হিলিতে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

হিলিতে শনিবার ৩১৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম কমেছে। একদিন আগে পাইকারিতে (ট্রাকসেল) প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৮৪-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস এবং পরদিন শুক্রবার সাপ্তাহিক সরকারি ছুটি থাকায় দুদিন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। শনিবার আবারো পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এদিন বন্দর দিয়ে ১১টি ট্রাকে ৩১৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গতকালও আমদানি অব্যাহত ছিল।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের বাজারে দুদিন আগে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজের দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন বন্দরের আমদানিকারকরা।’

তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলন ও সরকার পতনের আতঙ্কে অনেক আমদানিকারক আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ব্যাংকগুলোয় চাহিদামাফিক এলসি না পাওয়ার কারণেও আমদানি কমে গিয়েছিল। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় চাহিদামতো এলসি খুলতে পারছেন আমদানিকারকরা। এতে হিলিসহ দেশের সব স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে, যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।’

শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে শুল্ক প্রত্যাহার করা গেলে দামও কমে যাবে। এতে পেঁয়াজ আমদানিও বাড়বে।’

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পিএস এসএম জোবায়ের ডেভিড বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। তবে এ সময় বন্দরের অন্যান্য কার্যক্রম চালু ছিল। দুদিন বন্ধের পর শনিবার বন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি শুরু হয়। পেঁয়াজ একটি দ্রুত পচনশীল পণ্য। তাই কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছি আমরা। আমদানিকারকরা যেন তাদের পণ্য দ্রুততম সময়ে খালাস করে নিতে পারেন, সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন