ড. ইউনূসকে চিঠি

দেশের সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান ৪ মার্কিন আইনপ্রণেতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের চার সদস্য। একই সঙ্গে সংকটের এ সময়ে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সফলভাবে উত্তরণ নিশ্চিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।

কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির ওয়েবসাইটে শুক্রবার এ চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে স্বাক্ষরকারী আইনপ্রণেতারা হলেন কমিটির প্রধান ও সিনেটর বেন কার্ডিন, সিনেটর ক্রিস মারফি, সিনেটর ক্রিস ভ্যান হলেন ও সিনেটর জেফ মার্কলে। চিঠির শুরুতেই বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ায় এবং নেতৃত্ব দেয়ায় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান মার্কিন এ চার আইনপ্রণেতা। সেই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেন তারা। আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপর সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত করারও অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে সিনেটররা লিখেছেন, ঐতিহাসিক এ মুহূর্ত এমনিতেই আসেনি। বিক্ষোভকারীদের যৌক্তিক দাবিদাওয়ার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত না করে র‍্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বরং নিষ্ঠুরভাবে শক্তি খাটিয়েছে। এতে নিহত হয়েছে শত শত বিক্ষোভকারী। আহত হয়েছে হাজারো মানুষ। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেককে। কিন্তু নাগরিকরা যখন ঐক্যবদ্ধ হয় তখন তাদের কণ্ঠস্বর সবচেয়ে কর্তৃত্ববাদী নেতাদেরও ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করে। 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জনগণ সাহসের সঙ্গে তাদের নিজস্ব সরকার এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সামষ্টিক পদক্ষেপের রূপান্তরকারী শক্তি প্রদর্শন করেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এ প্রসঙ্গে আইনপ্রণেতারা লিখেছেন, এ রূপান্তর বাংলাদেশে মানবাধিকার নিশ্চিত, যেমন মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতার সুরক্ষা; নানা বৈচিত্র্যের মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী সরকারে অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান; নাগরিক সমাজ ও স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রতি সমর্থন দেয়া এবং দেশের জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতার জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনার বিরাট সুযোগ। বাংলাদেশের জনগণ এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠার অধিকার রাখে, যা তাদের মতামতকে সম্মান জানাবে, অধিকারের সুরক্ষা দেবে ও মর্যাদা সমুন্নত রাখবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন