![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_389478_1.jpg?t=1719871171)
যুক্তরাষ্ট্রের বহুল প্রতীক্ষিত প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একরকম ধরাশায়ী হয়েছেন। বিপরীতে একের পর এক কথার বাণ ছুড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জবাব দিতে গিয়েই মাঝেমধ্যে হোঁচট খাচ্ছিলেন বাইডেন। নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাঠে নামার আগে বৃহস্পতিবার প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে বাইডেন পিছিয়ে গেছেন তা তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন। খবর সিএনএন।
শুক্রবার (২৮ জুন) নর্থ ক্যারোলাইনায় একটি শোভাযাত্রায় বক্তৃতা দেয়ার সময় ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ার কথা স্বীকার করে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন বলেন, ‘স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, আমি একজন যুবক নই। আমি আগের মতো সহজেই হাঁটতে পারি না। আগের মতো আমি সাবলীলভাবে কথা বলতে পারি না। আগের মতো ভালো বিতর্কও করতে পারিনি।’
তবে বক্তৃতায় বাইডেন এ কথাও বলেছেন, তিনি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন আরো চার বছর মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘আমি হৃদয় দিয়ে যদি বিশ্বাস না করতাম যে কাজটি করতে পারব, তবে নির্বাচনে অংশ নিতাম না।’
বিতর্কে কথা বলার সময় বাইডেনের কণ্ঠ খসখসে শোনাচ্ছিল। তখন ৮১ বছর বয়সী এ প্রেসিডেন্ট আরো চার বছর মেয়াদে কাজ করতে পারবেন কিনা এ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সমালোচনা শুরু হয়েছে তার নিজ দলের মধ্যেও।
এদিকে ট্রাম্পের সঙ্গে সিএনএন টেলিভিশনে বিতর্ক অনুষ্ঠানে বাজে পারফরম্যান্সের পর জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় পর্ষদ।
এক বিবৃতিতে নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় পর্ষদ বলেছে, প্রেসিডেন্টের উপস্থিতি (বিতর্কে) দেখে মনে হয়েছে তিনি তার ছায়ায় ছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে কী কী কাজ করবেন, তার ব্যাখ্যা দিতে তাকে লড়াই করতে হয়েছে। ট্রাম্পের উসকানিমূলক বক্তব্যের জবাব দিতেও হিমশিম খেয়েছেন। মিথ্যা তথ্য, ব্যর্থতা ও ব্যর্থ পরিকল্পনাগুলো নিয়ে ট্রাম্পের জবাবদিহি আদায় করতেও হিমশিম খেয়েছেন। একাধিকবার তিনি বাক্যও শেষ করতে পারেননি। ‘জনগণের সর্বোচ্চ সেবক বাইডেন এখন ঘোষণা দিতে পারেন যে তিনি আর নির্বাচন করবেন না’, বলা হয়েছে বিবৃতিতে। সংবাদপত্রটির সম্পাদকীয় পর্ষদ বলছে, ডেমোক্র্যাট নেতৃত্ব এখন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য শক্ত ও উদ্যমী কাউকে খুঁজতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ও বাইডেনের যেসব ঘাটতি রয়েছে, তার মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নিতে ভোটারদের বাধ্য করে দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলার কোনো কারণ নেই। আমেরিকানরা বাইডেনের বয়স ও দুর্বলতাকে উপেক্ষা করবে বা ছাড় দেবে, এমন আশা করা বড় ধরনের জুয়া হবে।
তবে দুই প্রার্থীর মধ্যে একজনকে বেছে নিতে বাইডেনকেই সমর্থন দেয়ার কথাও বলেছে পর্ষদ।