস্ট ১৩ ট্রাকে ৩৭৮ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। পেঁয়াজ কাঁচাপণ্য হওয়ায় গরম ও বৃষ্টিতে দ্রুত পচে নষ্ট হয়। তাই কাস্টমসের প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত যেন আমদানিকারকরা এসব খালাস করে নিতে পারেন বন্দর কর্তৃপক্ষ সেই ব্যবস্থা করে রেখেছে।’

বাড়তি দামের ব্যাপারে হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, ‘‌আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে কিছুটা নিম্নমানের ব্যালেন্স আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ কিনে বিক্রি করি। বর্তমানে বন্দরে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তাই এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আমাদের পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‌বর্তমানে বন্দরে ব্যালেন্স পেঁয়াজ কিনছি কেজিপ্রতি ৯০ টাকায়। পরিবহন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে এখন তা ৯৫ টাকায় বিক্রি করছি। এছাড়া মোকামেও দেশী পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তাই দেশী পেঁয়াজও তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিক্রি করতে হচ্ছে। মোকামে একদিন আগেও প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম ছিল ৪ হাজার ১০০ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ৪ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই পরিবহন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে আমরা এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি করছি। মৌসুম শেষ পর্যায়ে থাকায় মূলত দেশী পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এছাড়া অধিকাংশ কৃষকের আছে পেঁয়াজ নেই। তবে যাদের কাছে আছে তারা স্বল্প পরিমাণে বাজারে ছেড়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন