রাত পোহালেই শুরু নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

ক্রীড়া ডেস্ক

ছবি : বিসিবি
Default Image

এই প্রথম ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই প্রথম একাধিক দেশে বসছে কোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে এবারের আসরের আয়োজক। যুক্তরাষ্ট্রের শহর ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে ১ জুন স্বাগতিক দেশ ও কানাডার ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে সংক্ষিপ্ত ভার্সনের এই ক্রিকেট মহারণ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সময়ের ব্যবধানের কারণে বাংলাদেশ সময় রোববার সকাল সাড়ে ৬টায় শুরু হবে নবম বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটি।

নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে মোট ২০টি দল। ‘এ’ গ্রুপে ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড ও কানাডা; ‘বি’ গ্রুপে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, স্কটল্যান্ড ও ওমান; ‘সি’ গ্রুপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান, উগান্ডা ও পাপুয়া নিউগিনি এবং ‘ডি’ গ্রুপে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস ও নামিবিয়া খেলবে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল উঠবে সুপার এইট পর্বে। দুটি সেমিফাইনাল শেষে ২৯ জুন ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এবারের আসরের।

২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের শীর্ষ আট দল সরাসরি কোয়ালিফাই করেছে এবার। দলগুলো হলো—অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলংকা। স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি খেলার সুযোগ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত র‍্যাংকিংয়ের বিচারে জায়গা পায় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।

এরপর বাছাই পর্ব খেলে বিশ্বকাপের টিকিট পায় নামিবিয়া, উগান্ডা, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওমান, নেপাল, পাপুয়া নিউগিনি ও কানাডা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র দুটি দল একাধিক শিরোপা জিতেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০১২ ও ২০১৬ সালে এবং ইংল্যান্ড ২০১০ ও ২০২২ সালে শিরোপা উৎসব করে। এছাড়া ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও অস্ট্রেলিয়া একবার করে শিরোপা জিতেছে। ফেভারিট দলগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারেনি কখনো।

এবার কি নতুন কোনো দেশে যাবে বিশ্বকাপ, নাকি পুরনোদের কেউই পাবে ট্রফির স্বাদ? ২৯ জুন বার্বাডোজ ফাইনালশেষে জানা যাবে এই প্রশ্নের উত্তর।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কখনই সেমিফাইনালে খেলতে পারেনি। পাঁচবার দ্বিতীয় রাউন্ডই সেরা সাফল্য। এবারও দলকে ঘিরে বড় কোনো প্রত্যাশা করা কঠিনই। বিশেষ করে, বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে র‍্যাংকিংয়ে দশ ধাপ পেছনে থাকা দল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজ হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ দল অনেক চাপে থাকবে। এই চাপ জয় করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারবেন কিনা, সেটি সময়ই বলে দেবে।

আপাতত এটুকু বলা যায়, ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সুপার এইটের টিকিট পাওয়া সহজ হবে না। কেননা তারকাখচিত দক্ষিণ আফ্রিকা আর উজ্জীবিত শ্রীলংকা সুপার এইটের বড় দাবিদার। এখন বাংলাদেশকে সুপার এইটে যেতে হলে এই দুটি দলের মধ্যে যেকোনো একটি দলকে হারাতে হবে কিংবা তাদের ব্যর্থতার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।

৮ জুন সকালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে যাত্রা হবে টাইগারদের। ডালাসে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায়। এরপর ১০ জুন নিউইয়র্কে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, ১৩ জুন সেন্ট ভিনসেন্টে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ও ১৭ জুন সেন্ট ভিনসেন্টে নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর দলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র পর্বই গুরুত্বপূর্ণ। দুটি বড় দলের সঙ্গে মোকাবেলায় অন্তত একটি জিততে পারলেই সুপার এইটে ওঠার কাজটি সহজ হয়ে পড়বে টাইগারদের।

স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্থানীয় সময় ২ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টা) পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে খেলতে নামছে। ম্যাচটি হবে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে।

সবার চোখ থাকবে ৯ জুন নিউইয়র্কে। নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় হাইভোল্টেজ ম্যাচে লড়বে উপমহাদেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ভারত ও পাকিস্তান। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে পাকিস্তানকে শেষ বলে হারায় ভারত। বিরাট কোহলির বীরত্ব (৫৩ বলে ৮২*) ভারতকে ৪ উইকেটের জয় এনে দেয়। আজ নিউইয়র্কে নিশ্চিতভাবেই ফিরে আসবে মেলবোর্নের স্মৃতি।

এবারের বিশ্বকাপে মোট ৫৫টি ম্যাচ, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তিন ভেন্যুতে হবে ১৬টি ম্যাচ, বাকিগুলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছয় ভেন্যুতে হবে। সুপার এইট, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল সবই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ জুন বার্বাডোজে ফাইনাল। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন