সঠিক তথ্যে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পুঁজিবাজার গঠন সম্ভব —ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত এমডি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাত্বিক আহমেদ শাহ বলেছেন, ‘‌ক্যাপিটাল মার্কেটের মূল চালিকাশক্তি বিনিয়োগকারী। বিনিয়োগকারীরা আপনাদের মাধ্যমে কোম্পানির সম্পর্কিত সঠিক তথ্য পেয়ে থাকেন। এজন্য আপনাদের তথ্যের সঠিকতা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। বিনিয়োগকারীরা আপনাদের নিরীক্ষিত তথ্যের ভিত্তিতেই তাদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। আপনাদের তথ্য সঠিক হলেই কেবল একটি দীর্ঘমেয়াদি টেকসই পুঁজিবাজার গঠন সম্ভব।’

ডিএসইর ট্রেনিং একাডেমিতে গতকাল ‘‌ডিউ ডিলিজেন্স অব ডিউটিস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। ডিএসইর লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট ও করপোরেট গভন্যান্স অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কমপ্লায়েন্স ডিপার্টমেন্টের যৌথ উদ্যোগে ইস্যু ম্যানেজার, আন্ডাররাইটার ও প্যানেল অডিটররা কর্মশালায় অংশ নেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত এমডি সাত্বিক আহমেদ শাহ।

তিনি বলেন, ‘‌কোম্পানি আইপিওতে আসতে চাইলে তাকে ইস্যু ম্যানেজার নিয়োগ দিতে হয়। ইস্যু ম্যানেজারের কাজ হলো আন্ডাররাইটার সংগ্রহ করা, বিএসইসির অনুমতি নেয়া, প্রসপেক্টাস প্রকাশ, আবেদনপত্র যাচাই করা, বরাদ্দপত্র ইস্যু করা ইত্যাদি। যে কেউ চাইলেই ইস্যু ম্যানেজারের কাজ করতে পারে না, এজন্য বিএসইসির সনদ সংগ্রহ করতে হয়। এখানে ইস্যু ম্যানেজারের অনেক বেশি দায়িত্ব৷। একই সঙ্গে অডিট রিপোর্ট গ্রহণযোগ্যতার জন্য নিরীক্ষককে দায়িত্বশীল হতে হবে। বিনিয়োগকারীদের কাছে নিরীক্ষা মতামতগুলো অবশ্যই সঠিক হতে হবে।’

কর্মশালায় বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, ‘একটা কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনতে হলে ইস্যু কোম্পানিকে অনেকটা অনুরোধ করেই আনতে হয়। আমাদের কাছে আসার পর দেখা যায় অনেক কিছুর অভাব রয়েছে। সেগুলো ঠিক করে একটা ইস্যু উপযোগী করা আমাদের জন্য অনেক কঠিন হয়। সেজন্য আমরা এরই মধ্যে পাবলিক রুলস বিভিন্ন ইস্যুতে কিছুটা মডিফিকেশনের জন্য বলেছি। ইস্যু ম্যানেজারের কাছে যখন আসে, তখন ইস্যু ম্যানেজারের সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। একটা ইস্যু জমা দিতে দেড়-দুই বছর বা ক্ষেত্রবিশেষে তারও বেশি সময় লাগে। ইস্যু ম্যানেজারের সে দায়িত্বগুলো দেয়া হয়েছে, বিশেষ করে ইউটিলাইজেশনের বিষয়টা, সেখানে ইস্যু ম্যানেজাররা কোনোভাবেই যুক্ত থাকেন না। সেটাকেও আমাদের রেসপনসিবল করা হয়েছে। অন্যান্য যে রেগুলেটর বডি আছে যেমন ভ্যাট, ট্যাক্স সেগুলো ইস্যু ম্যানেজাররা কীভাবে অথেনটিকেশন করতে পারবেন। এ ডকুমেন্টগুলো অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে দেয়া হয়। সেই ডকুমেন্টগুলো আমাদের অথেনটিকেটেড করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়।’

আইসিএবির কাউন্সিল মেম্বার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. শাহাদাত হোসাইন বলেন, ‘অডিটররা তাদের কাজের ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ডসের (আইএএস) বিধান অনুযায়ী আর্থিক প্রতিবেদনগুলোর যুক্তিসংগত নিশ্চয়তা প্রদান করেন। এটি কখনো পূর্ণ নিশ্চয়তা নয়। অডিটরদের শুধু তাদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে হবে। এছাড়া আইসিএবি এখন অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক সচেতন। আর ভুল যেখানে সূত্রপাত সেখানে যদি বন্ধ করা যায়, তবে সবার কাজ সহজ হবে।’

ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খাইরুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা সবাই যদি নিজ নিজ অবস্থান থেকে আইপিওর কাজগুলো দায়িত্বসহকারে পালন করি, তবে পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন