![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_325139_1.jpg?t=1720070550)
প্রতিনিয়ত নিরীক্ষা ও সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে শিল্পের প্রতিটি ধারা সমৃদ্ধ হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিল্পীর দর্শনের বৈচিত্র্যময় উপস্থাপন ও শৈলীতে বাংলাদেশের শিল্পচর্চাও প্রতিনিয়ত ও পর্যায়ক্রমে সমৃদ্ধ হয়েছে। এবারের ‘১৯তম এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ ২০২২’ আয়োজনটিও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এশিয়ার বৃহৎ এ উৎসবে রয়েছে নানামুখী শিল্পকলার উপস্থাপন, যা অংশগ্রহণকারীদের মন ভরিয়ে চোখকে শান্তি দেয়।
শিল্পীদের জন্য গ্র্যান্ড পুরস্কার: প্রতিবারের মতো এবারের উৎসবে রয়েছে গ্র্যান্ড ও সম্মানসূচক পুরস্কার। এবারে তিনজন শিল্পী গ্র্যান্ড পুরস্কার পেয়েছেন; বাংলাদেশের সুশান্ত কুমার অধিকারী ও ইয়াসমিন জাহান নূপুর এবং নেদারল্যান্ডসের শিল্পী হ্যারল্ড স্কোলে। এছাড়া সম্মানসূচক পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের শিল্পী ফারিহা জেবা, জয়তু চাকমা, মামুর আহসান মাহতাব, ময়নুল ইসলাম পল, সুমন চন্দ্র দাস ও পর্তুগালের এনা সিলভিয়া মালহাডো।
লঞ্চে আর্টক্যাম্প: আর্টক্যাম্পেও অংশগ্রহণ করেছেন দেশী-বিদেশী দেড় শতাধিক শিল্পী। ১১ ডিসেম্বর পদ্মা নদীতে লঞ্চের ছাদে শিল্পীদের নিয়ে আর্টক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ৩০ বাংলাদেশী ও ১০০ বিদেশী শিল্পীর অংশগ্রহণে দিনব্যাপী আর্টক্যাম্প ও নৌবিহারের শেষে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
‘হোম অ্যান্ড ডিসপ্লেসমেন্ট’
সেমিনার: ১০ ডিসেম্বর লেখক অধ্যাপক নাজমা খান মজলিশের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ১৯তম এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর ‘হোম অ্যান্ড ডিসপ্লেসমেন্ট’
বিষয়ক সেমিনার শুরু হয়। দেশী-বিদেশী শিল্পী-শিল্পসমালোচক, জুরি, পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণে একটি নির্দিষ্ট থিমে হওয়া এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্পী মোস্তফা জামান। তাছাড়া বিভিন্ন পর্বে আলোচনা করেন স্থপতি সাইফ উল হক, লেখক ড. আজহার আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সমসদ মর্তুজা, লেখক ও শিল্প-সমালোচক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। বাউল গানের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় দুদিনের সেমিনার। এছাড়া মাসব্যাপী আয়োজনের তালিকায় রয়েছে শিশু কর্নার, বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ ছোট-বড় আরো নানা কিছু। ১১৪টি দেশের অংশগ্রহণে ৮ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।