পোশাক রফতানিতে উৎসে কর অর্ধেক করার দাবি বিজিএমইএ’র

নিজস্ব প্রতিবেদক

তৈরি পোশাক রফতানিতে উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে পোশাক শিল্প মালিক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে গতকাল বুধবার (১০ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আলোচনায় এই দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি ড. রুবানা হক।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় বিজিএমইএ ছাড়াও পোশাক রফতানিকারকদের আরেক সংগঠন বিকেএমইএ এবং বস্ত্র মিল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ অংশ নেন। এনবিআরের কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, মুসক নীতির সদস্য মো. মাসুদ সাদিক এবং কাস্টমস নীতির সদস্য গোলাম কিবরিয়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, কভিড-১৯  মহামারীর কারণে বিশেষ করে পোশাক শিল্প রফতানি চাপে পড়েছে। এই কারণে আমরা উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে নামিয়ে দশমিক ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। তিনি পোশাক রফতানির সুবিধায় স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত রফতানি সংশ্লিষ্ট পণ্য ও সেবার ভ্যাট মওকুফ চেয়ে রিটার্ন দাখিল থেকেও অব্যাহতি চান।

এসময় এনবিআর সদস্য মো. মাসুদ সাদিক বলেন, রিটার্ন দাখিল থেকে অব্যাহতি সম্ভব নয়।

বিজিএমইএ সভাপতি রফতানি শিল্পের করপোরেট কর ১২ শতাংশ এবং গ্রিন কারখানার কর হার ১০ শতাংশ আগামী ৫ বছর পর্যন্ত রাখার সুপারিশ করেন। তিনি রফতানির বিপরীতে প্রদত্ত নগদ সহায়তার উপরে ১০ শতাংশ আয়কর শূন্যে নামিয়ে আনার সুপারিশও করেন। তিনি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল থার্মোস্ট্যাট ডে হিউমিডিফার যন্ত্রটি শুল্কমুক্ত বা রেয়াতিহারে আমদানির অনুমোদন দেওয়াসহ মোট ১৬টি প্রস্তাব তুলে ধরেন।

বিকেএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. হাতেম বন্ডের আওতায় আমদানিকৃত পণ্যের এইএস কোড সংক্রান্ত জটিলতায় ভূল ঘোষণায় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে জরিমানা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেন। তিনি শতভাগ রফতানি খাত হিসেবে পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে ক্রেতাদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নন বন্ডেড কারখানা থেকে পণ্য সংগ্রহের অনুমতির প্রস্তাব করেন।

কারখানার নিরাপত্তায় ও পরিবেশবান্ধব করতে অত্যাধুনিক ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি যেমন এলইডি বাতিসহ প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধার প্রস্তাব করেন হাতেম। রফতানি পণ্যের কাঁচামাল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আনা-নেওয়ার পথে রাজস্ব কর্মীদের হয়রানি বন্ধ করার আহবানও জানান তিনি।

বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন দেশে শিল্পায়নের স্বার্থে সব ধরনের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে একই হারে শুল্কায়নের প্রস্তাব করেন। দেশী শিল্পের সুরক্ষায় বিদেশী কাপড়ের শুল্কায়ন ওজনের ভিত্তিতে না করে মিটার ভিত্তিক পরিমাপের ভিত্তিতে করার সুপারিশ করেন তিনি। এছাড়াও কাপড় তৈরির কাঁচামাল কৃত্রিম আঁশ আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি কেজির শুল্কায়ন ৬ টাকার পরিবর্তে ২ টাকা করার প্রস্তাব দেন বিটিএমএ সভাপতি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন