বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট সাংবাদিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংবাদ-সম্মেলন-শুরুর-আগে-ও-বয়কটের-পর।-—-ছবি: বণিক-বার্তা

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের স্বাধীন প্রবেশাধিকার ছিল। কিন্তু দেড় মাস আগে হঠাৎ করেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এর প্রতিবাদে আজ সাংবাদিকরা দেশের ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ডাকা সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছেন। গতকাল বেলা আড়াইটায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল।

ঋণের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করছে। সংস্থাটির প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক করে। সেসব বৈঠকের সিদ্ধান্তসহ ঋণের সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া, ডলারের দর নির্ধারণে ক্রলিং পেগ নীতির অনুসরণ, নীতি সুদহার বৃদ্ধির ঘোষণাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। নির্ধারিত সময়ে ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, মুখপাত্র মো. মেজবাউল হকসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের শতাধিক সাংবাদিকও সম্মেলনস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বক্তব্য শুরুর আগেই সাংবাদিকদের প্রবেশ ইস্যুতে কথা বলেন অর্থনীতি বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। তিনি ডেপুটি গভর্নর ও মুখপাত্রের কাছে এ বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে তাদের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এ পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা অনুষ্ঠান বয়কট করে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বেরিয়ে আসেন।

পরে ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, ‘স্বাধীনতা-পরবর্তী ৫৩ বছর ধরে সাংবাদিকরা বাংলাদেশ ব্যাংকে স্বাধীন প্রবেশাধিকার পেয়ে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে দেড় মাস ধরে সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এটি স্বাধীন সাংবাদিকতার পাশাপাশি গণতন্ত্র, মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী। এ বিষয়ে সমাধান চেয়ে ইআরএফের পক্ষ থেকে দুই দফায় গভর্নরকে চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু কোনো সমাধান না আসায় আজ সম্মিলিতভাবে আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করেছি। প্রবেশাধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত সাংবাদিকদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে আসছেন সংবাদকর্মীরা। এ নিয়ে এরই মধ্যে টিআইবি, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব), সম্পাদক পরিষদ, ইআরএফ, ডিআরইউ, ডিইউজে, বিএফইউজেসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন