বন্ধ থাকা এলপিজি উৎপাদনে যাচ্ছে না সিলেট গ্যাস ফিল্ড

নূর আহমদ, সিলেট

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

সিলেট গ্যাস ফিল্ডের আওতাধীন রশিদপুর ৩০০০ বিপিডি সিআরইউ প্লান্টের এলপিজি (এলপি গ্যাস) উৎপাদন এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে নতুন পাম্প লাগানোর কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও এলপিজি উৎপাদনে যাচ্ছে না গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ।

সূত্র বলছে, নতুন পাম্প লাগানো হয়েছে কয়েক মাস হয়ে গেছে। অথচ এলপিজি উৎপাদন এখনো শুরু হয়নি। যদিও এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে এলপিজি উৎপাদন শুরু করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

সিলেট গ্যাস ফিল্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২১ সালে রশিদপুর ৩০০০ বিপিডি সিআরইউ প্লান্টটি স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি খনি থেকে উত্তোলিত কনডেনসেট প্রসেসিং করে পেট্রল, অকটেন ও এলপি গ্যাস উৎপাদন করে। দৈনিক ২ টন এলপি গ্যাস উৎপাদন করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। গত ২০২৩ সালের মার্চে প্লান্টের এলপিজি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর এক বছর চলে গেলেও উৎপাদন শুরু হয়নি।

কর্তৃপক্ষের দাবি, এলপিজি প্রসেসিং ইউনিটের একটি পাম্প নষ্ট হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। অবশ্য চলতি বছরের মার্চে বিদেশ থেকে নতুন পাম্প এনে স্থাপন করা হয়েছে। এরপর প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও এলপিজি উৎপাদনে যাচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

এদিকে উৎপাদন বন্ধ রাখার ব্যাপারে দুই ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডের মহাব্যবস্থাপক (এলপিএম) প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বিশ্বাস ও রশিদপুর ৩০০০ বিপিডি সিআরইউ প্লান্টের ডিজিএম জীবন কান্তি সরকার।

মহাব্যবস্থাপক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস দ্রুত এলপিজি প্রসেসিং ইউনিট চালু করা হবে বলে জানান। অন্যদিকে ডিজিএম জীবন কান্তি সরকার বলছেন, এলপি গ্যাস উৎপাদন না করে শুধু পেট্রল ও অকটেন উৎপাদনে বেশি মুনাফা হচ্ছে। তাই এলপি গ্যাস উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে।

বক্তব্য ভিন্ন হলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে এলপিজি উৎপাদন শুরু করতে পারবেন বলে একমত দুই কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এটি প্লান্টের কারিগরি বিষয়। প্লান্টটি মূলত পেট্রল ও অকটেন উৎপাদনের জন্য স্থাপিত। উপজাত হিসেবে এলপি গ্যাস উৎপাদন হয়।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন