অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক
সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল এই জনপদ সম্পূর্ণভাবে প্লাবিত
হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে। এখন
পূর্বাভাস অনেক আগেই জানা যায়। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) শুরু করেছিলেন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই ধারাবাহিকতায় যেকোনো দুর্যোগের পূর্বাভাস
আগেই পাওয়া যায়। পাশাপাশি সরকার অনেক সাইক্লোন সেন্টার ও মুজিব কেল্লা স্থাপন করেছে
এবং আরো স্থাপন করা হবে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) চট্রগ্রামের আনোয়ারায় রায়পুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
মাঠে ২৯ এপ্রিল স্মরণসভা আয়োজক কমিটি আয়োজিত শতাব্দীর প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ২৯ এপ্রিল
১৯৯১-এ নিহতদের স্মরণে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে অর্থ প্রতিমন্ত্রী নিজ বরাদ্দ হতে রায়পুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের
ছেনোয়ারা বেগমকে নির্মাণ করে দেয়া ঘর এবং হাফিজুর রহমান সড়ক উদ্বোধন করেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার দূরদর্শিতায় আমাদের প্রাণহানি হয় না, যে ভয়াবহ প্রাণহানি আমরা দেখেছি ১৯৯১
সালে। আওয়ামী লীগ সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় স্যাটেলাইট থেকে শুরু করে সব রকমের বৈজ্ঞানিক
ব্যবস্থা নিয়েছে, যাতে আগে থেকেই পূর্বাভাস পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ২৯ এপ্রিলের স্মৃতিচারণ
করতে গিয়ে বলেছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ে বিমান ও নৌবাহিনীর সব জাহাজ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। রাস্তাঘাট
বন্ধ ছিল, তারপরও আমরা ছুটে গিয়েছিলাম। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সে সময় আমরা উদ্বাস্তুদের
পুনর্বাসন করেছিলাম। শেখ হাসিনা মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০
ও জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। বর্ষা শুরু হলে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। মাটি
ধরে রাখতে গাছের বিকল্প নেই। গ্রীষ্মে তাপ অনেক বেড়ে গেছে, এ তাপ কমিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণের
বিকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রতিহিংসার কাজ করব না। মানুষের কল্যাণে কাজ
করব। রাজনীতি মানেই মানুষের কল্যাণ, দেশের সেবা করা। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের উন্নয়নের
রাজনীতি শিখিয়েছেন। তিনি চিন্তা করেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। আগামী প্রজন্ম যেন সুখে
শান্তিতে থাকতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাব।
আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুল কবীরের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আনোয়ারা উপজেলা
আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী মোজাম্মেল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য
ডা. নাসির উদ্দীন মাহমুদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম
চৌধুরী, আতাউর রহমান খান কায়সার স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব সাবেক ছাত্রনেতা
আবু তৈয়ব মোহাম্মদ রাসেল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য
অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।