জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ

সাবেক কর কমিশনারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর কমিশনার আ জা মু জিয়াউল হক ও তার স্ত্রী স্কুলশিক্ষিকা মোর্শেদা কুদ্দুসের নামে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব অবৈধ সম্পদের বৈধতা দিতে তারা আয়ের উৎস হিসেবে মৎস্য চাষ, ঋণগ্রহণ ও হেবা দলিলে জমির মালিকানা অর্জনকে দেখিয়েছেন। দুদকে দাখিল করা তাদের সম্পদ বিবরণী যাচাই ও অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন তথ্য। অনুসন্ধানে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) সম্প্রতি মামলা দুটি দায়ের করেন উপপরিচালক সেলিনা আখতার। 

২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর অবসরে যাওয়া আ জা মু জিয়াউল হকের গ্রামের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায়। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। আইনের বাইরে কিছুই করিনি। আমার সব সম্পদ আয়কর নথিতে দেখানো রয়েছে।’ 

এজাহারে বলা হয়, ঢাকার বড় মগবাজারে ৫৩ শতাংশ জমি স্ত্রী মোর্শেদা কুদ্দুসের কাছ থেকে হেবা দলিলে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন জিয়াউল হক। ২০১৪ সালে সেই জমি মোর্শেদা কুদ্দুস তার ভাই আব্দুল রকিব কাজমীর কাছ থেকে হেবা দলিলে পেয়েছেন। কিন্তু রেকর্ড পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৮ সালে ওই জমি জিয়াউল হক নিজ নামে তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে রেজিস্ট্রি করে নেন। যার হেবা দলিল মূল্য ২৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা। 

২০১৪ সালে মোর্শেদা কুদ্দুস তার ভাই আব্দুল রকিব কাজমী থেকে কুমিল্লায় ১ কোটি টাকা হেবা দলিল মূল্যের আরো একটি জমি পান। এটি তার আম-মোক্তার দিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়। মোর্শেদা কুদ্দুস ছাড়া তার ভাই মৃত আব্দুল রকিব কাজমী তার স্ত্রী, সন্তান বা অন্য কোনো ভাইবোনকে কোনো সম্পত্তি মৃত্যুর আগে হেবা বা দান করেননি। অর্থাৎ জিয়াউল হক তার অবৈধ অর্থ দিয়ে নানা কৌশলে জমি কিনেছেন। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন