শিল্প সংগ্রাহকদের জন্য কায়ার প্রদর্শনীটি ভালো সুযোগ

ফারিহা আজমিন

ওয়াটার কালার প্যাশন ২০২৩ শিল্পী: সোহাগ পারভেজ

গ্যালারি কায়াতে চলছে ‘স্মল ফরম্যাট’ শিরোনামে বৃহৎ গ্রুপ প্রদর্শনী। উৎসবমুখর পরিবেশে ২৯ মার্চ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে, যা ৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। প্রদর্শনীজুড়ে থাকছে বাংলাদেশ ও ভারতের ৩২ চিত্রশিল্পীর শিল্পকর্ম। দেখা মিলবে নানা শিল্পীর নানা রঙের কাজ। কারো ক্যানভাস জলরঙে রঙিন। কেউ করেছেন অ্যাক্রিলিকের ব্যবহার। মোট ১৪২টি চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে রয়েছে। বাংলাদেশের চিত্রশিল্পী মাসুদা কাজীর ১৫টি অ্যাক্রিলিক ও জলরঙে আঁকা ছবি রয়েছে। এছাড়া শিল্পী রণজিৎ দাশের ১৩টি চিত্রকর্ম, মনোজ দত্তর দুটি, জামাল আহমদের চারটি ও রতন মজুমদারের দুটি চিত্র রয়েছে ‘স্মল ফরম্যাট’ আয়োজনে। এছাড়া ভারত থকে ১০ শিল্পী হাজির হয়েছেন তাদের কাজ নিয়ে। ভারতের চিত্রশিল্পীদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকেই বেশির ভাগ শিল্পী এসেছেন। বণিক বার্তার কথা হয়েছে একজন প্রবীণ শিল্পী রণজিৎ দাশ ও তরুণ শিল্পী সোহাগ পারভেজের সঙ্গে। রণজিৎ দাশ কায়ার এ আয়োজনকে ভালো উদ্যোগ বলেই মনে করেন। তিনি বলেন, ‘এ আয়োজন দুই বাংলার বেশ কয়েকজন বরেণ্য শিল্পীর পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীদের সঙ্গে নিয়ে আয়োজন হয়েছে। উদ্যোগটি শিল্পীদের মধ্যে মেলবন্ধনও তৈরি করছে।’

এছাড়া প্রবীণ ও তরুণ শিল্পীদের নিয়ে একযোগে কাজের বিষয় নিয়ে শিল্পী সোহাগ পারভেজ বলেন, ‘যখন একটা গ্যালারি রান করা হয় তখন একটা টার্গেট থাকে কীভাবে এটা রান করবে বা এটার এক্সিবিশন করবে, কীভাবে একটা আর্ট ক্যাম্প তৈরি করবে। সে জায়গা থেকেই গ্যালারি কায়া কিন্তু সবসময় বরাবরের মতোই প্রবীণ-নবীনদের সাপোর্ট করে। একটা গ্যালারি যখন নতুন হয়, তখন কিন্তু একটা পরিকল্পনা থাকে কীভাবে শিল্পীদের তৈরি করতে চায়। সারা জীবন আমাদের মাঝে প্রবীণ শিল্পীরা বেঁচে থাকবে না। তরুণদের মধ্য দিয়েই শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। সামনে তরুণদের আনতে হলে অবশ্যই প্রয়োজন তাদের অনুপ্ররণা জোগানো। কোনো ইয়াং পেইন্টার খুব ভালো কাজ করছে। অনেক জায়গায় আছে সিনিয়রদের সঙ্গে জুনিয়র আর্টিস্টদের মেশাতে চায় না। বিশ্বে কিন্তু এমন নেই। এমন সময়ও গেছে পাবলো পিকাসোর সঙ্গে প্যারিসে সুলতানের এক্সিবিশন হয়েছে। আমি প্রায় ৩৫ বছর ধরে ছবি আঁকি। অনেক আর্টিস্ট আছেন যারা বেঁচে নেই, কিন্তু তাদের শিল্পকর্ম এখনো বেঁচে আছে। সুতরাং বরাবরের মতো গ্যালারি কায়া এবারো যেটা করেছে সেটা হলো ইয়াংদের প্রমোট করা। ওরা সবসময় ইয়াংদের প্রমোট করে। একজন ইয়াং আর্টিস্টকে যুক্ত করলে তার গতি অনেক বেড়ে যায়।’ 

‘স্মল ফরম্যাট’ নামে প্রদর্শনীর পরিকল্পনা নিয়ে শিল্পী রণজিৎ দাশ ও সোহাগ পারভেজ মনে করেন, এ প্রদর্শনী শিল্প সংগ্রাহক যারা আছেন তাদের জন্য বেশ ভালো একটি সুযোগ তৈরি করেছে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ চাইলেই সংগ্রহে পছন্দের শিল্পীর ছবিটি রাখতে পারেন না। সামর্থ্যের বাইরে থাকে সেসব ছবি। তবে গ্যালারি কায়ার এবারের আয়োজনে সেই বিষয়টিই মাথায় রেখে এগিয়েছেন শিল্পী ও আয়োজকরা। দুই বাংলা শিল্পীদের ছবিগুলো সংগ্রাহকদের জন্য বেশ সুলভ মূল্যে রাখা হয়েছে। শিল্পী রণজিৎ দাশ মনে করেন, এ কারণে গ্যালারিতে দর্শকদের অনেক বেশি সাড়া পাচ্ছেন। এরই মধ্যে বেশকিছুসংখ্যক ছবিই বিক্রি হয়েছে প্রদর্শনী থেকে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন