নিজের অমানবিক কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিতে শুরু করেছেন মিল্টন —ডিবি প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার জিজ্ঞাসাবাদে নিজের অমানবিক কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দিতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গতকাল নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। পাশাপাশি মৃত্যুসনদ জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে মানব পাচার মামলায় তাকে আরো চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড আদেশ দেন। এদিন প্রথমে তাকে গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে আব্দুস সালাম শিকদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। একই দিন বেলা ১টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয় মিল্টন সমাদ্দারকে। ওই সময় তাকে প্রথমে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে শুনানিকালে এজলাসে তোলা হয়।

মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এ সময় ভয়াবহ ও লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে এসেছে তার বিরুদ্ধে। মিল্টন একজন সাইকোপ্যাথ। তিনি কীভাবে একজন মানবতার ফেরিওয়ালা হলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। মিল্টন বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী শিশু ও রোগাক্রান্তদের ধরে আনতেন। তাদের দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান নিতেন, যা এসব মানুষের পেছনে খরচ করতেন না। বরং তারা অসুস্থ হলে নিজেই তাদের চিকিৎসার নামে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলতেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় মিল্টন স্বীকার করেছেন তার অপারেশন থিয়েটারের কথা। যেখানে ব্লেড ও ছুরি দিয়ে এ কাটাছেঁড়া করতেন। সেই সঙ্গে টর্চার সেলের কথাও জানা গেছে। যেখানে সে এসব অসহায় মানুষকে পেটাতেন। এছাড়া মিল্টনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন