নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের জাহাজ গোলাগুলির শব্দ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি I কক্সবাজার

কক্সবাজারের নাফ নদী ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে নাফ নদীর ওপারে গতকাল একটি জাহাজ দেখা গেছে। স্থানীয়দের ধারণা, সেটি মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ। কিন্তু বিজিবি বলেছে, এটি যুদ্ধজাহাজ কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জাহাজটি সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দেখা যায়। পরে তা অন্যত্র সরে গেছে।

সীমান্তবর্তী এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, গতকাল দুপুর পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি শব্দ শোনা গিয়েছিল। কিন্তু বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত পরপর ১০টির বেশি বিকট শব্দ ভেসে এসেছে।

শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণ কিছুটা কম অনুভূত হচ্ছিল। গতকাল সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের একটি যুদ্ধজাহাজ দেখা গেছে। এটি চলে যাওয়ার পর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ বেড়েছে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম জানান, গোলাগুলি বা মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ একটু কমেছে। তবে গতকাল বেলা ৩টার দিকে পরপর কয়েকটি শব্দ শোনা গেছে। সকালে নাফ নদীর ওপারে যুদ্ধজাহাজ দেখা গিয়েছিল, পরে তা চলে গেছে।

টেকনাফ সদর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এনামুল হক জানান, বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হয়েছিল। জুমার নামাজের পর আবারো গোলাগুলির বিকট শব্দ শোনা গেছে। এখনো থেমে থেমে শব্দ শোনা যাচ্ছে।

হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, গত কয়েকদিন একটানা মিয়ানমার সীমান্তের ওপারের গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে হ্নীলায়। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত কিছুটা কমলেও পরে আবার থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে।

সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘‌মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতে গোলার বিকট শব্দে কাঁপছে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। গতকাল দুপুরের পর থেকে থেমে থেমে গোলার বিকট শব্দ হচ্ছে।’

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) টেকনাফ ২-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সকালে শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের জলসীমায় একটি বড় জাহাজ দেখা গিয়েছিল। এটি যুদ্ধজাহাজ নাকি দেশটির অন্য কোনো জাহাজ তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দুপুরের আগেই জাহাজটি সেখান থেকে সরে গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন