দেশে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের
দ্বিতীয় দিন আজ শনিবার। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধিনিষেধ পালন শুরু হয়েছে। আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এই বিধি নিষেধ বহাল
থাকবে।
বিধিনিষেধ চলাকালে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের
বাইরে বের হলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। এসময় জনগণকে সতর্ক থাকা, মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি
মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
বিধি নিষেধ কার্যকর করতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছেন। ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেলগুলোকে
বারবার পুলিশের চেকপোস্টের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
সকাল থেকে রাজধানীর
যাত্রাবাড়ি,সায়েদাবাদ,খিলগাঁও,বাসাবো,মতিঝিল,পল্টন ও শাহবাগ
এলাকার সড়কগুলো সুনসান দেখা গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বাসস।বিভিন্ন মোড়ে বাশঁ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ সদস্যদের টহল দিতে
দেখা গেছে।নীরব ছিল রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকা। বৃষ্টি ও বিধিনিষেধের কারণে খুব জরুরি
প্রয়োজন ছাড়া তেমন কাউকে বাড়ির বাইরে বের হতে দেখা যায়নি।অকারণে কেউ পথে হাঁটাচলা করলে
তাদের বাড়ি ফিরতে পরামর্শ দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।
এর আগে গত ১৩ জুলাই বিধি নিষেধ আরোপ
করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই আদেশে ঈদের কারণে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩
জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধি নিষেধ শিথিল করা হয়েছিল । ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে
নতুন করে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয় ওই ঘোষণায়। কঠোর বিধি নিষেধের প্রথম দিন শুক্রবার
ঢাকায় ৪০৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া অহেতুক
ঘোরাফেরা করায় এদের গ্রেফতার করা হয়।