মধ্যরাতে
খাবারের খোঁজে থাইল্যান্ডের একটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছে এক বুনো হাতি। গত সপ্তাহের শেষে দেশটির হুয়া হিন জেলায় এ ঘটনা ঘটে। খবর সিএনএন।
বাড়ির মালিক নারী রচ্চদাওয়ান পুয়েংপ্রসাপ্পন বলেন, ‘আমরা
বাসায় ঘুমিয়েছিলাম; হঠাৎ রান্নাঘরে একটা শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। শব্দ শুনে দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে
দেখি একটা হাতি আমাদের রান্নাঘরের দেয়ালে
গুঁতো দিচ্ছে। এতে আমাদের রান্নাঘরের দেয়ালটি ভেঙে যায়।’
তিনি
জানান, গত মাসে হাতির আক্রমণে তাদের ঘরটি ক্ষতিক্ষস্ত হয়েছিল। এর ফলে
দেয়ালে একটি গর্তও তৈরী হয়। সেটি মেরামত
করার আগে গত শনিবার রাতে ওই গর্ত দিয়ে আরেকটি হাতি মাথা ঢুকিয়ে দেয়।
রচ্চদাওয়ানের ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হাতিটি
শুড় দিয়ে রান্নাঘরের ড্রয়ার হাতরাচ্ছে। এক পর্যায়ে একটি প্লাস্টিক ব্যাগ তার মুখে পুড়ে
দেয়।
তিনি বলেন, আমি যখন যুবতী ছিলাম তখন
থেকেই দেখতাম হাতিগুলো খাবারের সন্ধানে নগরীর চারিদিকে ঘুরে বেড়াত। তবে এই প্রথম
ঘর ভেঙে দেয়ার ঘটনা দেখলাম।
শনিবার হাতিটি যখন রান্নাঘরে ঢোকে তখন সেখানে কোনো খাবার ছিল না। খুব
সম্ভবত হাতিটি রান্নাঘরে রাখা লবণ চুরি করতে চেয়েছিল বলে জানান তিনি।
খাবারের সন্ধানেই
হাতিটি রান্নাঘরে হানা দিয়েছিল বলে মনে করেন দেশটির বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা। রোববার থাইল্যান্ডের ডিপার্টমেন্ট অব ন্যাশনাল পার্ক, ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড প্ল্যানেট কনজারভেশন তাদের এক ফেসবুক পোস্টে জানায়,
‘হাতি তৃণভোজী প্রাণী। তাই খনিজের প্রয়োজনে এদের নোনতা খাবার প্রয়োজন হয়। এজন্য তারা খনিজ জাতীয় খাবারের সন্ধান করে।’
স্থানীয় প্রশাসনের
এক কর্মকর্তা প্রতীপ পুওয়ংটারন বলেন, ন্যাশনাল পার্কের প্রবেশ পথেই রচ্চদাওয়ানের বাড়ি থাকায় সেটি হাতির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।
ন্যাশনাল
পার্ক ও হাতির আবাসস্থল কাছাকাছি হওয়ায় এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে বলে জানান তিনি। প্রতীপ আরো বলেন, ফল
সংগ্রহের মৌসুমে সাধারণত হাতির উৎপাত বেড়ে যায় তখন এ ধরনের
ঘটনা দেখা যায়।