রায়পুরায় চেয়ারম্যান হত্যায় মামলা হয়নি আটক ২

মাধবদীতে টেঁটাযুদ্ধে আহত ১০

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, নরসিংদী

নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হত্যার দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টায়ও থানায় মামলা হয়নি। পুলিশ বলছে, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। তবে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।

নিহত ইউপি চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিকের স্ত্রী মাহফুজা আক্তার জানান, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে আজ থানায় অভিযোগ নিয়ে যাবেন।

এদিকে গতকাল বিকাল ৪টায় রায়পুরার রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু অডিটরিয়াম মাঠে প্রথম জানাজা এবং মির্জারচর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে মানিকের মরদেহ দাফন করা হয়।

রায়পুরার রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু অডিটরিয়াম মাঠে প্রথম জানাজায় সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, নরসিংদী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনির হোসেন ভূইয়া, রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর হোসেনসহ রায়পুরার ২৩ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। 

সময় সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তার হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আল-আমিন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।

টেঁটাযুদ্ধে আহত ১০: নরসিংদীর মাধবদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন টেঁটাবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল সকাল ৮টায় দিকে মাধবদী থানার চরদীঘলদী ইউনিয়নের জিতরামপুর গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে মাধবদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ স্থানীয়রা জানায়, পূর্বশত্রুতা আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জিতরামপুর গ্রামের আবুল তার প্রতিপক্ষ রমজানের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার রাত থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। গতকাল ভোরে উভয় পক্ষের লোকজন টেঁটা, বল্লম ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে পাঁচজন টেঁটাবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন