রাজবাড়ীতে বর্ষার আগেই পদ্মা নদীতে ভাঙন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ৬ নম্বর ফেরিঘাটে ৫০ মিটার এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে ছবি : নিজস্ব আলোকচিত্রী

বর্ষা আসার আগেই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সামান্য কিছু জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন সাময়িক রোধ করেছে বিআইডব্লিউটিএ। হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়ায় ঝুঁকিতে রয়েছে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম, সদর উপজেলার বরাট, মিজানপুর, কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া এবং পাংশা উপজেলার হাবাসপুর, বাহাদুরপুরসহ নয়টি ইউনিয়নের ১৩টি পয়েন্ট।

শুষ্ক মৌসুমে নদী শাসন না করায় অসময়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা বলছেন, ভাঙনকবলিত স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে।

পাউবোর তথ্যমতে, বর্ষা মৌসুমে রাজবাড়ী শহর রক্ষাবাঁধের কয়েকটি জায়গাকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হলেও ৫৭ কিলোমিটার নদীপথের মধ্যে মাত্র ৩৯২ মিটার স্থায়ী কাজের অনুমতি পাওয়া গেছে।

নদীপাড়ের বাসিন্দারা জানান, গত সপ্তাহে হঠাৎ করে ভাঙন দেখা দেয় দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌ-রুট দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরিঘাটে। মুহূর্তেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় ৫০ মিটার এলাকা।

দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার বাসিন্দা নুরু মিয়া বলেন, ‘পদ্মার ভাঙন শুরু হলে বিআইডব্লিউটিএ কয়েকটি জিও ব্যাগ ফেলেছে। সামান্য এ কাজে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হয়। পানি বাড়লেই ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে পদ্মা।’

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, ‘এরই মধ্যে উপজেলার ১০টি মৌজা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গোয়ালন্দকে রক্ষা করতে একটি প্রকল্পের চেষ্টা করা হচ্ছে। যার অংশ হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। 

এ প্রসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজবাড়ীর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল আমীন বলেন, ‘পদ্মা নদী ক্ষণে ক্ষণে গতিপথ পরিবর্তন করে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ভাঙন শুরু হলে জিও ব্যাগ ফেলা হয়। এক শ্রেণীর ব্যক্তি সেই ব্যাগ কেটে নষ্ট করে। আবার জেলেরা নৌকা বাঁধার বাঁশ দিয়ে জিও ব্যাগ ছিদ্র করে। এ কারণে আবারো ভাঙন দেখা দেয়। নদীপাড়ের মানুষ যাতে সচেতন হয় সেজন্য সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। রাজবাড়ীতে ৫৭ কিলোমিটার পদ্মা ও ৩৮ কিলোমিটার এলাকায় গড়াই নদীর গতিসীমা রয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকা চিহ্নিত করেনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তবে ৫৭ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে মাত্র ৩৯২ মিটার এলাকায় কাজের অনুমতি পাওয়া গেছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন