পুঁজিবাজার ও এআই বাবল নিয়ে উদ্বেগে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম পৌঁছতে পারে আউন্সপ্রতি ২,৯৫০ ডলারে

বণিক বার্তা ডেস্ক

গত ১১ মাসেরও কম সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে ছবি: রয়টার্স

পুঁজিবাজার ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) খাতে ব্যাপক হারে বিনিয়োগ বাড়িয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা। তবে এ দুই খাতের বর্তমান পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক নয়, বাবল হিসেবেই দেখছেন তারা। এ অবস্থায় তাদের আশঙ্কা, সামনের দিনগুলোয় তারা প্রত্যাশার তুলনায় কম লাভ অথবা উল্লেখযোগ্য ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারেন। ফলে পুঁজিবাজার ও এআই খাত থেকে বেরিয়ে মার্কিন ব্যবসায়ীরা  স্বর্ণের  বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে পারেন। এতে সামনের দিনগুলোয় আরো ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে মূল্যবান ধাতুটির দাম। আউন্সপ্রতি মূল্য পৌঁছতে পারে ২ হাজার ৯৫০ ডলারে। সম্প্রতি এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন ফাইন্যান্সিয়াল কনসাল্টেন্সি কোম্পানি জিল ইন্টেলিজেন্সের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডাম হ্যামিল্টন। খবর বিটকয়েনডটকম। 

অ্যাডাম হ্যামিল্টন বলেন, ‘পুঁজিবাজার ও এআই বাবল ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের বাজারে বিনিয়োগ বাড়াবে। ফলে ঊর্ধ্বমুখী চাহিদায় বাড়বে মূল্যবান ধাতুটির দাম। এরই মধ্যে স্বর্ণের ভূরাজনৈতিক ও বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রধান চাহিদা ছাড়াই আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুদিন আগেই রেকর্ড সর্বোচ্চ হয়েছে স্বর্ণের দাম।’

মাইনিংডটকমে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে অ্যাডাম হ্যামিল্টন বলেন, ‘গত ১১ মাসেরও কম সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। স্বর্ণের বুলিয়নের বাজার মূলত চীনের বিনিয়োগকারী ও অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাড়তি ক্রয়ের কারণে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘স্বল্পমেয়াদে চাহিদা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ পুঁজিবাজারে পতনের সময় স্বর্ণের দাম বাড়তে থাকে।’ 

অ্যাডাম হ্যামিল্টন আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে। এতে ডলারের বিনিময় হার আরো কমে যাবে। ফলে বিশ্ববাজারে আরো ঊর্ধ্বমুখী হবে স্বর্ণের দাম। 

এদিকে গতকাল সিএনবিসি খাতসংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে স্বর্ণের মূল্যবৃদ্ধির বেশকিছু কারণ জানিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির তথ্য। অগমন্ট-গোল্ড ফর অলের হেড রিসার্চ রেনিশা চাইনানি বলেন, ‘স্বর্ণের দামের সাম্প্রতিক রেকর্ড ভেঙে এটি আউন্সপ্রতি ২ হাজার ৫৫০ থেকে ২  হাজার ৬০০ ডলারে পৌঁছতে পারে। 

মেহতা ইকুইটিজের ভিপি কমোডিটিস রাহুল কালান্তরি বলেন, ‘ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের (ইসিবি) সম্ভাব্য সুদের হার হ্রাসেও  মূল্যবান ধাতুটির দাম  আরো বেড়ে যেতে পারে।’ 

ঋদ্ধি সিদ্ধি বুলিয়ন্স লিমিটেডের (আরএসবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক পৃথ্বীরাজ কোঠারি বলেন, ‘ভারতে দীপাবলি ও বিয়ের মৌসুম ঘিরে স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে যেতে পারে। এতে আরো ঊর্ধ্বমুখী হবে স্বর্ণের বাজার।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন