নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে ঢাকা-দিল্লী উপকৃত হতে পারে বলে ঢাকায় সফররত ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শ্রিংলা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে বিষয়টি জানান।
শেখ হাসিনা-হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সাক্ষাতের পর গণমাধ্যমে এ নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করে ঢাকা-দিল্লী উপকৃত হতে পারে। কারণ, এটি হবে সবুজ জ্বালানি এবং সস্তা।
এ সময় বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে তার দেশ বিনিয়োগ করতে চায় বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। পাশাপাশি শিলিগুড়ি-পার্বতী পুর, ঢাকা-শিলিগুড়ি এবং ঢাকা-জলপাইগুড়ি রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ লোক বিদ্যুতের আওতায় রয়েছে। যেখানে গ্রিড লাইন নেই সেখানে সরকার সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের ছোটখাটো কিছু বিষয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের ব্যাপারেও কথা বলেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেন, আমরা চাই এ সমস্যার সমাধান হোক। প্রধানমন্ত্রীও এতে সম্মত হয়েছেন বলে প্রেস সচিব জানান।
নভেল করোনাভাইরাস মহামারীকালীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসাও করেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা অশোক মল্লিক এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস দুজনের সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন।
