আলোকপাত

মূল্যস্ফীতি: অর্থনীতির এ দুষ্টক্ষত নিরাময় জরুরি

মোশাররফ হোসেন ভূইয়া

ছবি : বণিক বার্তা

প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন অভিযাত্রা কোনো অলৌকিক ঘটনা নয়, বরং এর পেছনে মুখ্য ভূমিকায় ছিল দেশের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীদের কর্মতৎপরতা, কৃষি ও শিল্পে উৎপাদন বৃদ্ধি তথা কর্মসংস্থান এবং এক বিরাট জনগোষ্ঠীর কঠোর পরিশ্রমে উপার্জিত আয় ভোগের উদ্দেশ্যে ব্যয়; সর্বোপরি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরকারি বিনিয়োগ ও প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা প্রদান। এ কথা অনস্বীকার্য যে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয়বার দেশের শাসনক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বাজেট প্রণয়ন ও সরকারি ব্যয়ে আগ্রাসী ভূমিকা পালনের ফলে জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি প্রায় এক দশক গড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি হারে অর্জিত হয়েছে, যা কভিড-১৯ পূর্ববর্তী অর্থবছরে (২০১৮-১৯) ৮ দশমিক ১৫ শতাংশে উন্নীত হয়।

তবে এ উন্নয়নের সুফল সাধারণ জনগণ সমভাবে ভোগ করতে পারছে না। অর্থনীতিতে বৈষম্য বেড়েছে। তুলনামূলকভাবে একটি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর হাতে সম্পদ কুক্ষিগত হয়েছে। যাদের হাতে অর্থকড়ি এসেছে তারা কেবল কর্মঠ ব্যবসায়ী কিংবা উদ্যোক্তা শিল্পপতি নন, তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অসৎ ব্যবসায়ী, ব্যাংক লুটেরা, বিদেশে অর্থ পাচারকারী, সরকারি অর্থ আত্মসাৎকারী এবং অসৎ আমলা ও রাজনীতিক। দেশের অর্থনীতিবিদ, থিংক ট্যাংক এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পর্যালোচনা ও জরিপে দেখা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও যুদ্ধাবস্থায়ই যে কেবল দায়ী তা নয়, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তাব্যক্তি ও নীতিনির্ধারকদের যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে ঘাটতি কিংবা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থতাও বহুলাংশে দায়ী। এছাড়া রয়েছে সর্বব্যাপী সীমাহীন দুর্নীতি ও কছু অসৎ ব্যক্তির কারসাজি। ফলে অর্থনীতিতে কতিপয় দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এসব সমস্যার পর্যালোচনা ও প্রতিকারের আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে অর্থনীতি আরো কঠিন বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে পড়বে। 

অর্থনীতিবিদরা ভিন্ন ভিন্নভাবে আমাদের সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করছেন। কেঊ কেঊ ঊচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণের ঝুঁকি এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির নিম্নগতিকে মূল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। আবার অনেকে মুদ্রাস্ফীতি, খেলাপি ঋণের সঙ্গে মুদ্রা পাচার, বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা ও ক্ষয়িষ্ণু রিজার্ভকে গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখছেন। ভিন্নমত থাকলেও যেসব সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, এদের মধ্যে কয়েকটিকে ‘দুষ্ট ক্ষত’ হিসেবে চিহ্নিত করা যায়, যেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

১. মূল্যস্ফীতি: প্রায় দুবছর ধরে মূল্যস্ফীতি ৯-১০ শতাংশে বিরাজ করছে। বিআইডিএসের এক সাম্প্রতিক জরিপে বলা হয়েছে, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায় ১৫ শতাংশ, গ্রাম ও শহর সব জায়গাতেই মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষ হিমসিম খাচ্ছে। কারণ মূল্যস্ফীতির বিপরীতে আয় ও মজুরি তেমন বাড়েনি। মূল্যস্ফীতির কারণে দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রায় পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থায় কাটছাঁট করতে হচ্ছে। দারিদ্র্যের হার তো কমছেই না বরং কোথাও কোথাও বাড়ছে বলে কোনো কোনো গবেষণায় বলা হচ্ছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, এশিয়ার ভারত, শ্রীলংকা, নেপাল প্রভৃতি দেশ দেড়-দুই বছর আগে মূল্যস্ফীতির কবলে পড়লেও বর্তমানে এর প্রকোপ কমিয়ে আনতে পেরেছে। বিশ্ববাজারে ক্রমান্বয়ে দ্রব্যমূল্য কমে গেলেও আমাদের দেশে এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক দ্রব্য আমদানিনির্ভর। বেশকিছু সময় ধরে স্থানীয় মুদ্রা টাকার অবমূল্যায়ন এসব দ্রব্যের ক্রয়মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে। তবে মূল্যস্ফীতির জন্য এর চেয়ে বেশি দায়ী এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীর অতি মুনাফাখোরি প্রবণতা, ভোজ্যতেল, চিনি, চালসহ বেশকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বেচাকেনায় কতিপয় ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেট গঠন, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, বিভিন্ন মহলের চাঁদাবাজি ইত্যাদি। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আমদানিতে ব্যাংক, বন্দর ও রেগুলেটরি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছেন না। ফলে বাজারে পূর্ণ প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে না। অভিজ্ঞ মহলের ধারণা, সরকার নীতি সহায়তা, আইনের কঠোর প্রয়োগ ও নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব সিন্ডিকেট প্রতিরোধ করে বাজারে পূর্ণ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে পারলে মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা সম্ভব হবে। যেকোনো মূল্যে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য সুদের হার ও মুদ্রানীতি প্রয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিলম্ব ও দীর্ঘসূত্রতাকে অনেকে দায়ী করেন। আসন্ন বাজেট প্রণয়নে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে মর্মে সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা।

২. খেলাপি ঋণ ও ব্যাংক বিপর্যয়: ব্যাংকের টাকা নামে-বেনামে অবৈধভাবে উত্তোলন করে আত্মসাৎ, ঋণ গ্রহণ করে নিয়মিত পরিশোধ না করে খেলাপি হওয়া—আর্থিক খাতের নাজুকতা ও ব্যাংক বিপর্যয়ের বড় কারণ। দিনদিন খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবমতে, ২০২৩ সালের মার্চে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা, তিন মাসের ব্যবধানে জুনের শেষে যা বেড়ে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকায় পৌঁছে। মার্চ ২০২৪ শেষে প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা বলা হলেও প্রকৃত খেলাপি ঋণ আরো অনেক বেশি বলে ব্যাংকসংশ্লিষ্টরা মনে করেন। আইএমএফের সংজ্ঞা অনুযায়ী যেসব ঋণ রিশিডিউল করা হয়েছে, যেসব ঋণ অবলোপন করা হয়েছে এবং যেসব প্রকল্পের ঋণ মামলায় বিচারাধীন সেসব ঋণও খেলাপি বা নন-পারফরমিং হিসেবে বিবেচিত হবে। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা, অর্থাৎ ব্যাংক খাতের মোট ঋণের ২৫ শতাংশই খেলাপি ছিল। বাংলাদেশে বর্তমানে ৬১টি ব্যাংক চালু রয়েছে। এক হিসাবে দেখা গেছে, মাত্র ১৩ ব্যাংকের নন-পারফর্মিং লোনের পরিমাণ ৩ শতাংশের নিচে। অবশিষ্ট ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ অনেক বেশি। পদ্মা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৫৩ শতাংশ, বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রায় ৬৬ শতাংশ ও ন্যাশনাল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রায় ৮০ শতাংশ।

গত কয়েক বছর সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণখেলাপিদের ঋণ পুনঃতফসিলীকরণের নানা সুবিধা দিয়েছে। তা সত্ত্বেও খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমেনি, বরং বেড়েই চলেছে। অনেকে এ সুবিধার অপব্যবহার করে পুনরায় ঋণ নিয়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়িয়েছেন। অনেক ঋণগ্রহীতা আছেন, যারা গৃহীত ঋণ ব্যবসার কাজে না লাগিয়ে নানা উপায়ে বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন।

ব্যাংকের ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার প্রবণতা বেড়ে গেছে। এসব ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের মধ্যে রয়েছেন চিহ্নিত ব্যবসায়ী, ব্যাংকের পরিচালক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাছে চিহ্নিত ঋণখেলাপি কিংবা ব্যাংক লুটেরাদের তথ্যাদি রয়েছে। কিন্তু এরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অন্যদিকে ছোট ছোট ঋণ খেলাপির বিরুদ্ধে ব্যাংক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা করে মর্মে অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে।

দেশের অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকসংশ্লিষ্টদের ধারণা, খেলাপি ঋণ আদায়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছা একান্ত প্রয়োজন। দীর্ঘমেয়াদি খেলাপিরা যদি এ বার্তা পান যে, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করে কোনোভাবেই পার পাওয়া যাবে না, তখন তারা ঋণ পরিশোধে উদ্যোগী হবেন।

নতুন ঋণ প্রদানে সতর্কতা, বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর তদারকি এবং খেলাপি ঋণ গ্রহীতাদের প্রতি উদারতা ও পৃষ্ঠপোষকতা পরিহার ও ব্যাংকিং আইন নিরপেক্ষ সংস্কারের মাধ্যমে সংশোধনপূর্বক কঠোরভাবে প্রয়োগ করে খেলাপি ঋণ থেকে বেরিয়ে আসার পদক্ষেপ নিতে হবে।

৩. বিদেশে অর্থ পাচার: দেশের অর্থনীতির আরেকটি দুষ্ট ক্ষত অর্থ পাচার। পৃথিবীর প্রায় সব দেশ থেকেই কমবেশি অর্থ পাচার হয়, কিন্তু এশিয়া মহাদেশে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি অর্থ পাচার অন্য কোনো দেশ থেকে হয় না বলে ধারণা। এক শ্রেণীর বাংলাদেশীর দেশপ্রেম বলতে কিছুই নেই। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে কোনো এক তথ্যসূত্রে বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে ৭০০ কোটি ডলার পাচার হয়ে যাচ্ছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতিবেদন এবং অন্যান্য সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংস্থাটি জানায় যে বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে গড়ে প্রতি বছর প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায়। বিভিন্ন সূত্রমতে, ব্যবসা-বাণিজ্যের আড়ালে বা আমদানি-রফতানির ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মোট পাচারের ৮০ শতাংশ সংঘটিত হয়। ইদানী এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিং সংঘটনের বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ায় পাচারকারীরা অন্য পন্থা অবলম্বন করছে। সাম্প্রতিক সময়ে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার বেড়ে গেছে। প্রবাসী আয়ের প্রায় ৫০ শতাংশ আসে বৈধ পথে, বাকি ৫০ শতাংশ আসে হুন্ডির মাধ্যমে। হুন্ডি ব্যবসায়ীরা প্রবাসীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করছে। বাংলাদেশের মুদ্রা পাচারকারীদের পাচারকৃত বৈদেশিক মুদ্রার গন্তব্যস্থল হচ্ছে প্রধানত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং ইউরোপের দেশগুলো। এছাড়া দেশের রফতানি আয়ের প্রায় ২০ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে বিদেশে থেকে যাচ্ছে। এটিও বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের একটি অন্যতম উৎস। 

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ ও সংশোধিত আইন ২০১৫ অনুযায়ী বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পুলিশের সিআইডি পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে অর্থ পাচার প্রতিরোধে কাজ করছে। কিন্তু এদের কার্যকলাপ সব সময় নির্ভরযোগ্য নয়। এছাড়া কোর্টে মামলা করা হলে বিচার প্রক্রিয়া সময় সাপেক্ষ। অর্থ পাচারের মূল হোতারা চিহ্নিত হয় না। এরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। 

খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার ব্যাপারে যেমন রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন, অর্থ পাচার প্রতিরোধেও সে ধরনের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রে ঋণখেলাপি ও বিদেশে মুদ্রা পাচারকারীরা অভিন্ন।

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকার কর্তৃক যে ইশতেহার প্রদান করা হয়েছে তাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচার প্রতিরোধে সর্বাত্মক অঙ্গীকার ঘোষণা করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়াকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। তাই জনগণ প্রত্যাশা করে, সরকার নির্বাচনী অঙ্গীকার পালন ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া ও উন্নয়ন দৃশ্যমান করার লক্ষ্যে অর্থনীতির উপর্যুক্ত দুষ্ট ক্ষতগুলো উপশম ও প্রতিরোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করবে।

মোশাররফ হোসেন ভূইয়া: সাবেক সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান। বর্তমানে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন