প্রাক্তন স্ত্রীর দায়ের করা মামলা থেকে সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যানের অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সারের বিরুদ্ধে তার তৎকালীন স্ত্রী তাবাসসুম কায়সারের দায়ের করা তিনটি মামলাই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মেহেদী হাসান এ রায় দেন। অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগ তুলে স্বামীর বিরুদ্ধে তাবাসসুম কায়সার মামলা করেছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০২২ সালে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় তাবাসসুম কায়সার তার স্বামী আজিজ আল কায়সারের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে আদালত মামলাগুলো ডিবিকে তদন্তের আদেশ দেন। তদন্ত শেষে ডিবি অভিযোগের সঙ্গে বিবাদী আজিজ আল কায়সারের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে অভিযোগ হতে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। কিন্তু বাদী তাবাসসুম কায়সার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দরখাস্ত দাখিল করলে আদালত মামলাগুলো পুনঃতদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেন। পিবিআই পুনঃতদন্ত করে পুনরায় অভিযোগের সঙ্গে বিবাদীর কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে গত ১৭ এপ্রিল তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। পুনরায় বাদী তাবাসসুম কায়সার নারাজি দরখাস্ত দায়ের করলে এবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তা নামঞ্জুর করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আজিজ আল কায়সারকে মামলায় আনা সকল অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদেশ প্রদান করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি ব্যাংক চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার বণিক বার্তাকে বলেন, ‘তাবাসসুম কায়সারের সঙ্গে আমার ২৮ বছরের সংসার। দীর্ঘ এ সময়ে আমরা সুখী দম্পতি ছিলাম। আমাদের দাম্পত্য জীবনে কারো পক্ষ থেকেই কোনো অভিযোগ ছিল না। কিন্তু গত দুই বছর কিভাবে কী হলো, আমি এখনো বুঝে উঠতে পারিনি। কোনো একটি পক্ষের প্ররোচনায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কয়েক শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের তদন্ত ও আদালতের রায়ে সত্য উন্মোচিত হয়েছে।’

আজিজ আল কায়সার বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ হতেই পারে। এজন্য ইসলামি শরিয়াহ আছে, পরিবারের মুরব্বিরা আছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমার স্ত্রী পক্ষের কেউ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেননি। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন। তারা দুজনই এখন আর বেঁচে নেই। তাবাসসুম কায়সারের বড় ভাই-বোন ছিলেন। তারা দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে ঘটনাটি এতটা বিশ্রী পর্যায়ে যেত না।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন